নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে স্থলবন্দর নির্মাণের কথা ভাবছে সরকার নৌপরিবহন উপদেষ্টা

রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
প্রতিনিধি, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সংযোগ সড়কের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম এশিয়ান হাইওয়ে সড়ক এলাকায় স্থলবন্দর নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

শনিবার সকালে স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সীমান্ত সড়ক দেখেছি। স্থলবন্দর নির্মাণের স্পটটাও দেখেছি। এটি নিয়ে পরিকল্পনা রয়েছে। সরকার গুরুত্ব সহকারে ভাবছে, এখানে একটা স্থল বন্দর করা যায় কি না। কারণ, আগামীতে মিয়ানমারে যাই থাকুক না কেন, আমাদের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের একটা সম্পর্ক আগে ও ছিল, এখনো আছে এবং থাকবে। রোহিঙ্গারা যেহেতু ওই এলাকার। কাজেই ওটাও দেখব। ভবিষ্যতের জন্য একটা স্থল বন্দরের পরিকল্পনা করে রাখব।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা আরও বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সাথে নৌপথের চেয়ে স্থল পথ সুবিধাজনক। সেহেতু ঘুমধুমের এশিয়ান ট্রান্সরোডটি দু’দেশের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য সহজ হবে। টেকনাফে আমাদের একটা বন্দর আছে মিয়ানমারের সঙ্গে, সে জায়গাটি দেখব, আপনারা জানেন মিয়ানমারের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কেনো হয়েছিল। ওখানে কিছু আমদানি হয়, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘাতের ঘটনায় বাণিজ্য পণ্য আমদানি কিছুটা হ্রাস পেয়েছিল, সেগুলো পরিস্থিতি সাপেক্ষে স্বাভাবিকতায় ফিরে আসবে।

টেকনাফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, টেকনাফ বন্দরটা আমরা স্থলবন্দর বলি, আসলে এটা স্থলবন্দর না। এটা হয়তো নৌবন্দরে পরিণত হবে অথবা আন্তর্জাতিক কোনো বিষয় থাকলে দেখা যাবে, এটা চিপিএর (চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটি) অধীনে হতে পারে।

এ সময় বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মানজারুল মান্নান,কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবদুল্লাহ ইয়ামিন,কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবি’র অধিনায়ক লে.কর্ণেল মো.ফারুক হোসেন খানসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা সাথে ছিলেন।

উল্লেখ্য, এর আগে বিগত দিনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সড়ক দিয়ে স্থল বন্দর করার ঘোষণা দেন ২ দফা ।

আর সে কারণে এ সীমান্ত পয়েন্টে এশিয়ান হাইওয়ে নির্মাণ করা হয়। যে সড়কের প্রস্ত ১ শত ফুট।

সড়কটি সোজা মিয়ানমারের সাথে লালব্রীজ হয়ে মিয়ানমারের তুমব্রু লেপ্ট ঢেকুবুনিয়া হয়ে আরকান সড়কে সংযুক্ত হয়েছে। যেটি আরকানের মন্ডু জেলা শহরে গিয়ে ঠেকছে। আর সেখান থেকে আকিয়াব-ইয়াঙ্গুন হয়ে চীনে পৌঁছার কথা রয়েছে।

‘সারাদেশ’ : আরও খবর

সম্প্রতি