সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামীপন্থি দুই আইনজীবী জয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমিতির ২ নম্বর হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল থেকে শুরু হয়ে রাতভর ভোট গণনা শেষে শুক্রবার ভোরে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার এম আব্দুল করীম আকবরী ও জামিল আহমদ।
ঘোষিত ফলে আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল সভাপতি ও জুবায়ের বখত জুবের সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন।
আইনজীবী সমিতির ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬৫ জন প্রার্থী।
সভাপতি পদে বিজয়ী সিলেট মহানগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল পেয়েছেন ৭৭০ ভোট।
তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য টিএম ফয়েজ ৬৫৮ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের বখত জুবের ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপন্থি গোলাম রাজ্জাক ৫৮, বিএনপিপন্থি জোহরা জেসমিন ২৪, বামপন্থি দেলোয়ার হোসেন দিলু ২৮৫, আওয়ামী লীগপন্থি মাসুদুর রহমান মুন্না ৪৮, মমিনুর রহমান টিটু ২৭৯, জামায়াতপন্থি আজিম উদ্দিন ১৮৪ ও বিএনপিপন্থি মশরুর চৌধুরী শওকত ২৪২ ভোট পেয়েছেন।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ কাঞ্চন ৫৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী জোছনা ইসলাম ৩৫৫, আলী হায়দার ২৩৩, সৈয়দ ফেরদৌস ২১৩ ভোট পেয়েছেন।
সহসভাপতি ২ পদে বিজয়ী হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দায়ের করা মামলার আসামি আওয়ামী লীগপন্থি মোহাম্মদ মোখলিসুর রহমান।
তিনি ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সোহেব আহমদ ৩৮২, আব্দুল হান্নান ৩৭৮ ও আফরোজ আহমদ ৬৪ ভোট পেয়েছেন।
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগপন্থি ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থি ইকবাল আহমদ ৪৭৮ ও তাজ রিহান জামান ২৩৬ ভোট পেয়েছেন।
যুগ্ম সম্পাদক ২ পদে বিএনপিপন্থি রব নেওয়াজ রানা ৪২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতপন্থি আমিনুর রব চৌধুরী ১৫১, আওয়ামী লীগপন্থি কানন আলম ২৮৩, বিএনপিপন্থি সেবা বেগম ৩৫, তানভীর আক্তার খান ২২২, জনতা পার্টির তাহামিনুল ইসলাম খান ২০২ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সম্পাদকীয় তিনটি পদে যথাক্রমে অ্যাডভোকেট এমাদ উদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ ১০৫৯ ভোট, সাহেদ আহমদ ৯৭৪ ভোট ও কাওছার আহমদ ৭৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের ১১টি পদের বিপরীতে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন ৯৮৫ ভোট, এএসএম আব্দুল গফুর ৯২৩ ভোট, একেএম ফখরুল ইসলাম ৯১৬ ভোট, মো. জামিলুল হক জামিল ৯১৪ ভোট, আব্দুল মালিক ৮৯১ ভোট, কল্যাণ চৌধুরী ৮১৬ ভোট, আশিক উদ্দিন আশুক ৭৭৯ ভোট, জুবের আহমদ খান ৭৩৯, আবু মো. আসাদ ৬৬৩, মো. আলীম উদ্দিন ৬৬০ ও মো. ছয়ফুল হোসেন ৬২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
জয়ের বিষয়ে শুক্রবার রাতে নবনির্বাচিত সভাপতি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল বলেন, “এটি রাজনৈতিক কোনো নির্বাচন নয়। আইনজীবীদের স্বার্থ, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জেলা আইনজীবী সমিতি কাজ করবে।”
শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামীপন্থি দুই আইনজীবী জয়ী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সমিতির ২ নম্বর হলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল থেকে শুরু হয়ে রাতভর ভোট গণনা শেষে শুক্রবার ভোরে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনজীবী সৈয়দ মোহাম্মদ তারেক। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী নির্বাচন কমিশনার এম আব্দুল করীম আকবরী ও জামিল আহমদ।
ঘোষিত ফলে আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আহমেদ চৌধুরী আবদাল সভাপতি ও জুবায়ের বখত জুবের সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন।
আইনজীবী সমিতির ২৬ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৬৫ জন প্রার্থী।
সভাপতি পদে বিজয়ী সিলেট মহানগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল পেয়েছেন ৭৭০ ভোট।
তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সিলেট জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কমিটির সদস্য টিএম ফয়েজ ৬৫৮ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জুবায়ের বখত জুবের ৩০৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগপন্থি গোলাম রাজ্জাক ৫৮, বিএনপিপন্থি জোহরা জেসমিন ২৪, বামপন্থি দেলোয়ার হোসেন দিলু ২৮৫, আওয়ামী লীগপন্থি মাসুদুর রহমান মুন্না ৪৮, মমিনুর রহমান টিটু ২৭৯, জামায়াতপন্থি আজিম উদ্দিন ১৮৪ ও বিএনপিপন্থি মশরুর চৌধুরী শওকত ২৪২ ভোট পেয়েছেন।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে আওয়ামী লীগ নেতা জ্যোতির্ময় পুরকায়স্থ কাঞ্চন ৫৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী জোছনা ইসলাম ৩৫৫, আলী হায়দার ২৩৩, সৈয়দ ফেরদৌস ২১৩ ভোট পেয়েছেন।
সহসভাপতি ২ পদে বিজয়ী হয়েছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে দায়ের করা মামলার আসামি আওয়ামী লীগপন্থি মোহাম্মদ মোখলিসুর রহমান।
তিনি ৪৮৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সোহেব আহমদ ৩৮২, আব্দুল হান্নান ৩৭৮ ও আফরোজ আহমদ ৬৪ ভোট পেয়েছেন।
সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগপন্থি ওয়াহিদুর রহমান চৌধুরী ৭০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপিপন্থি ইকবাল আহমদ ৪৭৮ ও তাজ রিহান জামান ২৩৬ ভোট পেয়েছেন।
যুগ্ম সম্পাদক ২ পদে বিএনপিপন্থি রব নেওয়াজ রানা ৪২০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতপন্থি আমিনুর রব চৌধুরী ১৫১, আওয়ামী লীগপন্থি কানন আলম ২৮৩, বিএনপিপন্থি সেবা বেগম ৩৫, তানভীর আক্তার খান ২২২, জনতা পার্টির তাহামিনুল ইসলাম খান ২০২ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সম্পাদকীয় তিনটি পদে যথাক্রমে অ্যাডভোকেট এমাদ উদ্দিন মোহাম্মদ এমদাদ ১০৫৯ ভোট, সাহেদ আহমদ ৯৭৪ ভোট ও কাওছার আহমদ ৭৮৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যের ১১টি পদের বিপরীতে ১৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অ্যাডভোকেট মো. গিয়াস উদ্দিন ৯৮৫ ভোট, এএসএম আব্দুল গফুর ৯২৩ ভোট, একেএম ফখরুল ইসলাম ৯১৬ ভোট, মো. জামিলুল হক জামিল ৯১৪ ভোট, আব্দুল মালিক ৮৯১ ভোট, কল্যাণ চৌধুরী ৮১৬ ভোট, আশিক উদ্দিন আশুক ৭৭৯ ভোট, জুবের আহমদ খান ৭৩৯, আবু মো. আসাদ ৬৬৩, মো. আলীম উদ্দিন ৬৬০ ও মো. ছয়ফুল হোসেন ৬২৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
জয়ের বিষয়ে শুক্রবার রাতে নবনির্বাচিত সভাপতি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল বলেন, “এটি রাজনৈতিক কোনো নির্বাচন নয়। আইনজীবীদের স্বার্থ, আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জেলা আইনজীবী সমিতি কাজ করবে।”