alt

সারাদেশ

ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা

দেশের একমাত্র খেজুর গাছ রিসার্চ গার্ডেনের প্রায় সব গাছের মৃত্যু

যশোর অফিস : সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোরের মণিরামপুরের নাগরঘোপ গ্রামে দেশের একমাত্র খেজুর গাছ রিসার্চ গার্ডেন জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ বছর আগে জেলা প্রশাসনের দেয়া জমিতে এই রিসার্চ গার্ডেনটি গড়ে তুলেছিলেন খেজুরগাছ গবেষক সৈয়দ নকিব মাহমুদ। কিন্তু চলতি বছরে অতিবৃষ্টিপাতের কারণে খেজুর গার্ডেনে পানি জমে যায়। ফলে প্রায় সব খেজুর গাছই মরে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নাগরঘোপ গ্রামে খেজুর গাছ রিসার্চ গার্ডেনে লাগানো হয়েছিল ১২০টি খেজুরের চারা। এই খেজুর গাছগুলো বড় হলে তা থেকে ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১৪ লিটার পর্যন্ত রস পাওয়া যেত। সৈয়দ নকিব মাহমুদ গাছগুলোর নামকরণ করেছিলেন রসবতী-১, রসবতী-২ এভাবে। এখানে মোট ৮ ধরণের খেজুর গাছ ছিল। কিন্তু এবারে যশোরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ওই বাগানে পানি জমে সব গাছই প্রায় মারা গেছে। মাত্র ৯টি গাছ বেঁচে আছে।

সৈয়দ নকিব মাহমুদ বলেন, ৪০ দিন পর্যন্ত পানিতে খেজুর গাছের চারা বেঁচে থাকে; কিন্তু ১০০ দিন নয়। এখনো সেখানে প্রায় দুই বিগত পানি রয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘তর খুঁজে পাওয়া ৮টি ভিন্ন জিনোম সিকোয়েন্স-এর গাছ ব্যাকআপ গার্ডেনে আছে। কিন্তু একেকটা একেক জায়গায় যে কারণে ভবিষ্যতে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। নতুন করে এই বাগানটি সম্পূর্ণ করা আরও সময় সাপেক্ষ। কারণ তার খুঁজে পাওয়া গাছের মধ্যে মাত্র ৪টি মাতৃগাছ জীবিত আছে। বাকি চারটি গাছ মারা গেছে। যদিও তার কাছে ৮ ধরণের গাছই আছে কিন্তু সেগুলি বয়সে অনেক ছোট। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ এগিয়ে নেয়া তার পক্ষে কঠিন। ওই জমিতে মাটি দিয়ে উঁচু করলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।

এ ব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় খেজুর গাছ রিসার্চ গার্ডেনটি জলাবদ্ধতার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছগুলো রোপনের সময়ই জমি উঁচু করে রোপন করা দরকার ছিল। তারপরও কয়েকবার তারা মাটি ভরাট করে গাছগুলো রক্ষার চেষ্টা করেছেন। যে গাছগুলো বেঁচে আছে, সেগুলো রক্ষা এবং নতুন গাছ রোপনের জন্য যে ধরণের সহযোগিতা দরকার, সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

ছবি

আরও ১ বিলিয়ন ঋণে সায় আইএমএফের

ছবি

শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে তাপমাত্রা কমে ৮ ডিগ্রির ঘরে

ছবি

টঙ্গীতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিকান্ড, শিশুর মৃত্যু

ছবি

বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে যোবায়ের-সাদপন্থীদের সংঘর্ষ, নিহত ৩

ছবি

বুধবার রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুলে চালু হচ্ছে উন্নত মম শীর নামে নজরুল স্কয়ার

অস্থায়ী শ্রমিকদের রেলপথ অবরোধ,যাত্রীদের দূর্ভোগ ঃ ২ ঘন্টা পর প্রত্যাহার,পরিস্থিতি স্বাভাবিক

পূর্বাচলের লেকে পাওয়া মরদেহ কলেজ ছাত্রী সুজানা

ছবি

কুমিল্লা ও ফরিদপুরকে নতুন বিভাগ করার সুপারিশ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে হত্যার ঘটনায় জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার

ছবি

৩ ঘন্টা পর কোনাবাড়ী এলাকার ঝুট গোডাউনের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি

ঘুমের ওষুধ খেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার পর বিছানায় শুয়ে ছিলেন স্বামী

ছবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও নগরকান্দায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই বন্ধু সহ তিন জন নিহত

ছবি

সখীপুরে অগ্নিকাণ্ডে ছয় দোকান পুড়ে ছাই অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

ছবি

রংপুর বিভাগজুড়ে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় শহীদদের স্মরণ

ছবি

ভৈরবে কাভার্ডভ্যান চাপায় নারীসহ নিহত ৫

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় নাগরিক কমিটির তিন নেতাকে মারধরের অভিযোগ

ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের গাড়িকে ট্রাকের ধাক্কা

ছবি

সখীপুরে ঐতিহ্যবাহী কুটুম পাগলা মেলার চালুর দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন

