গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রমে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের’ কর্মী নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বুধবার রাত ৯টায় মহানগরীর শিববাড়ি থেকে শুরু হয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের’ ডাকে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিলে কয়েকশত নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মহানগরীর জয়দেবপুর-রাজবাড়ী সড়কের শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজবাড়ী রোডে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন’ গাজীপুরের যুগ্ম আহ্বায়ক নাবওল হাসান।
পরে সমাবেশে বক্তারা ‘খুনি’ হাসিনার বিচার দাবি করেন এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান। এসময় অংশগ্রহণকারীরা ‘এ্যাকশন এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন, দিয়েছিতো রক্ত, আরো দেবো রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, ফাসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, কাশেম ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশ শেষে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে আবুল কাশেমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশের বক্তব্য, গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ‘দুষ্কৃতকারীরা’ হামলা চালায়। খবর পেয়ে গাজীপুরের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সদস্যরা হামলাকারীদের ‘প্রতিহত করতে’ সেই বাড়ীতে যান। এ সময় তাদের ওপর ‘হামলা’ করা হয়। হামলায় ‘১৭ জন গুরুতর আহত’ হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে তাজউদ্দীন মেডকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল তিনটায় আবুল কাশেম মারা যান।
হামলার ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একটি মামলা করেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মো: আব্দুল্লাহ আল মোহিত। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে আমজাদ মোল্লা নামের একজনকে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মন্ত্রীর ভাতিজা। এ মামলায় সর্বশেষ ১৩২ জনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য পাওয়া গেছে।
গাজীপুর মহানগরের সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, ‘শিক্ষার্থী’ নিহতের ঘটনায় আগের মামলার সঙ্গে নতুন করে হত্যা মামলা সংযুক্ত করা হবে। এ হামলায় ‘জড়িত অন্যদের’ গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাজীপুর মহানগরীর ধীরাশ্রমে সাবেক মন্ত্রীর বাড়িতে হামলায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের’ কর্মী নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বুধবার রাত ৯টায় মহানগরীর শিববাড়ি থেকে শুরু হয়ে রাজবাড়ী পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল ও শেষে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুর ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের’ ডাকে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিলে কয়েকশত নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি মহানগরীর জয়দেবপুর-রাজবাড়ী সড়কের শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে রাজবাড়ী রোডে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ‘বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন’ গাজীপুরের যুগ্ম আহ্বায়ক নাবওল হাসান।
পরে সমাবেশে বক্তারা ‘খুনি’ হাসিনার বিচার দাবি করেন এবং আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান। এসময় অংশগ্রহণকারীরা ‘এ্যাকশন এ্যাকশন, ডাইরেক্ট এ্যাকশন, দিয়েছিতো রক্ত, আরো দেবো রক্ত, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়, ফাসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই, কাশেম ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’, প্রভৃতি স্লোগান দেন।
সমাবেশ শেষে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় গাজীপুরের রাজবাড়ি মাঠে আবুল কাশেমের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশের বক্তব্য, গাজীপুর মহানগরের ধীরাশ্রম দক্ষিণখান এলাকায় সাবেক মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গত শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে ‘দুষ্কৃতকারীরা’ হামলা চালায়। খবর পেয়ে গাজীপুরের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ সদস্যরা হামলাকারীদের ‘প্রতিহত করতে’ সেই বাড়ীতে যান। এ সময় তাদের ওপর ‘হামলা’ করা হয়। হামলায় ‘১৭ জন গুরুতর আহত’ হন। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে তাজউদ্দীন মেডকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকাল তিনটায় আবুল কাশেম মারা যান।
হামলার ঘটনায় ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে একটি মামলা করেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ গাজীপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক মো: আব্দুল্লাহ আল মোহিত। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। প্রধান আসামি করা হয়েছে আমজাদ মোল্লা নামের একজনকে। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ও মন্ত্রীর ভাতিজা। এ মামলায় সর্বশেষ ১৩২ জনকে গ্রেপ্তার করার তথ্য পাওয়া গেছে।
গাজীপুর মহানগরের সদর মেট্রো থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, ‘শিক্ষার্থী’ নিহতের ঘটনায় আগের মামলার সঙ্গে নতুন করে হত্যা মামলা সংযুক্ত করা হবে। এ হামলায় ‘জড়িত অন্যদের’ গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।