খুলনায় যৌতুকের জন্য মারিয়া সুলাতানা বৈশাখী নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর স্বজন ও প্রতিবেশীরা। নিহত মারিয়া সুলাতানা বৈশাখী (২২) খুলনা নগরের মুজগুন্নী ভিক্টোরিয়া ক্লাবের বিপরীতে সরদার বাড়ির মাসুম বিল্লাহর স্ত্রী।
বৈশাখীর বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য বৈশাখীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার দিনই খালিশপুর থানায় বৈশাখীর স্বামী মাসুম বিল্লাহ (৩৪) ও শাশুড়ি নুরজাহান বেগমের (৫৫) বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিশপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন সরকার বলেন, মামলার আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তদন্ত চলছে। আসামি দুজন পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বৈশাখীর বাবা মোহাম্মদ মিলন হোসেন বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি তার মেয়েকে মারধর করে মেরে ফেলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে জানায় মৃত অবস্থায় বৈশাখীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৈশাখীর শরীরে মারধরের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মেয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে জামাতাসহ তাদের সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে হুমকি দেন। তারা বৈশাখীর মৃতদেহ বাবার বাড়িতে নিয়ে দাফন করার জন্য চাপ দেন।
মিলন হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে স্বামী ও শাশুড়ি দুজন সব সময় অত্যাচার করত। যৌতুকের টাকা চাইত। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আমি একাধিকবার যৌতুক দিয়েছি। মাসখানেক আগেও আমার মেয়েকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে বলায় সে রাজি না হওয়ায় স্বামী ও শাশুড়ি মিলে মারধর করে।
এদিকে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার বিকেলে নগরের টুটুল নগর মোস্তফার মোড় এলাকায় আয়োজিত কর্মসূচি থেকে এ হত্যাকা-ে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নিহত গৃহবধূর স্বজন ও প্রতিবেশীরা।
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
খুলনায় যৌতুকের জন্য মারিয়া সুলাতানা বৈশাখী নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ করেছেন গৃহবধূর স্বজন ও প্রতিবেশীরা। নিহত মারিয়া সুলাতানা বৈশাখী (২২) খুলনা নগরের মুজগুন্নী ভিক্টোরিয়া ক্লাবের বিপরীতে সরদার বাড়ির মাসুম বিল্লাহর স্ত্রী।
বৈশাখীর বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, যৌতুকের জন্য বৈশাখীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলা হয়েছে। ৪ ফেব্রুয়ারি এ ঘটনার দিনই খালিশপুর থানায় বৈশাখীর স্বামী মাসুম বিল্লাহ (৩৪) ও শাশুড়ি নুরজাহান বেগমের (৫৫) বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা খালিশপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন সরকার বলেন, মামলার আইনানুগ প্রক্রিয়ায় তদন্ত চলছে। আসামি দুজন পলাতক আছে। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বৈশাখীর বাবা মোহাম্মদ মিলন হোসেন বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি তার মেয়েকে মারধর করে মেরে ফেলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে জানায় মৃত অবস্থায় বৈশাখীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। বৈশাখীর শরীরে মারধরের আঘাতের চিহ্ন ছিল।
মেয়ের মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে জামাতাসহ তাদের সঙ্গে থাকা লোকজন তাকে হুমকি দেন। তারা বৈশাখীর মৃতদেহ বাবার বাড়িতে নিয়ে দাফন করার জন্য চাপ দেন।
মিলন হোসেন বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে স্বামী ও শাশুড়ি দুজন সব সময় অত্যাচার করত। যৌতুকের টাকা চাইত। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে আমি একাধিকবার যৌতুক দিয়েছি। মাসখানেক আগেও আমার মেয়েকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে বলায় সে রাজি না হওয়ায় স্বামী ও শাশুড়ি মিলে মারধর করে।
এদিকে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার বিকেলে নগরের টুটুল নগর মোস্তফার মোড় এলাকায় আয়োজিত কর্মসূচি থেকে এ হত্যাকা-ে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নিহত গৃহবধূর স্বজন ও প্রতিবেশীরা।