সিলেটের তুচ্ছ ঘটনায় সংঘর্ষ আহত অর্ধশত

ছবি

ফেইসবুক পোস্টের কারণে স্বামীকে চাপ, মারধরের অভিযোগ

ছবি

নড়াইলে ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় ১৮ জন কারাগারে

আরাকান আর্মিকে মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলো ৬ জেলে

ছবি

গ্রেপ্তার এড়াতে পালালেন তাহেরি, পুলিশি অভিযানে বাধা, ‘ভক্তদের’ ভাঙচুর

ছবি

মাহফিল থেকে পালালেন তাহেরি, পুলিশের গাড়ি ভাঙল ভক্তরা

ছবি

কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় নিহত ৩

ছবি

মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে পঞ্চগড়ে , তাপমাত্রা ৯.৩ ডিগ্রি

ছবি

অংশিক কাজ শেষেও বিআরটি প্রকল্পের বাস চালু, পরীক্ষামূলক যাত্রা শুরু

ছবি

সিরিয়ায় ক্ষমতা দখলকারী হায়াত তাহরির আল-শামের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন চালু

ছবি

গাজীপুর-ঢাকা বিআরটি লেনে অবশেষে বাস চালু

আরিচায় অগ্নিকান্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই ক্ষতি পরিমান কোটি টাকা

ছবি

আখাউড়ায় পুলিশের উপর হামলা, উস্কানি দেওয়ায় তাহেরির বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার তিন

সদরপুরে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে করা মামলায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ আটক ২

শীতে জুবুথুবু উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণের জেলাতেও জেঁকে বসেছে

ছবি

অষ্টগ্রামে মহিষ চুরির অভিযোগে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা

tab

সারাদেশ

ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা

দেশের একমাত্র খেজুর গাছ রিসার্চ গার্ডেনের প্রায় সব গাছের মৃত্যু

যশোর অফিস

সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোরের মণিরামপুরের নাগরঘোপ গ্রামে দেশের একমাত্র খেজুর গাছ রিসার্চ গার্ডেন জলাবদ্ধতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৪ বছর আগে জেলা প্রশাসনের দেয়া জমিতে এই রিসার্চ গার্ডেনটি গড়ে তুলেছিলেন খেজুরগাছ গবেষক সৈয়দ নকিব মাহমুদ। কিন্তু চলতি বছরে অতিবৃষ্টিপাতের কারণে খেজুর গার্ডেনে পানি জমে যায়। ফলে প্রায় সব খেজুর গাছই মরে গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, যশোরের মণিরামপুর উপজেলার নাগরঘোপ গ্রামে খেজুর গাছ রিসার্চ গার্ডেনে লাগানো হয়েছিল ১২০টি খেজুরের চারা। এই খেজুর গাছগুলো বড় হলে তা থেকে ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯ থেকে ১৪ লিটার পর্যন্ত রস পাওয়া যেত। সৈয়দ নকিব মাহমুদ গাছগুলোর নামকরণ করেছিলেন রসবতী-১, রসবতী-২ এভাবে। এখানে মোট ৮ ধরণের খেজুর গাছ ছিল। কিন্তু এবারে যশোরে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ওই বাগানে পানি জমে সব গাছই প্রায় মারা গেছে। মাত্র ৯টি গাছ বেঁচে আছে।

সৈয়দ নকিব মাহমুদ বলেন, ৪০ দিন পর্যন্ত পানিতে খেজুর গাছের চারা বেঁচে থাকে; কিন্তু ১০০ দিন নয়। এখনো সেখানে প্রায় দুই বিগত পানি রয়েছে। তিনি আরও জানান, ‘তর খুঁজে পাওয়া ৮টি ভিন্ন জিনোম সিকোয়েন্স-এর গাছ ব্যাকআপ গার্ডেনে আছে। কিন্তু একেকটা একেক জায়গায় যে কারণে ভবিষ্যতে গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। নতুন করে এই বাগানটি সম্পূর্ণ করা আরও সময় সাপেক্ষ। কারণ তার খুঁজে পাওয়া গাছের মধ্যে মাত্র ৪টি মাতৃগাছ জীবিত আছে। বাকি চারটি গাছ মারা গেছে। যদিও তার কাছে ৮ ধরণের গাছই আছে কিন্তু সেগুলি বয়সে অনেক ছোট। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া এই কাজ এগিয়ে নেয়া তার পক্ষে কঠিন। ওই জমিতে মাটি দিয়ে উঁচু করলেও সমস্যার সমাধান হতে পারে।

এ ব্যাপারে মণিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঋতুরাজ সরকার জানান, এ বছর প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ায় খেজুর গাছ রিসার্চ গার্ডেনটি জলাবদ্ধতার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছগুলো রোপনের সময়ই জমি উঁচু করে রোপন করা দরকার ছিল। তারপরও কয়েকবার তারা মাটি ভরাট করে গাছগুলো রক্ষার চেষ্টা করেছেন। যে গাছগুলো বেঁচে আছে, সেগুলো রক্ষা এবং নতুন গাছ রোপনের জন্য যে ধরণের সহযোগিতা দরকার, সে ব্যাপারে ভূমিকা রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

back to top