মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তবে নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহতের নাম মাহমুদা আক্তার (৩৮)। তিনি গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের ইমরানের স্ত্রী। তিনি ইকরা (৮),মরিয়ম (৬), আব্দুল্লাহ (১) নামের তিন সন্তান জননী ।
জানা গেছে, শুক্রবার (১০ জানুযারি) সকালে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া এবং মাছ কাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মাহমুদাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীরা। তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বালুয়াকান্দি গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে মাহমুদার সঙ্গে একই ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ইমরানের বিয়ে হয়। নয় বছরের সংসার জীবনে তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। মাহমুদার স্বামী ইমরান সৌদিআরব প্রবাসী। গত মাসে তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন। ১১ জানুয়ারি ( শনিবার) তার প্রবাসে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
নিহতের মা মর্জিনা বেগম বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমার মেয়েজামাই আমাকে কল দেয়। মুঠোফোন আমাকে লাইনে রেখে সে আমার মেয়েকে মারধর করতে থাকে। সকাল দশটার দিকে আমার মেয়েকে দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয়। আমার ধারণা এ সময়ই সে মারা যায়।
নিহতের ভাসুর ওয়াসিম বলেন, মেয়েটির রাগ অনেক বেশি ছিল। আমার ছোটভাই সেটা মেনে নিয়ে সংসার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে সে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে, পরে আমরা তাকে উদ্ধার করি। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সে আবারও ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর জানালা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাই আমরা। নিহতের চাচাত ভাই স্বপন মিয়া বলেন শ্বশুর বাড়ি লোকজনের অত্যাচারে প্রবাসী স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়েছে
।আগামীকাল শনিবার সে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিলো এ-র মধ্যে এ ঘটনা তারা বোনকে মেরে আত্মহত্যার বলেন তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়, স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন ।
গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, আমি খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ থানায় রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা৷
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তবে নিহতের গায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহতের নাম মাহমুদা আক্তার (৩৮)। তিনি গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের ইমরানের স্ত্রী। তিনি ইকরা (৮),মরিয়ম (৬), আব্দুল্লাহ (১) নামের তিন সন্তান জননী ।
জানা গেছে, শুক্রবার (১০ জানুযারি) সকালে শ্বশুর বাড়িতে যাওয়া এবং মাছ কাটা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর বসতঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে মাহমুদাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীরা। তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বালুয়াকান্দি গ্রামের তারা মিয়ার মেয়ে মাহমুদার সঙ্গে একই ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে ইমরানের বিয়ে হয়। নয় বছরের সংসার জীবনে তাদের দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। মাহমুদার স্বামী ইমরান সৌদিআরব প্রবাসী। গত মাসে তিনি ছুটিতে বাড়িতে আসেন। ১১ জানুয়ারি ( শনিবার) তার প্রবাসে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল।
নিহতের মা মর্জিনা বেগম বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আমার মেয়েজামাই আমাকে কল দেয়। মুঠোফোন আমাকে লাইনে রেখে সে আমার মেয়েকে মারধর করতে থাকে। সকাল দশটার দিকে আমার মেয়েকে দ্বিতীয় দফা মারধর করা হয়। আমার ধারণা এ সময়ই সে মারা যায়।
নিহতের ভাসুর ওয়াসিম বলেন, মেয়েটির রাগ অনেক বেশি ছিল। আমার ছোটভাই সেটা মেনে নিয়ে সংসার করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আজ সকালে ঘরের দরজা বন্ধ করে সে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করে, পরে আমরা তাকে উদ্ধার করি। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পর সে আবারও ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দেয়। কিছুক্ষণ পর জানালা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাকে দেখতে পাই আমরা। নিহতের চাচাত ভাই স্বপন মিয়া বলেন শ্বশুর বাড়ি লোকজনের অত্যাচারে প্রবাসী স্বামীর সাথে ঝগড়া হয়েছে
।আগামীকাল শনিবার সে বিদেশে যাওয়ার কথা ছিলো এ-র মধ্যে এ ঘটনা তারা বোনকে মেরে আত্মহত্যার বলেন তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়, স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের নামে মামলা প্রক্রিয়াধীন ।
গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, আমি খবর পেয়েই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ থানায় রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে হত্যা নাকি আত্মহত্যা৷