অপহরণের পর ঢাকা থেকে উদ্ধার, পুলিশ জানিয়েছে বিস্তারিত
পটুয়াখালীতে নিখোঁজের দুদিন পর ঢাকায় পাওয়া গেল গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাবিষয়ক সহ সম্পাদক রবিউল আউয়াল অন্তরকে।
রোববার ভোর রাতে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন নবীনগরের নার্সারি গলির নূর হোসেন বাবুলের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে পটুয়াখালী জেলার এসপি মো. আনোয়ার জাহিদ জানান।
পরে বিকালে তাকে পটুয়াখালীতে নেওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের দাসের হাওলা গ্রামের সোলাইমান মৃধার ছেলে রবিউল আউয়াল অন্তর নিখোঁজ হন।
রোববার ভোরে ঢাকা থেকে তাকে উদ্ধারের বিষয়ে বিকালে পটুয়াখালীতে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন এসপি আনোয়ার জাহিদ।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টা থেকে ১২টা ৩৪ মিনিটের যেকোনো সময় অপহরণ মামলার ভুক্তভোগী রবিউল আউয়াল অন্তর (২৩) কে কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়ার সুয়েজ গেটের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পশ্চিম পাশের পাকা রাস্তার ওপর থেকে অপহারণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্তরের ব্যবহৃত হেলমেট ও মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। কিন্তু তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ ছিল।
পরে থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থানাধীন আশ্রাফাবাদ নবীনগরের নার্সারি গলির নুর হোসেন বাবুলের বাসা থেকে রবিউল আউয়াল অন্তরকে উদ্ধার করা হয়।
এসপি আরও বলেন, “অন্তরকে উদ্ধারের পর তিনি জানান, বৃহস্পতিবার কলাপাড়া পৌর এলাকার তার নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে রাত পৌনে ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন। পথে ওই এলাকা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাদা মাইক্রোবাসে এসে প্রথমে তার মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেন। এতে অন্তর রাস্তার পাশে পড়ে যান।
পরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা নেমে তাকে জোর করে মাইক্রো বাসে তুলে ফরিদপুরের মাওয়ায় নিয়ে ফেলে দেন। পরে তিনি সেখান থেকে বাসে ঢাকায় তার বন্ধু মো. আল আমিনের কাছে চলে যান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অন্তর।
আল আমিন তাকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় তার বন্ধু নুর হোসেন বাবুলের বাসার ভাড়াটিয়া মো. আসাদের কাছে রেখে আসেন।
আসাদকে বলা হয়, এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে চলমান আন্দোলন ও পারিবারিক কারণে সমস্যায় পড়া বন্ধু রবিউল আউয়াল অন্তর কিছুদিন তার (আসাদের) এখানে থাকবেন। সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে চলে যাবেন।
এসপির প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পুলিশ অন্তরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় কামরাঙ্গীরচর থেকে সাক্ষি হিসেবে মো. আনাছ আহমেদ, মো. আসাদ ও আল আমিন নামে তিনজনকে নিয়ে আসা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পরদিন সকালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তা ও স্থানীয় একজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন।
ওই ছয়জন হলেন, জার্জিস তালুকদার, মো. শাহআলম মাওলা হেলাল, মো. জিকো, মো. শহিদুল ভূঁইয়া, মো. রেজোয়ান, শাহিন মৃধা। তাদের মধ্যে শাহিন মৃধা ছাড়া সবাই বিসিপিসিএলের কর্মকর্তা।
এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা অন্তরকে উদ্ধারের দাবিতে কলাপাড়া থানার সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছিলেন এলাকাবাসী।
অপহরণের পর ঢাকা থেকে উদ্ধার, পুলিশ জানিয়েছে বিস্তারিত
