বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নেতৃত্বে ভাস্কর্য অপসারণ
নারায়ণগঞ্জ শহরের আদালতপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও ভাস্কর্য ভেঙে দিয়েছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মাণ শ্রমিকদের সহায়তায় হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে এগুলো ভাঙা হয়।
এ ঘটনায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গণের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের আবক্ষ ভাস্কর্যটিও অপসারণ করা হয়।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নেতৃত্ব দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “এইসব ম্যুরালের দোহাই দিয়ে প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছিল। আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত নারায়ণগঞ্জ চাই।”
এর আগে বুধবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর রাতভর দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবন ভাঙার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা নির্মাণ শ্রমিকদের ডেকে আনেন। দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকরা এসে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙতে শুরু করলে আইনজীবীরাও তাতে অংশ নেন।
পরে জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনের দুটি ম্যুরালও একইভাবে ভাঙা হয়। এগুলো আগেই কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ূন কবির, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আনোয়ার প্রধান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া, মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলার ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারেও’ ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুরের সময় আবু আল ইউসুফ খান টিপু কাঁচের টুকরায় আঘাত পান।
এ সময় পুলিশ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা আসেনি।
আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, “শেখ মুজিবের ৩২ নম্বরের বাড়ি ভেঙেছে জনগণ। তার ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জেও ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে। যেখানে যেখানে শেখ মুজিবের ছবি বা স্মৃতিচিহ্ন আছে, সব ভেঙে ফেলা হবে।”
বিকালে বিএনপি নেতা শামীম ওসমানের পৈত্রিক বাড়ি বায়তুল আমান ভাঙার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “আমি আড়াইহাজারে একটি প্রোগ্রামে থাকায় ঘটনাটি সম্পর্কে তখন অবগত ছিলাম না। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নেতৃত্বে ভাস্কর্য অপসারণ
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
নারায়ণগঞ্জ শহরের আদালতপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও ভাস্কর্য ভেঙে দিয়েছে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্মাণ শ্রমিকদের সহায়তায় হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে এগুলো ভাঙা হয়।
এ ঘটনায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত, জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় প্রাঙ্গণের বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও স্থাপনা ভাঙচুর করা হয়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের আবক্ষ ভাস্কর্যটিও অপসারণ করা হয়।
বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের নেতৃত্ব দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, “এইসব ম্যুরালের দোহাই দিয়ে প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছিল। আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত নারায়ণগঞ্জ চাই।”
এর আগে বুধবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবন গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপর রাতভর দেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও আওয়ামী লীগ নেতাদের বাসভবন ভাঙার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা নির্মাণ শ্রমিকদের ডেকে আনেন। দুপুর ১২টার দিকে শ্রমিকরা এসে হাতুড়ি-শাবল দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙতে শুরু করলে আইনজীবীরাও তাতে অংশ নেন।
পরে জেলা পুলিশ সুপার ও জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সামনের দুটি ম্যুরালও একইভাবে ভাঙা হয়। এগুলো আগেই কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরকার হুমায়ূন কবির, আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আনোয়ার প্রধান, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া, মহানগর বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদসহ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতারা।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচতলার ‘বঙ্গবন্ধু কর্নারেও’ ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুরের সময় আবু আল ইউসুফ খান টিপু কাঁচের টুকরায় আঘাত পান।
এ সময় পুলিশ বা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো বাধা আসেনি।
আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, “শেখ মুজিবের ৩২ নম্বরের বাড়ি ভেঙেছে জনগণ। তার ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জেও ম্যুরাল ভাঙা হয়েছে। যেখানে যেখানে শেখ মুজিবের ছবি বা স্মৃতিচিহ্ন আছে, সব ভেঙে ফেলা হবে।”
বিকালে বিএনপি নেতা শামীম ওসমানের পৈত্রিক বাড়ি বায়তুল আমান ভাঙার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, “আমি আড়াইহাজারে একটি প্রোগ্রামে থাকায় ঘটনাটি সম্পর্কে তখন অবগত ছিলাম না। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”