মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জনকে। ১০ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে ১০টার দিকে গজারিয়া উপজেলার নয়াচর চক সংলগ্ন মেঘনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ।
নিহতরা হলেন- গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী বেপারীর ছেলে ওদুদ বেপারী (৩৬), চরঝাপটা ইউনিয়নের রমজানবেগ গ্রামের বাচ্চু সরকারের ছেলে বাবুল সরকার (৪৮), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাকিব (২৬) ও একই এলাকার নাঈম (২৪)।
উদ্ধার ইউনিট প্রত্যয়ের নারায়ণগঞ্জের কমান্ডার ও বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম খান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমরা শুনেছিলাম বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে আসার পরে আমরা নিশ্চিত হয়েছি একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটটির সংঘর্ষ হয়েছে।
‘দুর্ঘটনায় ট্রলারটি তলিয়ে যায় এবং স্পিডবোটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নৌযান দুটিতে ১০-১১ জন আরোহী ছিলেন। এ ঘটনায় সকাল পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধার হলেও স্পিডবোট চালক নাঈম নিখোঁজ ছিল। ‘তার সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ। এক পর্যায়ে শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে ঝোপ থেকে নাঈমের লাশ উদ্ধার করি আমরা।’
নিহত ওদুদ বেপারীর স্ত্রী ফেরদৌসী জানান, পার্শ্ববর্তী চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া দিকে যাচ্ছিলেন তারা। পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। অন্য স্বজনরা জানান, রাতে ঘন কুয়াশার কারণে বিপরীত দিক থেকে আসা স্পিডবোটটি দিক ভুলে ট্রলারে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি তলিয়ে যায় এবং স্পিডবোটটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, দুর্ঘটনাটি কিখাবে হয়েছে তার তদন্ত চলছে।
শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জনকে। ১০ জানুয়ারি শুক্রবার রাতে ১০টার দিকে গজারিয়া উপজেলার নয়াচর চক সংলগ্ন মেঘনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানান গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ।
নিহতরা হলেন- গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী বেপারীর ছেলে ওদুদ বেপারী (৩৬), চরঝাপটা ইউনিয়নের রমজানবেগ গ্রামের বাচ্চু সরকারের ছেলে বাবুল সরকার (৪৮), চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাকিব (২৬) ও একই এলাকার নাঈম (২৪)।
উদ্ধার ইউনিট প্রত্যয়ের নারায়ণগঞ্জের কমান্ডার ও বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুল করিম খান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে আমরা শুনেছিলাম বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে আসার পরে আমরা নিশ্চিত হয়েছি একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটটির সংঘর্ষ হয়েছে।
‘দুর্ঘটনায় ট্রলারটি তলিয়ে যায় এবং স্পিডবোটটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নৌযান দুটিতে ১০-১১ জন আরোহী ছিলেন। এ ঘটনায় সকাল পর্যন্ত তিনজনের লাশ উদ্ধার হলেও স্পিডবোট চালক নাঈম নিখোঁজ ছিল। ‘তার সন্ধানে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, কোস্ট গার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ। এক পর্যায়ে শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে ঝোপ থেকে নাঈমের লাশ উদ্ধার করি আমরা।’
নিহত ওদুদ বেপারীর স্ত্রী ফেরদৌসী জানান, পার্শ্ববর্তী চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া দিকে যাচ্ছিলেন তারা। পথে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। অন্য স্বজনরা জানান, রাতে ঘন কুয়াশার কারণে বিপরীত দিক থেকে আসা স্পিডবোটটি দিক ভুলে ট্রলারে ধাক্কা দেয়। এতে ট্রলারটি তলিয়ে যায় এবং স্পিডবোটটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। গজারিয়া থানার ওসি মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, দুর্ঘটনাটি কিখাবে হয়েছে তার তদন্ত চলছে।