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পটুয়াখালীতে নিখোঁজের দুদিন পর ঢাকায় পাওয়া গেল গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতাবিষয়ক সহ সম্পাদক রবিউল আউয়াল অন্তরকে।
রোববার ভোর রাতে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থানাধীন নবীনগরের নার্সারি গলির নূর হোসেন বাবুলের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয় বলে পটুয়াখালী জেলার এসপি মো. আনোয়ার জাহিদ জানান।
পরে বিকালে তাকে পটুয়াখালীতে নেওয়া হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নের দাসের হাওলা গ্রামের সোলাইমান মৃধার ছেলে রবিউল আউয়াল অন্তর নিখোঁজ হন।
রোববার ভোরে ঢাকা থেকে তাকে উদ্ধারের বিষয়ে বিকালে পটুয়াখালীতে নিজ কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন এসপি আনোয়ার জাহিদ।
ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১টা থেকে ১২টা ৩৪ মিনিটের যেকোনো সময় অপহরণ মামলার ভুক্তভোগী রবিউল আউয়াল অন্তর (২৩) কে কলাপাড়ার টিয়াখালী ইউনিয়নের রজপাড়ার সুয়েজ গেটের সামনে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের পশ্চিম পাশের পাকা রাস্তার ওপর থেকে অপহারণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্তরের ব্যবহৃত হেলমেট ও মোটরসাইকেল ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়। কিন্তু তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরগুলো বন্ধ ছিল।
পরে থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের যৌথ অভিযানে রোববার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকার কামরাঙ্গীর চর থানাধীন আশ্রাফাবাদ নবীনগরের নার্সারি গলির নুর হোসেন বাবুলের বাসা থেকে রবিউল আউয়াল অন্তরকে উদ্ধার করা হয়।
এসপি আরও বলেন, “অন্তরকে উদ্ধারের পর তিনি জানান, বৃহস্পতিবার কলাপাড়া পৌর এলাকার তার নিজস্ব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে রাত পৌনে ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে বাসায় ফিরছিলেন। পথে ওই এলাকা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা সাদা মাইক্রোবাসে এসে প্রথমে তার মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেন। এতে অন্তর রাস্তার পাশে পড়ে যান।
পরে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা নেমে তাকে জোর করে মাইক্রো বাসে তুলে ফরিদপুরের মাওয়ায় নিয়ে ফেলে দেন। পরে তিনি সেখান থেকে বাসে ঢাকায় তার বন্ধু মো. আল আমিনের কাছে চলে যান বলে পুলিশকে জানিয়েছেন অন্তর।
আল আমিন তাকে কামরাঙ্গীরচর এলাকায় তার বন্ধু নুর হোসেন বাবুলের বাসার ভাড়াটিয়া মো. আসাদের কাছে রেখে আসেন।
আসাদকে বলা হয়, এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে চলমান আন্দোলন ও পারিবারিক কারণে সমস্যায় পড়া বন্ধু রবিউল আউয়াল অন্তর কিছুদিন তার (আসাদের) এখানে থাকবেন। সমস্যার সমাধান হয়ে গেলে চলে যাবেন।
এসপির প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, পুলিশ অন্তরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় কামরাঙ্গীরচর থেকে সাক্ষি হিসেবে মো. আনাছ আহমেদ, মো. আসাদ ও আল আমিন নামে তিনজনকে নিয়ে আসা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় পরদিন সকালে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ কর্মকর্তা ও স্থানীয় একজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন অন্তরের বড় ভাই তুষার আল মামুন।
ওই ছয়জন হলেন, জার্জিস তালুকদার, মো. শাহআলম মাওলা হেলাল, মো. জিকো, মো. শহিদুল ভূঁইয়া, মো. রেজোয়ান, শাহিন মৃধা। তাদের মধ্যে শাহিন মৃধা ছাড়া সবাই বিসিপিসিএলের কর্মকর্তা।
এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা অন্তরকে উদ্ধারের দাবিতে কলাপাড়া থানার সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে আসছিলেন এলাকাবাসী।