সারাদেশে বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ
জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া জানান, দেশের কয়েকটি স্থানের মতো কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার পিটিআই রোড ছাত্র জনতা একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক সংসদ্য মাহাবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়ে ওই ভাঙচুর চালান। পরে তারা একটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয়া শুরু করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। কুষ্টিয়ার পিটিআই এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটি ‘হানিফ নগর’ নামে পরিচিত। এই বাড়িতে মাহাবুব উল আলম হানিফ ও তার ভাই সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ আরও কয়েকজন থাকতেন। ওই বাড়ি থেকেই মূলত কুষ্টিয়া জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো। অন্যদিকে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর খানের হাউজিং কদমতলা এলাকার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ছাত্র জনতা। এ সময় ছাত্র জনতা বলেন, ফ্যাসিসবাদী আওয়ামী লীগ ১৭ বছর ধরে অবৈধ পন্থায় সরকার ক্ষমতা সময়ে দুর্নীতিসহ অপকর্ম করেছে। এমনকি তারা দেশের জনগণকে মানুষ বলে ভাবতো না। বাংলাদেশে আর কোনো দুর্নীতিবাজ সরকারকে দেখতে চায় না ছাত্র-জনতা। ৪ আগস্ট প্রথম দফায় বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন ছাত্র-জনতা। সেদিন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। এরপর বাড়িটিতে শুধু ইট-পাথরের কাঠামোই অবশিষ্ট ছিল। এছাড়া রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুগলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব বাদশার মজমপুরস্থ বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।
প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা) জানান, সারাদেশে বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঈশ্বরদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এছাড়া ঈশ্বরদী আলহাজ্ব মোড়ে স্মৃতিস্তম্ভের পাশে নির্মিত বিদ্বেষ ছড়ানো ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ জনতা বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে রাতভর এসব কর্মকা- চলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলার আহ্বায়ক বরকত উল্লাহ ফাহাদ বলেন, দেশের? কোথাও ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না ইনশাআল্লাহ ফ্যাসিবাদের শেষ পরিণতি দেখে কেউ যাতে আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সাহস না পায় ফ্যাসিবাদী পুনঃপ্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ছাত্র-জনতা এভাবেই রুখে দেবে ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, পাবনা জেলায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে নিয়মিত? পুলিশের টহল কার্যক্রম অব্যাহত আছে কোথাও কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি পাবনা জেলা পুলিশ তৎপর আছে আমরা এরকম কোনো অভিযোগ পায়নি পেলে আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রতিনিধি, নাটোর জানান, নাটোর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসভবন জান্নাতি প্যালেসে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং ডিজে নাচ করেছে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে একটি মিছিল গিয়ে শহরের কান্দিভিটুয়াস্থ শিমুলের বাসভবন জান্নাতি প্যালেসে আগুন দেয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই আলোচিত জান্নাতি প্যালেসে লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এর পরদিন বাড়িটি থেকে আগুনে পোড়া ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা কর্মীরা। সেখান থেকে মাইক নিয়ে মিছিল করতে করতে প্রথমে সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উমা চৌধুরী জলের বাসভবন শঙ্কর ভবনে হামলা চালায়। পরে সেখান থেকে সাবেক এমপি শিমুলের বাড়িতে যায় তারা। সেখানে আগেই পুড়ে থাকা একটি গাড়িতে ও বারান্দায় আগুন জ্বালিয়ে মাইকে গান দিয়ে নাচানাচি করেন তারা।
এবিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, আসলে বাড়িটিতে তো কিছুই নেই। খবর পেয়েছি সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা সহ অন্যান্য লোকজনও রয়েছে। ডিজে পার্টি করছে শুনেছি।
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, সিলেট জানান, সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বোলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল নিয়ে এসে বুলডোজার দিয়ে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দরবাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বুলডোজার নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যান। এসময় প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় প্রথমে তারা ভেতরে ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হন। পরে তারা তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেন। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘মুজিববাদের আস্তানা, গুড়িয়ে দাও-গুড়িয়ে দাও’, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ এরকম স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই মুর্যালটি কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিলো। তবে ম্যুরালটি অপসারণের জন্য একটি গোষ্ঠি দাবি জানিয়ে আসছিলো। তাওহিদী জনতার ব্যানারে তারা ম্যুরালটি অপসারণে বিক্ষোভও করেন এবং প্রশাসনকে সময়সীমা বেঁধে দেন। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগের রাতে, ৩০ জানুয়ারি মুর্যালটির কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। যদিও প্রশাসন বলছে, মুর্যালটি কে বা কারা ভেঙেছে তা তাদের জানা নেই। এ অবস্থায় বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা বুলডোজার দিয়ে ম্যুরালটি গুড়িয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সারাদেশে বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরÑ
