বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত পিঠাপুলির উৎসব। এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।আগে গ্রমে-গঞ্জে কিংবা শহরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হলেও বর্তমানে এই ঐতিহ্য বিলুপ্ত প্রায়। বাঙালি সংস্কৃতির এই হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এবং নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করাতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দক্ষিণধুরু তরুণ যুব সংঘ নামক সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন। শনিবার উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের দক্ষিণধুরু হাইস্কুল মাঠে দিনব্যাপী চলে পিঠা উৎসব। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন। পিঠা উৎসবে ১৬ স্টলগুলোতে বাহারী সব পিঠা নিয়ে বসেন স্টলের উদ্যোক্তারা। স্টল গুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। তাদের নিজ হাতে তৈরী কিংবা পরিবারের সদস্যের হাতে তৈরী বাহারী সব পিঠা দিয়ে নিজেদের স্টল সাজিয়েছেন । দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে দেখে স্টলে বসে পিঠার স্বাদ উপভোগ করছেন পাশাপাশি পরিবার পরিজনদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পিঠা। আবার অনেকে পরিবারের নতুন সদস্যদেরকে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন পিঠার সাথে পরিচয় করাতে। বাঙ্গালী মায়েদের দরদী হাতে মমতাভরা কারুকার্য শোভিত নানারকম পিঠা আর সুস্বাদু রসালো মিষ্টি ও নানা উপকরণ মিশিয়ে তৈরি শত বছরের ঐতিহ্যের পিঠাপুলি উৎসবের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দক্ষিনধুরু তরুণ যুবসংঘ আবারও বিলুপ্তপ্রায় শিল্পকে নতুন প্রাণসঞ্চারের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের মাঝে ঐতিহ্য ধরে রাখার নব উদ্যোগ সৃষ্টি করলো। আজ নরসিংদীর বেলাব উপজেলার সন্নিকটে দক্ষিণধুরু উচ্চ বিদ্যালয়ে একঝাঁক তরুণ-তরুণীদের সমন্বয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দক্ষিণ ধুরু তরুণ যুবসংঘ দিনরাত ব্যাপী পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়েজন করে। তরুণদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বড়রাও অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে প্রাণবন্ত ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসার মিলনক্ষেত্র গড়ে তুলে। বিভিন্ন স্টলে বাহারি পিঠার স্বাদ নিতে নানা বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভীড় ছিল সকাল থেকে গভীর রাত অবধি। একদিকে সংগীতের ঝংকার অন্যদিকে পিঠা খাওয়ার ধুম সত্যিই অপরুপ দৃশ্যের অবতারণা করেছিল। কত রকমের পিঠা কি সুন্দর তাদের নাম! সোনাই, পানতেয়া, কলমি, রেশমি মালা, মাখন পিঠা, ফুলকলি, মসলা পিঠা, গোলাপ, জবা, পদ্ম, ইলিশ, লাভ, ফুলঝুরি, মাধবীলতা, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, করতোয়া, পানতোয়াসহ ঐতিহ্যের দুধচিতই, দুধপুলি, কমলাপুলি, ইলিশ পিঠা, বউ পিঠা ও নানাবিধ বিলুপ্তপ্রায় পিঠার সমাহার ছিল চোখে পড়ার মতো।
উৎসবমুখর পরিবেশে বেশ কয়েকটি স্টলে প্রায় শতাধিক পিঠা দিয়ে সাজানো ছিল স্টলগুলো। দর্শনার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, পিঠা উৎসব আমাদের গ্রামীন একটি ঐতিহ্য। এটি বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে। দক্ষিণধুরু তরুণ যুব সং কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন আয়োজনের জন্য। স্কুল পড়–য়া চাঁদনী আক্তার বলেন, পিঠা উৎসবে এসে অনেক রকমের পিঠার সাথে পরিচিত হয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করছি এমন আয়োজন যেন প্রতি বছর করা হয়। এ সময় সিংগীত শল্পী পাপিয়া পিংকী, শাহাদত প্রমুখ উপস্থিত জনতার মনোরঞ্জন করেন। এ সময় এলাকার ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। আয়োজক কমিটির সভাপতি ইমরান হাসান রাব্বি বলেন, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের এই অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণির মানুষের দারুণ সাড়া পেয়েছি, নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতেই আমাদের এই আয়োজন।
