গেলো চার বছরে দেশে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় দেড়গুণ। আর এ কারণে সরাইলের হাট-বাজার অলি-গলিতে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে কয়েকশত মাদ্রসা। তাদের মধ্যে ক্যাডেট ও ইন্টারন্যাশনাল নামে রয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। আমাদের দেশে সাধারণত আলীয়া, ক্বাওমী, হাফেজীয়া, এবতেদায়ী এই ৪টি ধরনের মাদ্রাসা বেশ প্রসার থাকলেও বর্তমানে এর বাহিরে ক্যাডেট ও ইন্টারন্যাশনাল নামে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা রয়েছে।
সরাইল উপজেলা সদরসহ প্রতিটি ইউনিয়নের আকর্ষণীয় সুউচ্চ ভবন ভাড়া নিয়ে এসব মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। আর এর ফলে শিক্ষার্থীদের উচ্চ মূল্য দিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাপক প্রসার করার কারণে সাধারণ শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে বলে শিক্ষাবিদরা মনে করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হৃাস পাওয়ার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে এর প্রভাব পড়ছে।
তবে এভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা বিস্তার ঘটলে ও এর নেই কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। এসব কারণে সঠিক পরিসংখ্যান নেই সরকারের কোন দপ্তরে। নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে যে যার মত গড়ে তোলা প্রতিষ্টানে বেতন/ভাতা নিচ্ছেন ইচ্ছেমত। ফলে বাধ্য হয়ে এ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
মাদ্রাসার শিক্ষকদের ভাষ্য, ‘আগে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী খুঁজতে হতো, কিন্তু এখন এমনিতেই মাদ্রাসায় অনেক শিক্ষার্থী আসছে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে যেমন মাদ্রাসায় সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে, তেমনি ধর্মীয় কারণে অনেকে মাদ্রাসা শিক্ষায় আগ্রহী। অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতি দীর্ঘ হওয়ার সঙ্গেও মাদ্রাসা শিক্ষায় আগ্রহ বাড়ার যোগসূত্র দেখছেন শিক্ষাবিদদের কেউ কেউ।
‘মুসলিম সেন্টিমেন্ট’ থেকে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের ভাবনা অনেককে মাদ্রাসা শিক্ষায় উৎসাহিত করছে। অভিভাবকদের অনেকে চিন্তা করছে, মাদ্রাসায় পড়ালে তার সন্তান মুসলিম ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা এখন মাদ্রাসাতেই কম্পিউটার শিখতে পারছে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান সম্পর্কে শেখার সুযোগ পাচ্ছে।’। এদের মধ্যে আবার মহিলা /বালিকা মাদ্রাসা ও বেশ নজর কাড়ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল রহমাতুল্লিল আলামীন দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আমানউল্লাহর বলেন কওমি মাদ্রাসা বেফাক ও হাইআতুল ওলিয়া বোর্ডের নীতিমালাই আসলে ভালো হত কিন্তু তা কেউ মানছেন না। ফলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
তিনি সবকে এ আওতায় আসার আহ্বান জানান।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল হোসাইন বলেন কিছু মাদ্রাসার নাম থাকলেও আপাতত সঠিক সংখ্যা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।মাদ্রাসা শিক্ষার নীতিমালা আবশ্যক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন অবশ্যই জরুরি ভাবে তা বাস্তবায়ন করা দরকার।
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গেলো চার বছরে দেশে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষার্থী বেড়েছে প্রায় দেড়গুণ। আর এ কারণে সরাইলের হাট-বাজার অলি-গলিতে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে উঠেছে কয়েকশত মাদ্রসা। তাদের মধ্যে ক্যাডেট ও ইন্টারন্যাশনাল নামে রয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। আমাদের দেশে সাধারণত আলীয়া, ক্বাওমী, হাফেজীয়া, এবতেদায়ী এই ৪টি ধরনের মাদ্রাসা বেশ প্রসার থাকলেও বর্তমানে এর বাহিরে ক্যাডেট ও ইন্টারন্যাশনাল নামে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা রয়েছে।
সরাইল উপজেলা সদরসহ প্রতিটি ইউনিয়নের আকর্ষণীয় সুউচ্চ ভবন ভাড়া নিয়ে এসব মাদ্রাসা গড়ে উঠেছে। আর এর ফলে শিক্ষার্থীদের উচ্চ মূল্য দিয়ে পড়াশোনা করতে হচ্ছে।
অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যাপক প্রসার করার কারণে সাধারণ শিক্ষা ব্যাহত হচ্ছে বলে শিক্ষাবিদরা মনে করেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী হৃাস পাওয়ার কারণে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে এর প্রভাব পড়ছে।
তবে এভাবে মাদ্রাসা শিক্ষা বিস্তার ঘটলে ও এর নেই কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা। এসব কারণে সঠিক পরিসংখ্যান নেই সরকারের কোন দপ্তরে। নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না করে যে যার মত গড়ে তোলা প্রতিষ্টানে বেতন/ভাতা নিচ্ছেন ইচ্ছেমত। ফলে বাধ্য হয়ে এ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
মাদ্রাসার শিক্ষকদের ভাষ্য, ‘আগে তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শিক্ষার্থী খুঁজতে হতো, কিন্তু এখন এমনিতেই মাদ্রাসায় অনেক শিক্ষার্থী আসছে।’ বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে যেমন মাদ্রাসায় সুযোগ-সুবিধা বেড়েছে, তেমনি ধর্মীয় কারণে অনেকে মাদ্রাসা শিক্ষায় আগ্রহী। অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতি দীর্ঘ হওয়ার সঙ্গেও মাদ্রাসা শিক্ষায় আগ্রহ বাড়ার যোগসূত্র দেখছেন শিক্ষাবিদদের কেউ কেউ।
‘মুসলিম সেন্টিমেন্ট’ থেকে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের ভাবনা অনেককে মাদ্রাসা শিক্ষায় উৎসাহিত করছে। অভিভাবকদের অনেকে চিন্তা করছে, মাদ্রাসায় পড়ালে তার সন্তান মুসলিম ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ নিয়ে বড় হবে। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা এখন মাদ্রাসাতেই কম্পিউটার শিখতে পারছে। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ও বিজ্ঞান সম্পর্কে শেখার সুযোগ পাচ্ছে।’। এদের মধ্যে আবার মহিলা /বালিকা মাদ্রাসা ও বেশ নজর কাড়ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরাইল রহমাতুল্লিল আলামীন দাখিল মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আমানউল্লাহর বলেন কওমি মাদ্রাসা বেফাক ও হাইআতুল ওলিয়া বোর্ডের নীতিমালাই আসলে ভালো হত কিন্তু তা কেউ মানছেন না। ফলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
তিনি সবকে এ আওতায় আসার আহ্বান জানান।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল হোসাইন বলেন কিছু মাদ্রাসার নাম থাকলেও আপাতত সঠিক সংখ্যা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না।মাদ্রাসা শিক্ষার নীতিমালা আবশ্যক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন অবশ্যই জরুরি ভাবে তা বাস্তবায়ন করা দরকার।