তদন্তের নামে লুকোচুরির অভিযোগ
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ পেতে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী কর্তৃক তথ্য জালিয়াতির ঘটনা ইতোমধ্যে সিভিল সার্জন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কক্সবাজারের সিভিল সার্জনের দেয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত চাকরি প্রার্থী আফিফাহ খানম আকিলার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে স্বপদে বহাল রাখতে সংশ্লিষ্ট একটি সুবিধাভোগী চক্র পুনরায় অভিযোগটি তদন্তের নামে লুকোচুরি শুরু করেছে। এ অবস্থায় জালিয়াতির ঘটনাটি কৌশলে ধামাচাপা পড়ে যাবে বলে এমন আশঙ্কা করছেন সিএইচসিপি পদে বৈধ আবেদনকারী ভুক্তভোগী ছাদেকুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এইচপিএনএসপির অধীনে সারাদেশে ইউনিয়ন ভিত্তিক কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে ৭৯৭ জন লোকবল নিয়োগ দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই সময় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন আফিফাহ খানম আকিলা ও ছাদেকুর রহমান নামের দুজন। তবে আবেদনকারী আফিফাহ খানম আকিলা চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও তিনি তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে ঠিকানা গোপন করে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের বাসিন্দা হিসেবে আবেদন জমা দেন। আকিলা আবেদনে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ওইসময় একইপদে অপর আবেদনকারী ছাদেকুর রহমান কক্সবাজারের সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী ছাদেকুর রহমান বলেন, আমি চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইলিশিয়া চোয়ারফাড়ি এলাকার বাসিন্দা। অপর আবেদনকারী আফিফা খানম আকিলা ভিন্ন ইউনিয়ন তথা ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়েও ঠিকানা গোপন করে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে চাকরি পেয়ে যায়।
চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন শাখার বেশকিছু কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, অভিযুক্ত আফিফাহ খানম আকিলা ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন বহিতে ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে আফিফাহ খানম আকিলার জন্ম নিবন্ধন (২০০৩২২১১৬৩১০০০৩৮২) লিপি আছে। ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন বহি (১) এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, আকিলার পিতামাতা ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকার ভোটার এবং স্থায়ী বাসিন্দা।
কক্সবাজারের জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য সিএইচসিপি পদে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালের টিএইচওকে সভাপতি করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন কক্সবাজারের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার।
এরপর ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর কমিটির সভাপতি ও টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. প্রনয় রুদ্র তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের দপ্তরে জমা দেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ পাওয়া আফিফাহ খানম আকিলা ভিন্ন ইউনিয়ন তথা ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে প্রমাডুত হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে গত ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিএইচসিপি ঢাকাস্থ লাইন ডাইরেক্টর এর কার্যালয়ে পত্র প্রেরণ করেন সিভিল সার্জন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতর এর কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডাইরেক্টর (অফিস প্রধান) ডা. হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, কক্সবাজার সিভিল সার্জন কতৃক তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত চাকরি প্রার্থী আফিফাহ খানম আকিলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার পরিচিতি সংক্রান্ত তিন ধরনের কাগজ জমা দিয়েছেন। তাই এসব কাগজপত্র যাছাই বাছাই করতে পুনরায় তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে কক্সবাজারের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তদন্তের নামে লুকোচুরির অভিযোগ
শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ পেতে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারী কর্তৃক তথ্য জালিয়াতির ঘটনা ইতোমধ্যে সিভিল সার্জন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, কক্সবাজারের সিভিল সার্জনের দেয়া ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার (সিবিএইচসি) কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত চাকরি প্রার্থী আফিফাহ খানম আকিলার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাকে স্বপদে বহাল রাখতে সংশ্লিষ্ট একটি সুবিধাভোগী চক্র পুনরায় অভিযোগটি তদন্তের নামে লুকোচুরি শুরু করেছে। এ অবস্থায় জালিয়াতির ঘটনাটি কৌশলে ধামাচাপা পড়ে যাবে বলে এমন আশঙ্কা করছেন সিএইচসিপি পদে বৈধ আবেদনকারী ভুক্তভোগী ছাদেকুর রহমান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের এইচপিএনএসপির অধীনে সারাদেশে ইউনিয়ন ভিত্তিক কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) পদে ৭৯৭ জন লোকবল নিয়োগ দিতে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই সময় কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ পেতে আবেদন করেন আফিফাহ খানম আকিলা ও ছাদেকুর রহমান নামের দুজন। তবে আবেদনকারী আফিফাহ খানম আকিলা চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হলেও তিনি তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে ঠিকানা গোপন করে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের বাসিন্দা হিসেবে আবেদন জমা দেন। আকিলা আবেদনে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ওইসময় একইপদে অপর আবেদনকারী ছাদেকুর রহমান কক্সবাজারের সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগকারী ছাদেকুর রহমান বলেন, আমি চকরিয়া উপজেলার পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইলিশিয়া চোয়ারফাড়ি এলাকার বাসিন্দা। অপর আবেদনকারী আফিফা খানম আকিলা ভিন্ন ইউনিয়ন তথা ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা হয়েও ঠিকানা গোপন করে আবেদন করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অসাধু কর্মকর্তার সহায়তায় পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের টেকছিরা রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে চাকরি পেয়ে যায়।
চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন শাখার বেশকিছু কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, অভিযুক্ত আফিফাহ খানম আকিলা ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন বহিতে ১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হিসেবে আফিফাহ খানম আকিলার জন্ম নিবন্ধন (২০০৩২২১১৬৩১০০০৩৮২) লিপি আছে। ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন বহি (১) এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, আকিলার পিতামাতা ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের নয়াপাড়া এলাকার ভোটার এবং স্থায়ী বাসিন্দা।
কক্সবাজারের জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, চকরিয়া উপজেলার রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্য সিএইচসিপি পদে নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালের টিএইচওকে সভাপতি করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন কক্সবাজারের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আসিফ আহমেদ হাওলাদার।
এরপর ২০২৪ সালের ১৬ অক্টোবর কমিটির সভাপতি ও টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. প্রনয় রুদ্র তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের দপ্তরে জমা দেন। ওই তদন্ত প্রতিবেদনে পশ্চিম বড়ভেওলা ইউনিয়নের রফিকুল কাদের কমিউনিটি ক্লিনিকে সিএইচসিপি পদে নিয়োগ পাওয়া আফিফাহ খানম আকিলা ভিন্ন ইউনিয়ন তথা ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে প্রমাডুত হয়। ওই তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে গত ২৩ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিএইচসিপি ঢাকাস্থ লাইন ডাইরেক্টর এর কার্যালয়ে পত্র প্রেরণ করেন সিভিল সার্জন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতর এর কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডাইরেক্টর (অফিস প্রধান) ডা. হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, কক্সবাজার সিভিল সার্জন কতৃক তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত চাকরি প্রার্থী আফিফাহ খানম আকিলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার পরিচিতি সংক্রান্ত তিন ধরনের কাগজ জমা দিয়েছেন। তাই এসব কাগজপত্র যাছাই বাছাই করতে পুনরায় তদন্তের জন্য ইতোমধ্যে কক্সবাজারের সিভিল সার্জনের কাছে পাঠানো হয়েছে।