সিরাজগঞ্জেও শুরু হয়েছে আধুনিক পদ্বতিতে ফুল চাষ। আর ফুল চাষের মাধ্যমে চাষিরা তাদের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি সৃষ্টি করেছে অনেক লোকের কর্মসংস্থান। আর এই ফুল চাষে লাভ বেশি হওয়াতে প্রতি বছর ফুল বাগানের সীমানা বাড়াতে ব্যস্ত প্রান্তিক ফুল চাষিরা। তবে তাদের মতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা আরো লাভবানসহ আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হবে। এব্যপারে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ফুল চাষিদের উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
আগামী ভালবাসা দিবস, ১লা ফাল্গুন আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসএবংকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ফুল চাষীরা ব্যাস্ত বাজার ধরতে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর চাষীরা ভালো মুনাফার আশা করছেন । চলতি ফেব্রুয়ারী মাসে বাঙ্গালীর এই তিনটি উৎসব । এই তিনটি দিবসেই ফুলের ব্যপক চাহিদা রয়েছে । আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে চান জেলার ফুল চাষীরা । সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান এবছর তারা দশ বিঘা জমিতে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাদাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করেছেন । এতে তাদেল প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে । তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার এই তিন দিবসেই প্রায় ৬ লাখ টাকার ফুল বিক্রয় করতে পারবেন । তিনি আরো জানান ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে আগ্রীম টাকা দিয়ে ফুরের অর্ডার দিয়ে গেছেন । সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের অনেক কৃষকই ধান পাটসহ অন্যান্ন ফসলের চাষ বাদ দিয়ে এখন ফুল চাষ শুরু করেছেন । তাদের উৎপাদিত গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাদা, বেলী, জবা, সূর্য্যমুখী, ডালিয়া, হাসনাহেনা, চন্দ্রমল্লিকা, টগরসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল রাজধানী সহ সারা দেশেই যাচ্ছে । বিশেষ করে উল্লেখিত তিনটি দিবসে ফুলের বিকল্প নাই । সারা বছরই ফুলের চাহিদা থাকলেও বসন্ত, ভালবাসা দিবস, শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় ব্যাপক ভাবে । সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চক শিয়ালকোল গ্রামের ফুল চাষী আবুল হোসেন জানায় এবছর সে দুই বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছে এতে তার সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা । তার যে ফলন হয়েছে তাতে দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রী করতে পারবেন বলে আশা করছেন । সে জানান বর্তমানে তার বাগানে গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা, বেলী, হাসনাহেনা, মল্লিকা. চন্দ্রমল্লিকা, গাদা, চাইনিজ গোলাপ,সূর্য্যমুখী সহ বিভিন্ন জাতে ফুল রয়েছে ।এবছর চারা ভেদে প্রতিটি গাদা ৩০ টাকা গোলাপ ৭০- ৮০ টাকা, জবা ২৫ টাকা,বেলী ২৫ টাকা, হাসনাহেনা ৩০ টাকা, ডালিয়া ৩০-৪০ টাকা, সূর্য্যমুখী ৪০-৫০ টাকা বিক্রী করছে । এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার সাদাত জানান তিন দিবস উপলক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের ফুল চাষীরা এখন ব্যাস্ত সময় পার করছেন । আবহাওয়া অনুকুলে থাকা এবং করোনা না থাকায় ফুল চাষীরা এবার ভালো দাম পাবে বলে আশা করছেন । এছাড়া সিরাজগঞ্জের ফুলের মানও বেশ ভালো । সিরাজগঞ্জের ফুলের চাহিদা রাজধানীসহ সারা দেশেই রয়েছে বলে তিনি জানান । ফুল চাষের বিষয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং ফুল চাষে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে কৃষি বিভাগ থেকে । আমরা কৃষকদের ফুল চাষে আগ্রহী করতে চেষ্টা করছি এবং প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এতে সিরাজগঞ্জে প্রতি বছরই ফুল চাষীর সংখ্যা বাড়ছে ।
বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সিরাজগঞ্জেও শুরু হয়েছে আধুনিক পদ্বতিতে ফুল চাষ। আর ফুল চাষের মাধ্যমে চাষিরা তাদের ভাগ্য বদলের পাশাপাশি সৃষ্টি করেছে অনেক লোকের কর্মসংস্থান। আর এই ফুল চাষে লাভ বেশি হওয়াতে প্রতি বছর ফুল বাগানের সীমানা বাড়াতে ব্যস্ত প্রান্তিক ফুল চাষিরা। তবে তাদের মতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা আরো লাভবানসহ আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হবে। এব্যপারে স্থানীয় কৃষি বিভাগ ফুল চাষিদের উৎসাহ ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
আগামী ভালবাসা দিবস, ১লা ফাল্গুন আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসএবংকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ফুল চাষীরা ব্যাস্ত বাজার ধরতে । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর চাষীরা ভালো মুনাফার আশা করছেন । চলতি ফেব্রুয়ারী মাসে বাঙ্গালীর এই তিনটি উৎসব । এই তিনটি দিবসেই ফুলের ব্যপক চাহিদা রয়েছে । আর এই সুযোগ কাজে লাগাতে চান জেলার ফুল চাষীরা । সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান এবছর তারা দশ বিঘা জমিতে গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাদাসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ করেছেন । এতে তাদেল প্রায় ৩ লাখ টাকা খরচ হয়েছে । তারা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার এই তিন দিবসেই প্রায় ৬ লাখ টাকার ফুল বিক্রয় করতে পারবেন । তিনি আরো জানান ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাইকার এসে আগ্রীম টাকা দিয়ে ফুরের অর্ডার দিয়ে গেছেন । সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের অনেক কৃষকই ধান পাটসহ অন্যান্ন ফসলের চাষ বাদ দিয়ে এখন ফুল চাষ শুরু করেছেন । তাদের উৎপাদিত গোলাপ, রজনীগন্ধা, গাদা, বেলী, জবা, সূর্য্যমুখী, ডালিয়া, হাসনাহেনা, চন্দ্রমল্লিকা, টগরসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল রাজধানী সহ সারা দেশেই যাচ্ছে । বিশেষ করে উল্লেখিত তিনটি দিবসে ফুলের বিকল্প নাই । সারা বছরই ফুলের চাহিদা থাকলেও বসন্ত, ভালবাসা দিবস, শহীদ দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের চাহিদা বেড়ে যায় ব্যাপক ভাবে । সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চক শিয়ালকোল গ্রামের ফুল চাষী আবুল হোসেন জানায় এবছর সে দুই বিঘা জমিতে ফুল চাষ করেছে এতে তার সব মিলে খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা । তার যে ফলন হয়েছে তাতে দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রী করতে পারবেন বলে আশা করছেন । সে জানান বর্তমানে তার বাগানে গোলাপ, জবা, রজনীগন্ধা, বেলী, হাসনাহেনা, মল্লিকা. চন্দ্রমল্লিকা, গাদা, চাইনিজ গোলাপ,সূর্য্যমুখী সহ বিভিন্ন জাতে ফুল রয়েছে ।এবছর চারা ভেদে প্রতিটি গাদা ৩০ টাকা গোলাপ ৭০- ৮০ টাকা, জবা ২৫ টাকা,বেলী ২৫ টাকা, হাসনাহেনা ৩০ টাকা, ডালিয়া ৩০-৪০ টাকা, সূর্য্যমুখী ৪০-৫০ টাকা বিক্রী করছে । এব্যাপারে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার সাদাত জানান তিন দিবস উপলক্ষ্যে সিরাজগঞ্জের ফুল চাষীরা এখন ব্যাস্ত সময় পার করছেন । আবহাওয়া অনুকুলে থাকা এবং করোনা না থাকায় ফুল চাষীরা এবার ভালো দাম পাবে বলে আশা করছেন । এছাড়া সিরাজগঞ্জের ফুলের মানও বেশ ভালো । সিরাজগঞ্জের ফুলের চাহিদা রাজধানীসহ সারা দেশেই রয়েছে বলে তিনি জানান । ফুল চাষের বিষয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে এবং ফুল চাষে উৎসাহ দেয়া হচ্ছে কৃষি বিভাগ থেকে । আমরা কৃষকদের ফুল চাষে আগ্রহী করতে চেষ্টা করছি এবং প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তাদের হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এতে সিরাজগঞ্জে প্রতি বছরই ফুল চাষীর সংখ্যা বাড়ছে ।