গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছে। বুধবার বিকেলে বেক্সিমকোর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা এ অবরোধ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা বেশ কয়েকটি যানবাহনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তারা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং কার্যক্রম পুনরায় চালু করা, এলসি সুবিধা চালু করা এবং বকেয়া পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তাদের বেতন নিয়মিত দেওয়া সম্ভব হয়নি। শ্রমিকরা এ নিয়ে আন্দোলন শুরু করলে সরকার ঋণ দিয়ে কয়েক মাসের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে। পরে গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকের পর কারখানাগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার বিকেলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা মোজার মিল এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা লাকড়ি ও আবর্জনায় আগুন জ্বালিয়ে সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করেন। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, মহানগর পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা সড়কে আটকে থাকা বাস, ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানসহ কয়েকটি যানবাহনে হামলা চালায় এবং আশপাশের দোকান ভাঙচুর করে।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরাও হামলার শিকার হন। হামলায় দীপ্ত টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাভিশনের চিত্রগ্রাহক আমির হোসেন রিয়েল এবং প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার কালিয়াকৈর প্রতিনিধি আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পরিদর্শক রাজিব হোসেন জানান, আন্দোলনরত শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে একটি বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ কয়েকটি দোকানে হামলা চালান। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়, পরে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হয়।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছে। বুধবার বিকেলে বেক্সিমকোর কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকরা এ অবরোধ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা বেশ কয়েকটি যানবাহনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তারা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া, ব্যাংকিং কার্যক্রম পুনরায় চালু করা, এলসি সুবিধা চালু করা এবং বকেয়া পরিশোধের দাবি জানাচ্ছেন।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক কাজ করতেন। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তাদের বেতন নিয়মিত দেওয়া সম্ভব হয়নি। শ্রমিকরা এ নিয়ে আন্দোলন শুরু করলে সরকার ঋণ দিয়ে কয়েক মাসের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে। পরে গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকের পর কারখানাগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বুধবার বিকেলে আন্দোলনরত শ্রমিকরা মোজার মিল এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা লাকড়ি ও আবর্জনায় আগুন জ্বালিয়ে সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করেন। ফলে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, মহানগর পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে শ্রমিকরা মহাসড়ক ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা সড়কে আটকে থাকা বাস, ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানসহ কয়েকটি যানবাহনে হামলা চালায় এবং আশপাশের দোকান ভাঙচুর করে।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মীরাও হামলার শিকার হন। হামলায় দীপ্ত টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাভিশনের চিত্রগ্রাহক আমির হোসেন রিয়েল এবং প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার কালিয়াকৈর প্রতিনিধি আবু সাঈদ গুরুতর আহত হন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পরিদর্শক রাজিব হোসেন জানান, আন্দোলনরত শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে একটি বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ কয়েকটি দোকানে হামলা চালান। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়, পরে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হয়।