নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন এক স্বামী। হত্যার পর নির্বিকার স্বামী পাশের ঘরের বিছানায় শুয়ে ছিলেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম রিনা আক্তার (২২)। তিনি উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের নাদু মিয়ার মেয়ে। ওই গ্রামে রিনা আক্তারের বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে পুলিশে দেন গৃহবধূর স্বজনেরা।
আটক মো. নাহিদ হোসেন খুলনার রূপসা উপজেলার খলিল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে নাহিদ হোসেনের সঙ্গে রিনার বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসা–যাওয়া করতেন নাহিদ। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে নাহিদ সস্ত্রীক একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি স্থানীয় চরচেঙ্গা বাজারে যান। সেখানে তিনি একটি ফার্মেসি থেকে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ কিনে সেবন করেন। একপর্যায়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাত ৯টার দিকে বাড়িতে ফেরেন। নেশা করা নিয়ে স্ত্রী রিনার সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা ও মারামারি হয়। একপর্যায়ে নাহিদ উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যার পর নাহিদ পাশের ঘরের বিছানায় শুয়ে পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নাহিদকে আটক করে থানা-পুলিশকে খবর দেন। ভোরের দিকে জাহাজমারা তদন্ত পুলিশি কেন্দ্র থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন ওই যুবক। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত গৃহবধূর স্বজনেরা অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন এক স্বামী। হত্যার পর নির্বিকার স্বামী পাশের ঘরের বিছানায় শুয়ে ছিলেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূর নাম রিনা আক্তার (২২)। তিনি উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের নাদু মিয়ার মেয়ে। ওই গ্রামে রিনা আক্তারের বাবার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে পুলিশে দেন গৃহবধূর স্বজনেরা।
আটক মো. নাহিদ হোসেন খুলনার রূপসা উপজেলার খলিল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার মিস্ত্রি। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে নাহিদ হোসেনের সঙ্গে রিনার বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে প্রায় সময় স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসা–যাওয়া করতেন নাহিদ। ১০ থেকে ১৫ দিন আগে নাহিদ সস্ত্রীক একমাত্র ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যার দিকে তিনি স্থানীয় চরচেঙ্গা বাজারে যান। সেখানে তিনি একটি ফার্মেসি থেকে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ কিনে সেবন করেন। একপর্যায়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রাত ৯টার দিকে বাড়িতে ফেরেন। নেশা করা নিয়ে স্ত্রী রিনার সঙ্গে তার বাগ্বিতণ্ডা ও মারামারি হয়। একপর্যায়ে নাহিদ উত্তেজিত হয়ে স্ত্রীর বুকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। হত্যার পর নাহিদ পাশের ঘরের বিছানায় শুয়ে পড়েন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পরে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নাহিদকে আটক করে থানা-পুলিশকে খবর দেন। ভোরের দিকে জাহাজমারা তদন্ত পুলিশি কেন্দ্র থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেশাগ্রস্ত হয়ে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন ওই যুবক। তাৎক্ষণিকভাবে নিহত গৃহবধূর স্বজনেরা অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে আটক স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ মঙ্গলবার সকালে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।