দেশের লবণ উৎপাদনে কক্সবাজার অন্যতম। দেশের মোট চাহিদার ৯৫ শতাংশই যোগান দেয় কক্সবাজারের লবন শিল্প। দেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষুদ্র শিল্পপণ্য লবণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকদিন ধরে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর-পোকখালীর লবণ মাঠে চাষিরা মৌসুমের মধ্য সময়ে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি বছর মৌসুমের শুরু থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় বাড়ছে উৎপাদন। সেই লবণ উৎপাদনে ঘামঝরা পরিশ্রম করলেও লবণের দাম কমে যাওয়ায় চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষেরদিক থেকে মূলত লবণের মৌসুম শুরু হয়। চলতিবছর জেলায় ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ মৌসুমে দেড় লাখের অধিক মেট্রিক টন বেশি ধরা হয়েছে।
ইসলামপুর এলাকার লবণ চাষি বেলাল উদ্দিন সংবাদকে জানান, মৌসুমে ছয় কানি (১ হেক্টর) জমিতে নিরলস পরিশ্রম করে লবণ উৎপাদন করেছেন। ফলনও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক হচ্ছে। কিন্তু এই মৌসুমের শুরুর দিকে লবণের দাম মোটামুটি ভালো থাকলেও মধ্য মৌসুমে লবণের দাম কম থাকায় তিনি হতাশ। মৌসুমের শেষেরদিকে দাম বৃদ্ধি না হলে লোকসান গুণতে হবে বলে মনে করছেন প্রান্তিক এই লবণ চাষি।
পোকখালীর লবণচাষি সাদ্দাম হোসেন সংবাদকে বলেন, মৌসুমের শুরুতে লবণের দাম প্রতি মণ ৩২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা থাকলেও সেই দাম নেমে এসেছে ২২০ টাকায় যা লবণ চাষিদের লবণ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করছে। এরূপ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বহুচাষি জমির পরিমাণ কমিয়ে দিতে বাধ্য হবেন সেইসাথে লবণ সংকটে পড়বে দেশ। বিসিক কক্সবাজারের ইসলামপুর অঞ্চলের মাঠ পরিদর্শক রাকিব হাসান সংবাদকে বলেন, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ও পোকখালীতে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুম শেষে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে। প্রান্তিক চাষিরা লবনের ন্যায্য মূল্য পাবে আশা করছি।
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দেশের লবণ উৎপাদনে কক্সবাজার অন্যতম। দেশের মোট চাহিদার ৯৫ শতাংশই যোগান দেয় কক্সবাজারের লবন শিল্প। দেশের একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্ষুদ্র শিল্পপণ্য লবণ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকদিন ধরে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর-পোকখালীর লবণ মাঠে চাষিরা মৌসুমের মধ্য সময়ে লবণ উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি বছর মৌসুমের শুরু থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় বাড়ছে উৎপাদন। সেই লবণ উৎপাদনে ঘামঝরা পরিশ্রম করলেও লবণের দাম কমে যাওয়ায় চাষিদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এর তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বরের শেষেরদিক থেকে মূলত লবণের মৌসুম শুরু হয়। চলতিবছর জেলায় ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় গত বছরের তুলনায় এ মৌসুমে দেড় লাখের অধিক মেট্রিক টন বেশি ধরা হয়েছে।
ইসলামপুর এলাকার লবণ চাষি বেলাল উদ্দিন সংবাদকে জানান, মৌসুমে ছয় কানি (১ হেক্টর) জমিতে নিরলস পরিশ্রম করে লবণ উৎপাদন করেছেন। ফলনও লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক হচ্ছে। কিন্তু এই মৌসুমের শুরুর দিকে লবণের দাম মোটামুটি ভালো থাকলেও মধ্য মৌসুমে লবণের দাম কম থাকায় তিনি হতাশ। মৌসুমের শেষেরদিকে দাম বৃদ্ধি না হলে লোকসান গুণতে হবে বলে মনে করছেন প্রান্তিক এই লবণ চাষি।
পোকখালীর লবণচাষি সাদ্দাম হোসেন সংবাদকে বলেন, মৌসুমের শুরুতে লবণের দাম প্রতি মণ ৩২০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা থাকলেও সেই দাম নেমে এসেছে ২২০ টাকায় যা লবণ চাষিদের লবণ উৎপাদনে নিরুৎসাহিত করছে। এরূপ পরিস্থিতি চলতে থাকলে বহুচাষি জমির পরিমাণ কমিয়ে দিতে বাধ্য হবেন সেইসাথে লবণ সংকটে পড়বে দেশ। বিসিক কক্সবাজারের ইসলামপুর অঞ্চলের মাঠ পরিদর্শক রাকিব হাসান সংবাদকে বলেন, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুর ও পোকখালীতে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুম শেষে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রাও ছাড়িয়ে যাবে। প্রান্তিক চাষিরা লবনের ন্যায্য মূল্য পাবে আশা করছি।