জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের পক্ষে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের টাউন ক্লাব মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দুই পক্ষ একে অন্যকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে সেøাগান দেন।
রোববার সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুর পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুছাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ করেন নেতাকর্মীরা। আরেক দিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের শহীদ মিনার চত্বর থেকে লিফলেট বিতরণ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পিরোজপুরের প্রতিনিধি জাবিদ হাসানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
কিছুক্ষণ পর একই সময়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা শহরের টাউন ক্লাব মাঠে প্রবেশ করেন। এ সময় দুই পক্ষ একে-অন্যকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলা কমিটির সঙ্গে নাজিরপুর উপজেলা কমিটির সংগঠক সানজিদা আক্তার, ইন্দুরকানি উপজেলা কমিটির শহিদুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কিছু নেতাকর্মী ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মুইন উদ্দিন বলেন, ‘এখন যারা নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি দাবি করছেন, তারা ৫ আগস্টের আগে সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা এখন আওয়ামী লীগকে সুযোগ করে দিতে আবার রাস্তায় নামছেন।’
ছাত্র প্রতিনিধি আফরোজা আকতার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি একই সূত্রে গাঁথা। সারা বাংলাদেশে দু’টি সংগঠনের একই সঙ্গে কর্মসূচি আসছে। কিন্তু পিরোজপুরে যারা জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আছেন, তাদের তারা মেনে নিতে পারছেন না। এ জন্য তারা আলাদা কর্মসূচি পালন করছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘তাদের মন এত ছোট যে পাঁচ হাজার লিফলেট আসছে, এর মধ্যে মাত্র ৪০০ লিফলেট আমাদের দিয়েছেন। এসব কারণে তাদের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে কর্মসূচি পালন করতে পারি না।’
এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির মুছাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের আগে থেকে রাস্তায় আন্দোলন করে আসছি। এখন যারা ছাত্র প্রতিনিধি দাবি করছে, তারা আগে কোথায় ছিল? আমরা আগস্টের শুরুর দিকে তাদের কোথাও দেখিনি। এখন তারা কমিটিতে নাম লেখানোর জন্য আমাদের বিভিন্ন সময় ডিস্টার্ব করে আসছে। আজকের আগে তারা বিভিন্ন সময় আমাদের বাধা দিয়েছে। তারা লোক হলো মাত্র ১০ জন, সবাই পদ চায়। তাদের মধ্যে গ্রুপ ছয়টি। তাদের চাওয়া হলো, পিরোজপুরে যেন নাগরিক কমিটির কমিটি না হয়।’
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবদুস সোবাহান বলেন, ‘আজ (রোববার) লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ছিল ছাত্রদের। সেখানে ছাত্রদের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।’
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের পক্ষে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের টাউন ক্লাব মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় দুই পক্ষ একে অন্যকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে সেøাগান দেন।
রোববার সাড়ে ১১টার দিকে পিরোজপুর পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জাতীয় নাগরিক কমিটির মুছাব্বির হোসেনের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ করেন নেতাকর্মীরা। আরেক দিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের শহীদ মিনার চত্বর থেকে লিফলেট বিতরণ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পিরোজপুরের প্রতিনিধি জাবিদ হাসানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
কিছুক্ষণ পর একই সময়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা শহরের টাউন ক্লাব মাঠে প্রবেশ করেন। এ সময় দুই পক্ষ একে-অন্যকে ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সময় জাতীয় নাগরিক কমিটির জেলা কমিটির সঙ্গে নাজিরপুর উপজেলা কমিটির সংগঠক সানজিদা আক্তার, ইন্দুরকানি উপজেলা কমিটির শহিদুল ইসলামসহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে কিছু নেতাকর্মী ছিলেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মুইন উদ্দিন বলেন, ‘এখন যারা নাগরিক কমিটির প্রতিনিধি দাবি করছেন, তারা ৫ আগস্টের আগে সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তারা এখন আওয়ামী লীগকে সুযোগ করে দিতে আবার রাস্তায় নামছেন।’
ছাত্র প্রতিনিধি আফরোজা আকতার বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি একই সূত্রে গাঁথা। সারা বাংলাদেশে দু’টি সংগঠনের একই সঙ্গে কর্মসূচি আসছে। কিন্তু পিরোজপুরে যারা জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য আছেন, তাদের তারা মেনে নিতে পারছেন না। এ জন্য তারা আলাদা কর্মসূচি পালন করছেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘তাদের মন এত ছোট যে পাঁচ হাজার লিফলেট আসছে, এর মধ্যে মাত্র ৪০০ লিফলেট আমাদের দিয়েছেন। এসব কারণে তাদের সঙ্গে আমরা একসঙ্গে কর্মসূচি পালন করতে পারি না।’
এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির মুছাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্টের আগে থেকে রাস্তায় আন্দোলন করে আসছি। এখন যারা ছাত্র প্রতিনিধি দাবি করছে, তারা আগে কোথায় ছিল? আমরা আগস্টের শুরুর দিকে তাদের কোথাও দেখিনি। এখন তারা কমিটিতে নাম লেখানোর জন্য আমাদের বিভিন্ন সময় ডিস্টার্ব করে আসছে। আজকের আগে তারা বিভিন্ন সময় আমাদের বাধা দিয়েছে। তারা লোক হলো মাত্র ১০ জন, সবাই পদ চায়। তাদের মধ্যে গ্রুপ ছয়টি। তাদের চাওয়া হলো, পিরোজপুরে যেন নাগরিক কমিটির কমিটি না হয়।’
পিরোজপুর সদর থানার ওসি আবদুস সোবাহান বলেন, ‘আজ (রোববার) লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ছিল ছাত্রদের। সেখানে ছাত্রদের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।’