গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিতরে অবস্থিত বন্ধ ১৬টি কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে গতকাল বিকালে বেক্সিমকোর কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এসময় তারা বেশ কয়েকটি যানবাহনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এসময় ঐ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ চলছিল।
আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দাবি, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিতরে বন্ধ সব ফ্যাক্টরি খুলে দেয়া, ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা, এলসি খুলে দেয়া এবং অন্যান্য বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক কর্মচারী কাজ করছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তাদের বেতন নিয়মিত দেয়া যাচ্ছিল না। শ্রমিকরা ঘনঘন আন্দোলন করছিল। এসব কারণে সরকার ঋণ দিয়ে শ্রমিকদের কয়েক মাসের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে। পরে গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সূত্র আরও জানায়, বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকালে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীণ মোজার মিল এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা-কর্মচারীরা। লাকরী ও আবর্জনায় আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দূর্ভোগে পড়েন সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, মহানগর পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় উত্তেজিত কিছু শ্রমিক সড়কের যানজটে আটকা গণপরিবহন ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও সড়কের পাশের কয়েকটি দোকানে হামলা করে। এসময় ছবি তুলতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরাও শ্রমিকদের হামলার শিকার হয়। হামলায় দীপ্ত টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাভিশন টিভির চিত্র গ্রাহক আমির হোসেন রিয়েল ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ প্রত্রিকার কালিয়াকৈর প্রতিবেদক আবু সাঈদ গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পরিদর্শক রাজিব হোসেন সংবাদকে বলেন, বেক্সিমকোর আন্দোলনকারী শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে আন্দোলন করার সময় একটি বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ আশপাশের কয়েকটি দোকানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। পুলিশ তাদের নির্বৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিতরে অবস্থিত বন্ধ ১৬টি কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে গতকাল বিকালে বেক্সিমকোর কর্মকর্তা কর্মচারী ও শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করেছে। এসময় তারা বেশ কয়েকটি যানবাহনে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এসময় ঐ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ চলছিল।
আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দাবি, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ভিতরে বন্ধ সব ফ্যাক্টরি খুলে দেয়া, ব্যাংকিং ব্যবস্থা পুনরায় চালু করা, এলসি খুলে দেয়া এবং অন্যান্য বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা যায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের মালিকানাধীন বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬টি কারখানায় প্রায় ৪২ হাজার শ্রমিক কর্মচারী কাজ করছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তাদের বেতন নিয়মিত দেয়া যাচ্ছিল না। শ্রমিকরা ঘনঘন আন্দোলন করছিল। এসব কারণে সরকার ঋণ দিয়ে শ্রমিকদের কয়েক মাসের বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করে। পরে গত ১৫ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকোর শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির সভার সিদ্ধান্তের পর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১৬ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সূত্র আরও জানায়, বন্ধ কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল বিকালে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীণ মোজার মিল এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে বেক্সিমকোর শ্রমিকরা-কর্মচারীরা। লাকরী ও আবর্জনায় আগুন জ্বালিয়ে সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দূর্ভোগে পড়েন সড়কে চলাচলকারী যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ, মহানগর পুলিশ ও সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু শ্রমিকরা মহাসড়ক থেকে সরতে অস্বীকৃতি জানায়। এসময় উত্তেজিত কিছু শ্রমিক সড়কের যানজটে আটকা গণপরিবহন ভাঙচুর, অগ্নি সংযোগ ও সড়কের পাশের কয়েকটি দোকানে হামলা করে। এসময় ছবি তুলতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরাও শ্রমিকদের হামলার শিকার হয়। হামলায় দীপ্ত টিভির গাজীপুর প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাভিশন টিভির চিত্র গ্রাহক আমির হোসেন রিয়েল ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ প্রত্রিকার কালিয়াকৈর প্রতিবেদক আবু সাঈদ গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর পরিদর্শক রাজিব হোসেন সংবাদকে বলেন, বেক্সিমকোর আন্দোলনকারী শ্রমিকরা চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে আন্দোলন করার সময় একটি বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যানসহ আশপাশের কয়েকটি দোকানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। পুলিশ তাদের নির্বৃত্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।