বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে এসব পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নির্মাণাধীন সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি কক্সবাজারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শনের অংশ হিসেবে এই পার্ক পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) যুগ্ম সচিব দয়ানন্দ দেবনাথ, আবু হেনা মো. মুস্তাফা কামাল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক জোনের পরিচালক আবু লাহেল, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী ও টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, কক্সবাজারের জন্য পর্যটন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। এ জেলা ইতোমধ্যে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রসৈকতের তীরে ৯৬১ একর আয়তনের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ১৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। পরিকল্পিত এই আধুনিক পর্যটন পার্কে ইতোমধ্যে ২৩ জন বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ১১২.২৯ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেদারল্যান্ডস ও সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এছাড়া পার্ক সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ থেকে নেটং হিল হয়ে নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত প্রায় ৮.৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেজা ইতোমধ্যে মাটি ভরাট, ভূমি উন্নয়ন, সড়ক নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
পার্কটি টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ২ ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪৬৮ কিলোমিটার। এটি পাহাড় ও সমুদ্রসৈকত নিয়ে গঠিত একটি বৈচিত্র্যময় পর্যটন এলাকা। তবে মিয়ানমারের আপত্তির কারণে নাফ ট্যুরিজম পার্কের কাজ বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
বিশ্বের পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশে ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। দেশের পর্যটন খাতকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে এসব পার্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেলে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় নির্মাণাধীন সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক পরিদর্শনকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি কক্সবাজারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শনের অংশ হিসেবে এই পার্ক পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) যুগ্ম সচিব দয়ানন্দ দেবনাথ, আবু হেনা মো. মুস্তাফা কামাল, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক জোনের পরিচালক আবু লাহেল, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ উল্লাহ নিজামী ও টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেন, কক্সবাজারের জন্য পর্যটন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত। এ জেলা ইতোমধ্যে পর্যটন নগরী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি বাস্তবায়িত হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে এবং দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তুলতে কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রসৈকতের তীরে ৯৬১ একর আয়তনের সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ১৮৭ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। পরিকল্পিত এই আধুনিক পর্যটন পার্কে ইতোমধ্যে ২৩ জন বিনিয়োগকারীর অনুকূলে ১১২.২৯ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রস্তাবিত বিনিয়োগ ৪১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নেদারল্যান্ডস ও সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। এখানে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এছাড়া পার্ক সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ থেকে নেটং হিল হয়ে নাফ ট্যুরিজম পার্ক পর্যন্ত প্রায় ৮.৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ ক্যাবল কার স্থাপনের জন্য একটি সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে, যা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বেজা ইতোমধ্যে মাটি ভরাট, ভূমি উন্নয়ন, সড়ক নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।
পার্কটি টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ২ ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪৬৮ কিলোমিটার। এটি পাহাড় ও সমুদ্রসৈকত নিয়ে গঠিত একটি বৈচিত্র্যময় পর্যটন এলাকা। তবে মিয়ানমারের আপত্তির কারণে নাফ ট্যুরিজম পার্কের কাজ বর্তমানে স্থগিত রয়েছে।