জেলা বার্তা পরিবেশক, কুষ্টিয়া জানান, দেশের কয়েকটি স্থানের মতো কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কুষ্টিয়ার পিটিআই রোড ছাত্র জনতা একত্রিত হয়ে মিছিল নিয়ে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক সংসদ্য মাহাবুব উল আলম হানিফের বাড়ি। রাত ৯টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ঘোষণা দিয়ে ওই ভাঙচুর চালান। পরে তারা একটি বুলডোজার নিয়ে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেয়া শুরু করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। কুষ্টিয়ার পিটিআই এলাকায় অবস্থিত ওই বাড়িটি ‘হানিফ নগর’ নামে পরিচিত। এই বাড়িতে মাহাবুব উল আলম হানিফ ও তার ভাই সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ আরও কয়েকজন থাকতেন। ওই বাড়ি থেকেই মূলত কুষ্টিয়া জেলার আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রিত হতো। অন্যদিকে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর খানের হাউজিং কদমতলা এলাকার বাড়িতে ভাঙচুর চালায় ছাত্র জনতা। এ সময় ছাত্র জনতা বলেন, ফ্যাসিসবাদী আওয়ামী লীগ ১৭ বছর ধরে অবৈধ পন্থায় সরকার ক্ষমতা সময়ে দুর্নীতিসহ অপকর্ম করেছে। এমনকি তারা দেশের জনগণকে মানুষ বলে ভাবতো না। বাংলাদেশে আর কোনো দুর্নীতিবাজ সরকারকে দেখতে চায় না ছাত্র-জনতা। ৪ আগস্ট প্রথম দফায় বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন ছাত্র-জনতা। সেদিন বাড়িতে কেউ ছিলেন না। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর আবারও ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। এরপর বাড়িটিতে শুধু ইট-পাথরের কাঠামোই অবশিষ্ট ছিল। এছাড়া রাত ১২টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা যুগলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব বাদশার মজমপুরস্থ বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।
প্রতিনিধি, ঈশ্বরদী (পাবনা) জানান, সারাদেশে বুলডোজার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঈশ্বরদীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে এছাড়া ঈশ্বরদী আলহাজ্ব মোড়ে স্মৃতিস্তম্ভের পাশে নির্মিত বিদ্বেষ ছড়ানো ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ জনতা বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে রাতভর এসব কর্মকা- চলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাবনা জেলার আহ্বায়ক বরকত উল্লাহ ফাহাদ বলেন, দেশের? কোথাও ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে না ইনশাআল্লাহ ফ্যাসিবাদের শেষ পরিণতি দেখে কেউ যাতে আর ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে সাহস না পায় ফ্যাসিবাদী পুনঃপ্রতিষ্ঠার কার্যক্রম ছাত্র-জনতা এভাবেই রুখে দেবে ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, পাবনা জেলায় সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে নিয়মিত? পুলিশের টহল কার্যক্রম অব্যাহত আছে কোথাও কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেনি পাবনা জেলা পুলিশ তৎপর আছে আমরা এরকম কোনো অভিযোগ পায়নি পেলে আইন ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
প্রতিনিধি, নাটোর জানান, নাটোর সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসভবন জান্নাতি প্যালেসে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন এবং ডিজে নাচ করেছে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত সাড়ে বারোটার দিকে একটি মিছিল গিয়ে শহরের কান্দিভিটুয়াস্থ শিমুলের বাসভবন জান্নাতি প্যালেসে আগুন দেয়। এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরেই আলোচিত জান্নাতি প্যালেসে লুটপাট করে আগুন জ্বালিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এর পরদিন বাড়িটি থেকে আগুনে পোড়া ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে এগারোটার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতা কর্মীরা। সেখান থেকে মাইক নিয়ে মিছিল করতে করতে প্রথমে সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উমা চৌধুরী জলের বাসভবন শঙ্কর ভবনে হামলা চালায়। পরে সেখান থেকে সাবেক এমপি শিমুলের বাড়িতে যায় তারা। সেখানে আগেই পুড়ে থাকা একটি গাড়িতে ও বারান্দায় আগুন জ্বালিয়ে মাইকে গান দিয়ে নাচানাচি করেন তারা।
এবিষয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুর রহমান বলেন, আসলে বাড়িটিতে তো কিছুই নেই। খবর পেয়েছি সেখানে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা সহ অন্যান্য লোকজনও রয়েছে। ডিজে পার্টি করছে শুনেছি।
নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, সিলেট জানান, সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বোলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল নিয়ে এসে বুলডোজার দিয়ে ম্যুরালটি ভেঙে ফেলেন। বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বন্দরবাজার এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে বুলডোজার নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে যান। এসময় প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় প্রথমে তারা ভেতরে ঢুকতে বাধাপ্রাপ্ত হন। পরে তারা তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেন। এসময় শিক্ষার্থীদের ‘মুজিববাদের আস্তানা, গুড়িয়ে দাও-গুড়িয়ে দাও’, আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ এরকম স্লোগান দিতে দেখা গেছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই মুর্যালটি কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিলো। তবে ম্যুরালটি অপসারণের জন্য একটি গোষ্ঠি দাবি জানিয়ে আসছিলো। তাওহিদী জনতার ব্যানারে তারা ম্যুরালটি অপসারণে বিক্ষোভও করেন এবং প্রশাসনকে সময়সীমা বেঁধে দেন। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগের রাতে, ৩০ জানুয়ারি মুর্যালটির কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। যদিও প্রশাসন বলছে, মুর্যালটি কে বা কারা ভেঙেছে তা তাদের জানা নেই। এ অবস্থায় বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা বুলডোজার দিয়ে ম্যুরালটি গুড়িয়ে দেয়।