রোহিঙ্গা সম্পৃক্ততা ও পলাতক নারীর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার চার দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, টিপুকে যে পিস্তল দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি মিয়ানমারের তৈরি। এ কারণে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টিপু কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থানকালে তার সঙ্গে এক নারী ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই নারীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই নারী একজন ছাত্রী হতে পারেন এবং তার সর্বশেষ অবস্থান কক্সবাজারের লিংক রোডে ছিল বলে জানা গেছে।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, “আমরা পলাতক ওই নারীকে খুঁজছি। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার পেছনের মূল কারণ উদঘাটন সহজ হবে।”
র্যাব ও পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গুলির খোসা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি নাইন এমএম পিস্তল। যেহেতু পিস্তলটি মিয়ানমারের তৈরি, তাই সন্দেহ করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের প্রশিক্ষিত ভাড়াটে কেউ জড়িত থাকতে পারে।
ঘটনার পর খুলনার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু এবং টিপুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মেজবাহ হক ভুট্টোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, “গ্রেপ্তার হওয়া চালু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, তিনি টিপুর সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন। তবে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।”
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, “যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি, তবে আমরা বেশ কয়েকটি ক্লু নিয়ে এগোচ্ছি। হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, রোহিঙ্গা ভাড়াটে বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।”
রোহিঙ্গা সম্পৃক্ততা ও পলাতক নারীর ভূমিকা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে খুলনার সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার চার দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
তদন্ত কর্মকর্তাদের দাবি, টিপুকে যে পিস্তল দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, সেটি মিয়ানমারের তৈরি। এ কারণে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
টিপু কক্সবাজারের একটি হোটেলে অবস্থানকালে তার সঙ্গে এক নারী ছিলেন বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই নারীকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে তার সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ওই নারী একজন ছাত্রী হতে পারেন এবং তার সর্বশেষ অবস্থান কক্সবাজারের লিংক রোডে ছিল বলে জানা গেছে।
র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন জানান, “আমরা পলাতক ওই নারীকে খুঁজছি। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে হত্যার পেছনের মূল কারণ উদঘাটন সহজ হবে।”
র্যাব ও পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, টিপুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। গুলির খোসা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এটি নাইন এমএম পিস্তল। যেহেতু পিস্তলটি মিয়ানমারের তৈরি, তাই সন্দেহ করা হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের প্রশিক্ষিত ভাড়াটে কেউ জড়িত থাকতে পারে।
ঘটনার পর খুলনার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালু এবং টিপুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী মেজবাহ হক ভুট্টোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, “গ্রেপ্তার হওয়া চালু প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন, তিনি টিপুর সঙ্গে বেড়াতে এসেছিলেন। তবে অধিকতর তদন্তের জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।”
হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শুক্রবার কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের অভিযুক্ত করা হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন জানিয়েছেন, “যদিও এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যায়নি, তবে আমরা বেশ কয়েকটি ক্লু নিয়ে এগোচ্ছি। হত্যার পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতা, রোহিঙ্গা ভাড়াটে বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।”