alt

‘ন্যায় বিচার’ হয়েছে, আগের সাজা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশে’: কায়সার কামাল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার বহুল আলোচিত মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের সবাইকে খালাস দেওয়ায় সবাই ‘ন্যায়বিচার পেয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী কায়সার কামাল।

রোববার রায়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আজকে আমরা, দেশবাসী, জাতি মনে করে, সকলে আজকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আজ মহামান্য আদালত এ চতুর্থ চার্জশিট ও মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে যে চার্জশিটটা দেওয়া হয়, সে চার্জশিটটা আইনবহির্ভূত ছিল। এর আইনগতভিত্তি নেই, তাই খালাস পেয়েছে।”

ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়।

সেই মামলার রায়ে জজ আদালত ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়।

আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছে।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ট্রায়ালটা কনটিনিউ করা হয়। আপনারা ইতোমধ্যে শুনেছেন, যারা এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন, আপিল করেছেন এবং যারা আপিল করেননি সবাইকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

“জনাব তারেক রহমান সাহেব আজকের এ রায়ের মাধ্যমে ন্যয়বিচার পেয়েছেন। আজকে প্রমাণিত হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনাব তারেক রহমান সাহেবকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল সে রায় আইনগতভাবে মোকাবেলার মাধ্যমে তিনি আজকে বেসকসুর খালাস পেয়েছেন।”

কায়সার কামালের ভাষ্য, গত দুই দশক ধরে এই মামলাটি দেশের রাজনীতিকে ‘ডমিনেট করেছিল’।

তিনি বলেন, “সম্পূর্ণভাবে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রপাগাণ্ডার শিকার হয়েছিলেন জনাব তারেক রহমান সাহেব।”

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ওই ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোড়ন তুলেছিল।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলীয় নেতা।

হাই কোর্টে রায়ের সময় কায়সার কামাল ছাড়াও আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এস এম শাজাহান, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন যেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার।

ছবি

৪ ডিসেম্বর থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালনের ঘোষণা মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের

ছবি

কৃষক হত্যা: চার্জশিটে অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ছবি

সেন্টমার্টিন: আজ থেকে শুরু জাহাজ চলাচল, থাকছে রাত যাপনের সুযোগ

ছবি

কুড়িগ্রামে সংঘর্ষে নিহত ৩, আটক একজন

ছবি

ফরিদপুরে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মিসিস্টদের কর্মবিরত পালন

ছবি

লৌহজংয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মাদ্রাসা শিক্ষা

ছবি

সখীপুরে ৫ বছরেও শেষ হয়নি ব্রিজের নির্মাণ, ভোগান্তি চরমে

ছবি

ভেড়ামারায় বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা সেবা

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় আইনজীবী সমিতির নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে

ছবি

ডাস বাংলাদেশের এর উদ্যোগে মানববন্ধন

বরুড়ায় ৩১১ শিক্ষার্থীর মাঝে মেধা বৃত্তি প্রদান

ছবি

পাথরঘাটায় অগ্নিকাণ্ডে ৬ দোকান ভস্মীভুত, কোটি টাকার ক্ষতি

ছবি

মুন্সীগঞ্জে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ আটক ১

ছবি

কলমাকান্দায় কৃষি কথা ও কৃষক সমাবেশ

ছবি

দশমিনায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে অসময়ের আম

দেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাতের, থানায় এজাহার

ছবি

ওমোংলায় কোটি টাকা মুল্যে অবৈধ জাল ও পলিথিন জব্দ

ছবি

হারিয়ে যাওয়ার পথে ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন

ছবি

শেরপুরে কষ্টি পাথরের দু’টি বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার

ছবি

টঙ্গীতে এক শ্রমিকের মৃত্যু আতঙ্কে ৩০ শ্রমিক অজ্ঞান

ছবি

১২টি স্থলপথে ভারত ভ্রমণ করেছে ১৮ লাখ ৫৯ হাজার ৩৬৪ পাসপোর্টধারী

ছবি

গজারিয়া ফুটওভার ব্রিজ থাকা সত্ত্বেও ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

ছবি

রূপগঞ্জে ৩ শতাধিক স্পটে জমজমাট মাদক ব্যবসা

ছবি

জামালপুরে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বাল্কহেড থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ

ছবি

নামাজরত অবস্থায় মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

বটিয়াঘাটায় ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

দুমকিতে ব্যবসায়ীর আত্মহত্যা

ছবি

দেড় বছর ধরে খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

ছবি

শ্রীমঙ্গলে পর্যটকদের নতুন আকর্ষণ চাঁদের গাড়ি

ছবি

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স টেকনোলজিস্টদের কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে রোগীরা

ছবি

নড়াইলের বুড়িখালি গ্রামে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩

ছবি

আত্রাইয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

ছবি

দেশের ১৬ স্থলবন্দরে আমদানি বাড়লেও দিন দিন কমছে রপ্তানি

ছবি

কোটবাজার দোকান-মালিক সমিতির নবনির্বাচিতদের শপথ ও দায়িত্বভার গ্রহণ

ছবি

আড়িয়াল খাঁ নদের সপ্তম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুতে টোল না দেয়াকে কেন্দ্র করে হামলা

tab

‘ন্যায় বিচার’ হয়েছে, আগের সাজা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশে’: কায়সার কামাল

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪

দুই দশক আগে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার বহুল আলোচিত মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আসামিদের সবাইকে খালাস দেওয়ায় সবাই ‘ন্যায়বিচার পেয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী কায়সার কামাল।

রোববার রায়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আজকে আমরা, দেশবাসী, জাতি মনে করে, সকলে আজকে ন্যায়বিচার পেয়েছি। আজ মহামান্য আদালত এ চতুর্থ চার্জশিট ও মুফতি হান্নানের দ্বিতীয় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে যে চার্জশিটটা দেওয়া হয়, সে চার্জশিটটা আইনবহির্ভূত ছিল। এর আইনগতভিত্তি নেই, তাই খালাস পেয়েছে।”

ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ২০০৪ সালের ২১ অগাস্ট শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়।

সেই মামলার রায়ে জজ আদালত ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়।

আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাই কোর্ট বেঞ্চ রোববার এ মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছে।

বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল বলেন, “আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ট্রায়ালটা কনটিনিউ করা হয়। আপনারা ইতোমধ্যে শুনেছেন, যারা এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন, আপিল করেছেন এবং যারা আপিল করেননি সবাইকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

“জনাব তারেক রহমান সাহেব আজকের এ রায়ের মাধ্যমে ন্যয়বিচার পেয়েছেন। আজকে প্রমাণিত হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে জনাব তারেক রহমান সাহেবকে যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছিল সে রায় আইনগতভাবে মোকাবেলার মাধ্যমে তিনি আজকে বেসকসুর খালাস পেয়েছেন।”

কায়সার কামালের ভাষ্য, গত দুই দশক ধরে এই মামলাটি দেশের রাজনীতিকে ‘ডমিনেট করেছিল’।

তিনি বলেন, “সম্পূর্ণভাবে শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রপাগাণ্ডার শিকার হয়েছিলেন জনাব তারেক রহমান সাহেব।”

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ওই ঘটনা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোড়ন তুলেছিল।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা তখন বিরোধী দলীয় নেতা।

হাই কোর্টে রায়ের সময় কায়সার কামাল ছাড়াও আসামিপক্ষে উপস্থিত ছিলেন এস এম শাজাহান, জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন খোকন ও শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন যেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসিম সরকার।

back to top