alt

কক্সবাজারে সাবেক কাউন্সিলর টিপু হত্যার রহস্য ঘনীভূত

রোহিঙ্গা সম্পৃক্ততা ও পলাতক নারীর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার চার দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, টিপুকে যে পিস্তল দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি মিয়ানমারের তৈরি। এ কারণে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

টিপু কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থানকালে তার সঙ্গে এক নারী ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই নারীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই নারী একজন ছাত্রী হতে পারেন এবং তার সর্বশেষ অবস্থান কক্সবাজারের লিংক রোডে ছিল বলে জানা গেছে।

র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, “আমরা পলাতক ওই নারীকে খুঁজছি। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার পেছনের মূল কারণ উদঘাটন সহজ হবে।”

র‍্যাব ও পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গুলির খোসা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি নাইন এমএম পিস্তল। যেহেতু পিস্তলটি মিয়ানমারের তৈরি, তাই সন্দেহ করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের প্রশিক্ষিত ভাড়াটে কেউ জড়িত থাকতে পারে।

ঘটনার পর খুলনার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু এবং টিপুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মেজবাহ হক ভুট্টোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, “গ্রেপ্তার হওয়া চালু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, তিনি টিপুর সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন। তবে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।”

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, “যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি, তবে আমরা বেশ কয়েকটি ক্লু নিয়ে এগোচ্ছি। হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, রোহিঙ্গা ভাড়াটে বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।”

সাপের কামড়ে কৃষকের মৃত্যু

ছবি

চট্টগ্রাম বন্দরে ১৯ কনটেইনারের বিপজ্জনক পণ্য পরিবেশসম্মত উপায়ে ধ্বংস

ছবি

চট্টগ্রামে যুবদলের দুই গ্রুপের গোলাগুলি, নিহত ১ এবং আহত অন্তত ৮ জন

ছবি

ফুলের রাজধানী গদখালীতে নতুন বাজার, স্বস্তিতে পাইকাররা

ছবি

চট্টগ্রামে মালবাহী ট্রাক-ট্রেন সংঘর্ষে নিহত ১, তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

সংসদ নির্বাচনে প্রতি ভোটকেন্দ্রে ১৩ আনসার সদস্যের ৩ জন থাকবে সশস্ত্র

ছবি

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে দোকানপাট, প্রাকৃতিক ঢিবি হচ্ছে সমতল

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে শীতের সবজি কমতে শুরু করেছে দাম

ছবি

দশমিনায় বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য কাচারি ঘর

ছবি

টেকনাফে পাচারের উদ্দেশ্যে অপহৃত ২২ জনকে উদ্ধার

ছবি

কক্সবাজার শহর থেকে সেন্টমার্টিন যাবে পর্যটকবাহী জাহাজ

ছবি

দুদকের মামলায় খালাস পেলেন এলডিপি মহাসচিব ড. রেদোয়ান

ছবি

পদ্মায় ধরা পরলো ৩১ কেজির দুই বাঘাআইড়, ৩৮ হাজারে বিক্রি

ছবি

আবারও নৌকাসহ ৪ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি

ছবি

কুষ্টিয়ায় নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম তদন্তে দুদক ও স্বাস্থ্য বিভাগ

ছবি

হবিগঞ্জে বাবার দায়ের কোপে মেয়ে নিহত

ছবি

বাগেরহাটে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালি

ছবি

সায়মা মৃত্যুর বিচার দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ

ছবি

চুয়াডাঙ্গা দর্শনা রেল বন্দরে হাহাকার শ্রমিকদের চোখে অনিশ্চয়তার ছায়া

ছবি

মোল্লাহাটে চায়না দুয়ারী জাল জব্দ, পুড়িয়ে ধ্বংস

ছবি

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার বেহাল অবস্থা চিকিৎসা বঞ্চিত ৮ লাখাধিক মানুষ

ছবি

সাপাহারে পুনর্ভবা নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মধুপুরে কোমলমতি শিশুদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা

ছবি

রাজশাহীতে ভারতীয় মদ ও পাতার বিড়ি জব্দ

ছবি

যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর যাবজ্জীবন

ছবি

বেগমগঞ্জে পলাতক আসামী কসাই জাহাঙ্গীর গ্রেপ্তার

ছবি

মাছ পরিবহন করা পিক-আপের পানিতে সড়কের বেহাল অবস্থা

ছবি

ভালুকায় আমন খেত বাঁচাতে কীটনাশক দোকানে কৃষকের ভীড়

ছবি

শেরপুরের গারো পাহাড়ে তিন দশক ধরে চলছে হাতি-মানুষের সংঘাত

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কাঠের ব্রীজ ভেঙে ২০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

ছবি

কাঠালিয়ায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

ছবি

দুবলারচরে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য অপসারণে অভিযান

ছবি

নোয়াখালীতে মাদ্রারাসার ছাত্রকে হত্যা

ছবি

সুন্দরগঞ্জে কৃষক পেল বীজ ও সার

ছবি

লৌহজংয়ে লোকালয়ে কুমির আতঙ্ক

ছবি

বেনাপোলে মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

tab

কক্সবাজারে সাবেক কাউন্সিলর টিপু হত্যার রহস্য ঘনীভূত

রোহিঙ্গা সম্পৃক্ততা ও পলাতক নারীর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার চার দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, টিপুকে যে পিস্তল দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি মিয়ানমারের তৈরি। এ কারণে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

টিপু কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থানকালে তার সঙ্গে এক নারী ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই নারীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই নারী একজন ছাত্রী হতে পারেন এবং তার সর্বশেষ অবস্থান কক্সবাজারের লিংক রোডে ছিল বলে জানা গেছে।

র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, “আমরা পলাতক ওই নারীকে খুঁজছি। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার পেছনের মূল কারণ উদঘাটন সহজ হবে।”

র‍্যাব ও পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গুলির খোসা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি নাইন এমএম পিস্তল। যেহেতু পিস্তলটি মিয়ানমারের তৈরি, তাই সন্দেহ করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের প্রশিক্ষিত ভাড়াটে কেউ জড়িত থাকতে পারে।

ঘটনার পর খুলনার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু এবং টিপুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মেজবাহ হক ভুট্টোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, “গ্রেপ্তার হওয়া চালু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, তিনি টিপুর সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন। তবে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।”

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, “যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি, তবে আমরা বেশ কয়েকটি ক্লু নিয়ে এগোচ্ছি। হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, রোহিঙ্গা ভাড়াটে বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।”

back to top