alt

বিডিআর বিদ্রোহ: ‘নির্দোষ’ কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তিসহ আট দফা দাবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২০০৯ সালের পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় কারাগারে থাকা ‘নির্দোষ’ সদস্যদের মুক্তিসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে কারাবন্দিদের স্বজনরা। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কারা নির্যাতিত বিডিআর পরিবার’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি এক বিডিআর সদস্যের সন্তান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিডিআরের নিজস্ব আইনে সর্বোচ্চ সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড। কিন্তু কেন তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হলো? রিমান্ডের নামে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।”

তাদের আট দফা দাবি:

১. ‘নির্দোষ’ বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি।

২. হাই কোর্টে করা রিট অনুযায়ী মামলার পুনঃতদন্ত।

৩. তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ।

৪. রিমান্ডে নির্যাতনে নিহতদের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন ও দোষীদের শাস্তি।

৫. ১৮,৫২০ বিডিআর সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল।

৬. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন।

৭. বিজিবির নাম পরিবর্তন করে বিডিআর পুনঃস্থাপন।

৮. ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ঘটনার পর বিডিআরের নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়। বিদ্রোহের বিচার হয় বিজিবির আদালতে, তবে হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে।

হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের রায়ে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। ২০১৭ সালে হাই কোর্টের আপিল রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে এবং আরও অনেকের সাজা নির্ধারণ হয়। বিস্ফোরক আইনের মামলার কার্যক্রম মাঝপথে স্থগিত থাকায় ৪৬৮ জন বিডিআর সদস্য এখনো মুক্তি পাননি।

বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম অভিযোগ করেন, তৎকালীন সরকারের পরিকল্পিত ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে এবং সাজা ভোগের পরও সদস্যরা জামিন পাননি। তিনি বলেন, “কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের জীবন ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে গেছে।”

বিডিআর পরিবারের স্বজনরা দ্রুত ন্যায়বিচার ও পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।

সিলেটে জমি নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

ছবি

১৫ নভেম্বর থেকে নতুন পোশাকে মাঠে নামবে পুলিশ

রংপুরের ‘পলাতক’ পুলিশ কর্মকর্তা নূর আলম বরখাস্ত

ছবি

সেন্টমার্টিনে যেতে লাগবে ট্রাভেল পাস, মানতে হবে ১২ নির্দেশনা

মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ শুরু, সার নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাজবাড়ীর কৃষকরা

ছবি

সিলেটে মণিপুরী সম্প্রদায়: নৃত্য, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বর্ণিল মোহনা

ছবি

নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ২০ হাজার ইয়াবা জব্দ

ছবি

ভালুকার শহীদ মিজান সড়কের অবস্থা বেহাল

ছবি

সাঘাটায় ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

ছবি

করিমগঞ্জে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

ছবি

শাহজাদপুরে পৃথক ঘটনায় দুই জনকে হত্যা

ছবি

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২০ দালাল আটক

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় এসআইয়ের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ছবি

শাহজাদপুরে চার কোটি টাকার সেতুতে উঠতে হয় সাঁকো দিয়ে

ছবি

কলারোয়ায় সার সংকটে দিশেহারা কৃষক

ছবি

মহম্মদপুরে কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ বিতরণ

ছবি

দেবীদ্বারে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল মাছ ব্যবসায়ীর

ছবি

বরুড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

উলিপুরে ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ

ছবি

জনবল সংকটে নাজেহাল মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

ছবি

গোয়াল ঘরের সিঁদ কেটে গরু চুরি

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে শিক্ষক সংকটে চলছে পাঠদান, নেই টয়লেট ব্যবস্থা

ছবি

স্কুল প্রতিষ্ঠার নামে কৃষকের ভূমি দখলের অভিযোগ

ছবি

ঝালকাঠিতে ৩৩ শতাংশ নারীর অন্তর্ভূক্তির দাবিতে মানববন্ধনব

ছবি

পবিপ্রবিতে দুদকের অভিযান

ছবি

কচুরিপানায় ঢেকে আছে ধনাগোদা নদী, নৌযান চলাচল বন্ধ

ছবি

বেগমগঞ্জে মাদক কারবারী জাইল্লা জহির গ্রেপ্তার

ছবি

ঝালকাঠিতে আ’লীগের ৩ নেতা জেল হাজতে

ছবি

মুন্সীগঞ্জ পৌরসভায় অটো ও মিশুক দৌরাত্ম নিরসনে পদক্ষেপ

ছবি

অভিযান শেষ পদ্মার ইলিশে বাজার সয়লাব দাম ৫ শত হতে ২৫ শত টাকা কেজি

ছবি

চকরিয়া হারবাংছড়া খাল খনন কাজ শুরু চাষের আওতায় আসছে ১২০০ একর জমি

ছবি

বরেন্দ্রঅঞ্চলে শীত অর্থনীতি খেজুর গুড়ে মিষ্টি স্বপ্ন

ছবি

সোনারগাঁয়ে ডাকাতির মালামাল ভাগ নিয়ে ২ গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ৩

ছবি

গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগী, চিকিৎসক সংকট

ছবি

নাসিরনগরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

ছবি

আশুগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জায়গা দখলের অভিযোগ

tab

বিডিআর বিদ্রোহ: ‘নির্দোষ’ কারাবন্দি সদস্যদের মুক্তিসহ আট দফা দাবি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

২০০৯ সালের পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় কারাগারে থাকা ‘নির্দোষ’ সদস্যদের মুক্তিসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে কারাবন্দিদের স্বজনরা। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কারা নির্যাতিত বিডিআর পরিবার’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি এক বিডিআর সদস্যের সন্তান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিডিআরের নিজস্ব আইনে সর্বোচ্চ সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড। কিন্তু কেন তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হলো? রিমান্ডের নামে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।”

তাদের আট দফা দাবি:

১. ‘নির্দোষ’ বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি।

২. হাই কোর্টে করা রিট অনুযায়ী মামলার পুনঃতদন্ত।

৩. তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ।

৪. রিমান্ডে নির্যাতনে নিহতদের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন ও দোষীদের শাস্তি।

৫. ১৮,৫২০ বিডিআর সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল।

৬. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন।

৭. বিজিবির নাম পরিবর্তন করে বিডিআর পুনঃস্থাপন।

৮. ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ঘটনার পর বিডিআরের নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়। বিদ্রোহের বিচার হয় বিজিবির আদালতে, তবে হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে।

হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের রায়ে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। ২০১৭ সালে হাই কোর্টের আপিল রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে এবং আরও অনেকের সাজা নির্ধারণ হয়। বিস্ফোরক আইনের মামলার কার্যক্রম মাঝপথে স্থগিত থাকায় ৪৬৮ জন বিডিআর সদস্য এখনো মুক্তি পাননি।

বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম অভিযোগ করেন, তৎকালীন সরকারের পরিকল্পিত ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে এবং সাজা ভোগের পরও সদস্যরা জামিন পাননি। তিনি বলেন, “কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের জীবন ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে গেছে।”

বিডিআর পরিবারের স্বজনরা দ্রুত ন্যায়বিচার ও পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।

back to top