পূর্বধলা (নেত্রকোনা) : বোরো খেতে সবুজের সমারোহ -সংবাদ
চারদিকে সবুজের সমারোহে ভরে গেছে ধান ক্ষেত। সবুজ শষ্য শ্যামলা অপরুপ সুন্দর লিলাভূমি নেত্রকোনার পূর্বধলার প্রকৃতি একেবারে চেয়ে গেছে সবুজে সবুজে। কৃষকের মন ভরে গেছে সবুজের আবাস দেখে। পূর্বধলায় ফসলের মাঠে বোর ধানের চারা রোপণের কাজ শেষ করে এখন চলছে আগাছা পরিষ্কার, সার, পানি দেওয়ার বেদম উৎসব। ধান খেতের সবুজ তারুণ্য দেখে কারও কোনো ক্লান্তি নেই, বিশ্রাম নেই, অবিরাম চলছে কাজ আর কাজ, কথা বলার সময় নেই। এমন তাজা ধানের লাবণ্য দেখে মন আনন্দে আর ধরে না। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
কৃষি একমাত্র পেশা হওয়ায় তাদের কষ্ট একটু বেশি করতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে দেখা যায়, গত আমন মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকরা অধিক উৎসাহ নিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার অনেক কৃষক বলছে, গত বোরো মৌসুমের তুলনায় বেশি জায়গায় ধান রোপণ করেছি ফলনও ভালো হবে আশা করছি। এদিকে এবার উপজেলায় এবার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার সম্ভবনা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ২১ হাজার ৭শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়ছে। তার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী), ১২ হাজার ৭শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং হাইব্রিড ৯ হজার ২০ হেক্টর জমিতে জাতের বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ১০ হেক্টর বেশি অর্জিত হয়েছে। আরও জানা গেছে, এ বছর ১ লাখ ৭শ’ ২৬ মে. টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এরমধ্যে উপসী ৫৪ হাজার ২শ’ ৭৩ মে. টন এবং হাইব্রিড ৪৬ হাজার ৪শ’ ৫৩ মে.টন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জোবায়ের হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই পূর্বধলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
উপজেলায় এ বছর পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে এবং কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে সার ক্রয় করতে পারছেন। বাজারে সারের প্রচুর সরবহরাহ রয়েছে। কৃষকরা সময়মতো সুষম সার প্রয়োগ করেছেন, বিভিন্ন নতুন জাতের বীজ প্রণোদনার আওতায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে আছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উপজেলায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা গত ৩ দিনে ঘুরে দেখা গেছে ধান সবুজে ভরে গেছে। কৃষক মো. আব্দুল আলী হোসেন (মানিক ম-ল), আ. বারেক, মো. ফজলু মিয়া, মো. জুয়েল মিয়া, আইয়ুব আলী, সোহাগ মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাঠা প্রতি ৮-১০ মণ ধান হবে আশা করছি। যা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে এ বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের কাজে সব সময় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা প্রদান করেছেন।
পূর্বধলা (নেত্রকোনা) : বোরো খেতে সবুজের সমারোহ -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চারদিকে সবুজের সমারোহে ভরে গেছে ধান ক্ষেত। সবুজ শষ্য শ্যামলা অপরুপ সুন্দর লিলাভূমি নেত্রকোনার পূর্বধলার প্রকৃতি একেবারে চেয়ে গেছে সবুজে সবুজে। কৃষকের মন ভরে গেছে সবুজের আবাস দেখে। পূর্বধলায় ফসলের মাঠে বোর ধানের চারা রোপণের কাজ শেষ করে এখন চলছে আগাছা পরিষ্কার, সার, পানি দেওয়ার বেদম উৎসব। ধান খেতের সবুজ তারুণ্য দেখে কারও কোনো ক্লান্তি নেই, বিশ্রাম নেই, অবিরাম চলছে কাজ আর কাজ, কথা বলার সময় নেই। এমন তাজা ধানের লাবণ্য দেখে মন আনন্দে আর ধরে না। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
কৃষি একমাত্র পেশা হওয়ায় তাদের কষ্ট একটু বেশি করতে হচ্ছে। কারণ হিসেবে দেখা যায়, গত আমন মৌসুমে ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় কৃষকরা অধিক উৎসাহ নিয়ে কাজ করছে। এ বিষয়ে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার অনেক কৃষক বলছে, গত বোরো মৌসুমের তুলনায় বেশি জায়গায় ধান রোপণ করেছি ফলনও ভালো হবে আশা করছি। এদিকে এবার উপজেলায় এবার আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার সম্ভবনা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে ২১ হাজার ৭শ’ ৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ হাজার ৮শ’ হেক্টর জমিতে ধান রোপণ করা হয়ছে। তার মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী), ১২ হাজার ৭শ’ ৭০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং হাইব্রিড ৯ হজার ২০ হেক্টর জমিতে জাতের বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ১০ হেক্টর বেশি অর্জিত হয়েছে। আরও জানা গেছে, এ বছর ১ লাখ ৭শ’ ২৬ মে. টন ধান উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে এরমধ্যে উপসী ৫৪ হাজার ২শ’ ৭৩ মে. টন এবং হাইব্রিড ৪৬ হাজার ৪শ’ ৫৩ মে.টন। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জোবায়ের হোসেন জানান, ইতোমধ্যেই পূর্বধলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০ হেক্টর জমিতে ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
উপজেলায় এ বছর পর্যাপ্ত সার মজুত রয়েছে এবং কৃষকরা ন্যায্যমূল্যে সার ক্রয় করতে পারছেন। বাজারে সারের প্রচুর সরবহরাহ রয়েছে। কৃষকরা সময়মতো সুষম সার প্রয়োগ করেছেন, বিভিন্ন নতুন জাতের বীজ প্রণোদনার আওতায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। তাছাড়া আবহাওয়া অনুকূলে আছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে উপজেলায় এবার বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা গত ৩ দিনে ঘুরে দেখা গেছে ধান সবুজে ভরে গেছে। কৃষক মো. আব্দুল আলী হোসেন (মানিক ম-ল), আ. বারেক, মো. ফজলু মিয়া, মো. জুয়েল মিয়া, আইয়ুব আলী, সোহাগ মিয়া, আব্দুর রাজ্জাক জানান আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাঠা প্রতি ৮-১০ মণ ধান হবে আশা করছি। যা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। বিশেষ করে এ বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে আমাদের কাজে সব সময় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা প্রদান করেছেন।