সিলেট নগরের সাগরদিঘির পাড়ে সরকারি জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ৪টি মোটরসাইকেলে আগ্নিসংযোগ করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসটিএস গ্রুপ নামে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট সাগরদিঘীরপাড়ের মৎস্য ভবনের পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছিল। দখলবাজরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে। পরে সেখানে তিনি ‘ড্রিম সিটি’ নাম দিয়ে আবাসন প্রকল্প শুরু করেন এবং ‘ড্রিম টাওয়ার’ নামে ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
সেই জায়গা ও নির্মাণাধীন ভবন এবার সিলেটের বাসিন্দা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় এক নেতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ লক্ষ্যে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে সেই জায়গা দখল করতে শতাধিক লোক পাঠান ওই নেতা। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে দফায় দফায় তাদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষকালে ঘটানো হয় ককটেল বিস্ফোরণ। এ সময় এক পক্ষের ৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলে অপরপক্ষ।
সংঘর্ষের সময় ফরহাদ মিয়া নামে এক পুলিশ সদস্যসহ দু’পক্ষের অন্তত ১০ আহত হয়েছেন। আহত কনস্টেবল সিলেট বিভাগীয় বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, পুলিশ দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে তাজা কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এখন সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো পক্ষ অভিযোগ বা মামলা দায়ের করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫
সিলেট নগরের সাগরদিঘির পাড়ে সরকারি জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। সংঘর্ষ চলাকালে ৪টি মোটরসাইকেলে আগ্নিসংযোগ করা হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে সংঘর্ষ থামিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এসটিএস গ্রুপ নামে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিলেট সাগরদিঘীরপাড়ের মৎস্য ভবনের পার্শ্ববর্তী সরকারি জায়গা দখল করে রেখেছিল। দখলবাজরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা যায়। তবে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই জায়গা দখলে নেয়ার অভিযোগ উঠে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের এক শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে। পরে সেখানে তিনি ‘ড্রিম সিটি’ নাম দিয়ে আবাসন প্রকল্প শুরু করেন এবং ‘ড্রিম টাওয়ার’ নামে ভবন নির্মাণ শুরু করেন।
সেই জায়গা ও নির্মাণাধীন ভবন এবার সিলেটের বাসিন্দা জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় এক নেতা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ লক্ষ্যে শুক্রবার বেলা আড়াইটার দিকে সেই জায়গা দখল করতে শতাধিক লোক পাঠান ওই নেতা। এ সময় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতার অনুসারীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাঁধে। সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে দফায় দফায় তাদের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষকালে ঘটানো হয় ককটেল বিস্ফোরণ। এ সময় এক পক্ষের ৪টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে ফেলে অপরপক্ষ।
সংঘর্ষের সময় ফরহাদ মিয়া নামে এক পুলিশ সদস্যসহ দু’পক্ষের অন্তত ১০ আহত হয়েছেন। আহত কনস্টেবল সিলেট বিভাগীয় বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে, পুলিশ দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পরে ঘটনাস্থল থেকে তাজা কয়েকটি ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। এখন সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। কোনো পক্ষ অভিযোগ বা মামলা দায়ের করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।