২০০৯ সালের পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় কারাগারে থাকা ‘নির্দোষ’ সদস্যদের মুক্তিসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে কারাবন্দিদের স্বজনরা। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কারা নির্যাতিত বিডিআর পরিবার’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি এক বিডিআর সদস্যের সন্তান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিডিআরের নিজস্ব আইনে সর্বোচ্চ সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড। কিন্তু কেন তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হলো? রিমান্ডের নামে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।”
তাদের আট দফা দাবি:
১. ‘নির্দোষ’ বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি।
২. হাই কোর্টে করা রিট অনুযায়ী মামলার পুনঃতদন্ত।
৩. তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ।
৪. রিমান্ডে নির্যাতনে নিহতদের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন ও দোষীদের শাস্তি।
৫. ১৮,৫২০ বিডিআর সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল।
৬. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন।
৭. বিজিবির নাম পরিবর্তন করে বিডিআর পুনঃস্থাপন।
৮. ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ঘটনার পর বিডিআরের নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়। বিদ্রোহের বিচার হয় বিজিবির আদালতে, তবে হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে।
হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের রায়ে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। ২০১৭ সালে হাই কোর্টের আপিল রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে এবং আরও অনেকের সাজা নির্ধারণ হয়। বিস্ফোরক আইনের মামলার কার্যক্রম মাঝপথে স্থগিত থাকায় ৪৬৮ জন বিডিআর সদস্য এখনো মুক্তি পাননি।
বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম অভিযোগ করেন, তৎকালীন সরকারের পরিকল্পিত ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে এবং সাজা ভোগের পরও সদস্যরা জামিন পাননি। তিনি বলেন, “কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের জীবন ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে গেছে।”
বিডিআর পরিবারের স্বজনরা দ্রুত ন্যায়বিচার ও পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।
 
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         
                                         ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                        ইপেপার
                        
                                                	                            	জাতীয়
                           	                            	সারাদেশ
                           	                            	আন্তর্জাতিক
                           	                            	নগর-মহানগর
                           	                            	খেলা
                           	                            	বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
                           	                            	শিক্ষা
                           	                            	অর্থ-বাণিজ্য
                           	                            	সংস্কৃতি
                           	                            	ক্যাম্পাস
                           	                            	মিডিয়া
                           	                            	অপরাধ ও দুর্নীতি
                           	                            	রাজনীতি
                           	                            	শোক ও স্মরন
                           	                            	প্রবাস
                           	                            নারীর প্রতি সহিংসতা
                            বিনোদন
                                                                        	                            	সম্পাদকীয়
                           	                            	উপ-সম্পাদকীয়
                           	                            	মুক্ত আলোচনা
                           	                            	চিঠিপত্র
                           	                            	পাঠকের চিঠি
                           	                                            শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
২০০৯ সালের পিলখানা বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় কারাগারে থাকা ‘নির্দোষ’ সদস্যদের মুক্তিসহ আট দফা দাবি জানিয়েছে কারাবন্দিদের স্বজনরা। শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘কারা নির্যাতিত বিডিআর পরিবার’ ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কারাবন্দি এক বিডিআর সদস্যের সন্তান আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “বিডিআরের নিজস্ব আইনে সর্বোচ্চ সাজা সাত বছরের কারাদণ্ড। কিন্তু কেন তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ড ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করা হলো? রিমান্ডের নামে তাদের উপর নির্যাতন চালানো হয়েছে।”
তাদের আট দফা দাবি:
১. ‘নির্দোষ’ বিডিআর সদস্যদের নিঃশর্ত মুক্তি।
২. হাই কোর্টে করা রিট অনুযায়ী মামলার পুনঃতদন্ত।
৩. তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ।
৪. রিমান্ডে নির্যাতনে নিহতদের মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটন ও দোষীদের শাস্তি।
৫. ১৮,৫২০ বিডিআর সদস্যকে চাকরিতে পুনর্বহাল।
৬. ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন।
৭. বিজিবির নাম পরিবর্তন করে বিডিআর পুনঃস্থাপন।
৮. ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। ঘটনার পর বিডিআরের নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) করা হয়। বিদ্রোহের বিচার হয় বিজিবির আদালতে, তবে হত্যাকাণ্ডের মামলা বিচারের জন্য আসে প্রচলিত আদালতে।
হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের রায়ে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়। ২০১৭ সালে হাই কোর্টের আপিল রায়ে ১৩৯ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে এবং আরও অনেকের সাজা নির্ধারণ হয়। বিস্ফোরক আইনের মামলার কার্যক্রম মাঝপথে স্থগিত থাকায় ৪৬৮ জন বিডিআর সদস্য এখনো মুক্তি পাননি।
বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল আলম অভিযোগ করেন, তৎকালীন সরকারের পরিকল্পিত ইন্ধনে এ ঘটনা ঘটেছে এবং সাজা ভোগের পরও সদস্যরা জামিন পাননি। তিনি বলেন, “কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের জীবন ও তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ ধ্বংস হয়ে গেছে।”
বিডিআর পরিবারের স্বজনরা দ্রুত ন্যায়বিচার ও পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন।