রোববার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত পিঠাপুলির উৎসব। এটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।আগে গ্রমে-গঞ্জে কিংবা শহরে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হলেও বর্তমানে এই ঐতিহ্য বিলুপ্ত প্রায়। বাঙালি সংস্কৃতির এই হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে এবং নতুন প্রজন্মের সাথে পরিচয় করাতে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার দক্ষিণধুরু তরুণ যুব সংঘ নামক সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন। শনিবার উপজেলার বাজনাব ইউনিয়নের দক্ষিণধুরু হাইস্কুল মাঠে দিনব্যাপী চলে পিঠা উৎসব। এতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন। পিঠা উৎসবে ১৬ স্টলগুলোতে বাহারী সব পিঠা নিয়ে বসেন স্টলের উদ্যোক্তারা। স্টল গুলোতে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বিভিন্ন স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের। তাদের নিজ হাতে তৈরী কিংবা পরিবারের সদস্যের হাতে তৈরী বাহারী সব পিঠা দিয়ে নিজেদের স্টল সাজিয়েছেন । দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে দেখে স্টলে বসে পিঠার স্বাদ উপভোগ করছেন পাশাপাশি পরিবার পরিজনদের জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছেন পিঠা। আবার অনেকে পরিবারের নতুন সদস্যদেরকে নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন পিঠার সাথে পরিচয় করাতে। বাঙ্গালী মায়েদের দরদী হাতে মমতাভরা কারুকার্য শোভিত নানারকম পিঠা আর সুস্বাদু রসালো মিষ্টি ও নানা উপকরণ মিশিয়ে তৈরি শত বছরের ঐতিহ্যের পিঠাপুলি উৎসবের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দক্ষিনধুরু তরুণ যুবসংঘ আবারও বিলুপ্তপ্রায় শিল্পকে নতুন প্রাণসঞ্চারের মাধ্যমে তরুণ-তরুণীদের মাঝে ঐতিহ্য ধরে রাখার নব উদ্যোগ সৃষ্টি করলো। আজ নরসিংদীর বেলাব উপজেলার সন্নিকটে দক্ষিণধুরু উচ্চ বিদ্যালয়ে একঝাঁক তরুণ-তরুণীদের সমন্বয়ে গঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দক্ষিণ ধুরু তরুণ যুবসংঘ দিনরাত ব্যাপী পিঠা উৎসব ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়েজন করে। তরুণদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বড়রাও অনুষ্ঠানে যোগদানের মাধ্যমে প্রাণবন্ত ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি ভালবাসার মিলনক্ষেত্র গড়ে তুলে। বিভিন্ন স্টলে বাহারি পিঠার স্বাদ নিতে নানা বয়সী মানুষের উপচে পড়া ভীড় ছিল সকাল থেকে গভীর রাত অবধি। একদিকে সংগীতের ঝংকার অন্যদিকে পিঠা খাওয়ার ধুম সত্যিই অপরুপ দৃশ্যের অবতারণা করেছিল। কত রকমের পিঠা কি সুন্দর তাদের নাম! সোনাই, পানতেয়া, কলমি, রেশমি মালা, মাখন পিঠা, ফুলকলি, মসলা পিঠা, গোলাপ, জবা, পদ্ম, ইলিশ, লাভ, ফুলঝুরি, মাধবীলতা, শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ, করতোয়া, পানতোয়াসহ ঐতিহ্যের দুধচিতই, দুধপুলি, কমলাপুলি, ইলিশ পিঠা, বউ পিঠা ও নানাবিধ বিলুপ্তপ্রায় পিঠার সমাহার ছিল চোখে পড়ার মতো।
উৎসবমুখর পরিবেশে বেশ কয়েকটি স্টলে প্রায় শতাধিক পিঠা দিয়ে সাজানো ছিল স্টলগুলো। দর্শনার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, পিঠা উৎসব আমাদের গ্রামীন একটি ঐতিহ্য। এটি বর্তমানে হারিয়ে যেতে বসেছে। দক্ষিণধুরু তরুণ যুব সং কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এমন আয়োজনের জন্য। স্কুল পড়–য়া চাঁদনী আক্তার বলেন, পিঠা উৎসবে এসে অনেক রকমের পিঠার সাথে পরিচিত হয়েছি। আমরা প্রত্যাশা করছি এমন আয়োজন যেন প্রতি বছর করা হয়। এ সময় সিংগীত শল্পী পাপিয়া পিংকী, শাহাদত প্রমুখ উপস্থিত জনতার মনোরঞ্জন করেন। এ সময় এলাকার ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। আয়োজক কমিটির সভাপতি ইমরান হাসান রাব্বি বলেন, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যের এই অনুষ্ঠানে সকল শ্রেণির মানুষের দারুণ সাড়া পেয়েছি, নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতেই আমাদের এই আয়োজন।