সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় চার শতাধিক হতদরিদ্র মানুষ ফ্রি মেডিকেল সহায়তা পেয়েছেন। উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কিশোরপুরে গ্রামে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী এই চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়। আল-মোস্তফা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও করিম ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ‘হুজহু’ সম্পাদক ও করিম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাপ্তাহিক বাংলা মিরর ও অনলাইন পোর্টাল সিলেট মিরর সম্পাদক আব্দুল করিম গনি ফ্রি মেডিকেল সহায়তা কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ভার্ডচক্ষু কেন্দ্রের চিকিৎসক ও সেবিকারা দিনব্যপী এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ওইদিন সকাল দশটায় ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগেই অন্তত দশ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষ এসে জড়ো হন সেখানে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণরাও সেবা নিতে ছুটে আসেন।
আব্দুল করিম গনি বলেন, ‘আমাদের এ কার্যক্রম অতীতের ন্যায় আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’ তিনি এতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জানান, করিম ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট অরাজনৈতিক মানবিক জনসেবামূলক সংগঠন। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফাউন্ডেশন কাজ করে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তাদের এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান আব্দুল করিম গণি।
চিকিৎসা পেতে সারিবদ্ধভাবে ক্যাম্পে উপস্থিত হন অন্তত ৪০০ জন হতদরিদ্র অসুস্থ রোগী। তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
চিকিৎসা পেতে আসা ৩০ বছর বয়সী রানা বিশ^াস বলেন, ‘কিশোরপুর থেকে জগন্নাথপুর থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে এক ঘন্টার বেশি লাগে। রাস্তা-ঘাঁটও ভালা না। যেতে খরচও বেশি....একশ’ টাকা লাগে। এখানে আয়-রোজগারও নেই; আমরা এত টাকা কোথাও পাবো?’
অভিভাবকের সাথে এসেছে বিশেষ শিশুরাও। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা মানুষজন করিম ফাউন্ডেশনের এই সেবা পেয়ে ‘খুশি’ হয়েছেন, ‘সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেছেন, যারা অস্বচ্ছল তাদের গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা ও টেস্টের জন্য অনেক টাকা খরচের সামর্থ থাকে না। এই ক্যাম্পের কল্যাণে সুবিধাবঞ্চিত সেই মানুষগুজন বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ পেয়েছেন। এটি অনন্য একটি কাজ।
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় চার শতাধিক হতদরিদ্র মানুষ ফ্রি মেডিকেল সহায়তা পেয়েছেন। উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের কিশোরপুরে গ্রামে গত ৯ ফেব্রুয়ারি দিনব্যাপী এই চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়। আল-মোস্তফা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও করিম ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ‘হুজহু’ সম্পাদক ও করিম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সাপ্তাহিক বাংলা মিরর ও অনলাইন পোর্টাল সিলেট মিরর সম্পাদক আব্দুল করিম গনি ফ্রি মেডিকেল সহায়তা কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও ভার্ডচক্ষু কেন্দ্রের চিকিৎসক ও সেবিকারা দিনব্যপী এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ওইদিন সকাল দশটায় ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হয়। এর আগেই অন্তত দশ থেকে ১২টি গ্রামের মানুষ এসে জড়ো হন সেখানে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে প্রবীণরাও সেবা নিতে ছুটে আসেন।
আব্দুল করিম গনি বলেন, ‘আমাদের এ কার্যক্রম অতীতের ন্যায় আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।’ তিনি এতে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি জানান, করিম ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট অরাজনৈতিক মানবিক জনসেবামূলক সংগঠন। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফাউন্ডেশন কাজ করে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে তাদের এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান আব্দুল করিম গণি।
চিকিৎসা পেতে সারিবদ্ধভাবে ক্যাম্পে উপস্থিত হন অন্তত ৪০০ জন হতদরিদ্র অসুস্থ রোগী। তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষা করানো হয়।
চিকিৎসা পেতে আসা ৩০ বছর বয়সী রানা বিশ^াস বলেন, ‘কিশোরপুর থেকে জগন্নাথপুর থানা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে এক ঘন্টার বেশি লাগে। রাস্তা-ঘাঁটও ভালা না। যেতে খরচও বেশি....একশ’ টাকা লাগে। এখানে আয়-রোজগারও নেই; আমরা এত টাকা কোথাও পাবো?’
অভিভাবকের সাথে এসেছে বিশেষ শিশুরাও। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা মানুষজন করিম ফাউন্ডেশনের এই সেবা পেয়ে ‘খুশি’ হয়েছেন, ‘সন্তুষ্টি’ প্রকাশ করেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেছেন, যারা অস্বচ্ছল তাদের গ্রাম থেকে শহরে গিয়ে চিকিৎসা সেবা ও টেস্টের জন্য অনেক টাকা খরচের সামর্থ থাকে না। এই ক্যাম্পের কল্যাণে সুবিধাবঞ্চিত সেই মানুষগুজন বিনামূল্যে চিকিৎসা, ওষুধ পেয়েছেন। এটি অনন্য একটি কাজ।