অফিস খুলে নগদ টাকা লুটে নিয়ে রিফুয়েলিং স্টেশনে তালা, প্রাণনাশের হুমকি
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মালিককে না পেয়ে কর্মচারীদের মারধরের পর তাদের কাছ থেকে অফিস রুমের চাবি নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে একদল দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। পরে কর্মচারীদের মাধ্যমে মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে চলে যায়। পাশাপাশি চাঁদা না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া এবং মালিককে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
ঘটনাটি উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নে। গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক সড়কের মৈশাইর গ্রামের ইউনিয়ন এলপিজি অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রিফুয়েলিং স্টেশন মালিক বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৭-১৮ জনকে অভিযুক্ত করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা (৯)(১১)(১৫) দায়ের করেন।বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার এবং মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিফুয়েলিং স্টেশনের স্বত্ব¡াধিকারী ব্যবসায়ী জামিল ওয়াহেদ মুহিদ।
তিনি বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ম্যানেজারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। টাকা না দিলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও আমাকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাতে মৈশাইর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে রতন খানের (৪৯) নেতৃত্বে মোটরসাইকেল করে আসা ১৭-১৮ জন বহিরাগত লোকের সবার মুখে মাস্ক, কালো কাপড় বাঁধা ও তারা দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত ছিল। প্রথমে আমাকে তারা মৈশাইর বাজারে হত্যার জন্য খোঁজাখুঁজি করে। পরে আমাকে না পেয়ে তারা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মারধর, ভাঙচুর, নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা লুটসহ আবারও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় তারা। এছাড়াও তারা আমার কর্মচারীর বেতনের ৫০ হাজার টাকা ও তাদের ৩টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আমি আতঙ্কে আছি। তাছাড়া আমার পুরো পরিবারও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর কাশেম বলেন, মামলা হওয়ার দিন রাতেই থানা পুলিশ অভিযান করেছে। খবর পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়েছে। তবে আমরা তাদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ী জামিল ওয়াহেদ মুহিদ থানায় ৩ জনের নামে ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলায় রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশ কাজ করছে। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।
অফিস খুলে নগদ টাকা লুটে নিয়ে রিফুয়েলিং স্টেশনে তালা, প্রাণনাশের হুমকি
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মালিককে না পেয়ে কর্মচারীদের মারধরের পর তাদের কাছ থেকে অফিস রুমের চাবি নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে একদল দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধে। পরে কর্মচারীদের মাধ্যমে মালিকের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে চলে যায়। পাশাপাশি চাঁদা না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া এবং মালিককে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়।
ঘটনাটি উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নে। গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা আঞ্চলিক সড়কের মৈশাইর গ্রামের ইউনিয়ন এলপিজি অটোগ্যাস রিফুয়েলিং স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রিফুয়েলিং স্টেশন মালিক বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৭-১৮ জনকে অভিযুক্ত করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা (৯)(১১)(১৫) দায়ের করেন।বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনার এবং মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিফুয়েলিং স্টেশনের স্বত্ব¡াধিকারী ব্যবসায়ী জামিল ওয়াহেদ মুহিদ।
তিনি বলেন, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে ম্যানেজারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল। টাকা না দিলে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও আমাকে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৭ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাতে মৈশাইর এলাকার মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে রতন খানের (৪৯) নেতৃত্বে মোটরসাইকেল করে আসা ১৭-১৮ জন বহিরাগত লোকের সবার মুখে মাস্ক, কালো কাপড় বাঁধা ও তারা দেশীয় অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত ছিল। প্রথমে আমাকে তারা মৈশাইর বাজারে হত্যার জন্য খোঁজাখুঁজি করে। পরে আমাকে না পেয়ে তারা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের মারধর, ভাঙচুর, নগদ ৫ লক্ষাধিক টাকা লুটসহ আবারও ১০ লাখ টাকা দাবি করে। না দিলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেবে এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলে লাশ গুম করারও হুমকি দেয় তারা। এছাড়াও তারা আমার কর্মচারীর বেতনের ৫০ হাজার টাকা ও তাদের ৩টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় আমি আতঙ্কে আছি। তাছাড়া আমার পুরো পরিবারও এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর কাশেম বলেন, মামলা হওয়ার দিন রাতেই থানা পুলিশ অভিযান করেছে। খবর পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়েছে। তবে আমরা তাদের গ্রেপ্তারে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ী জামিল ওয়াহেদ মুহিদ থানায় ৩ জনের নামে ও কয়েকজনকে অজ্ঞাত অভিযুক্ত করে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় একটি মামলায় রুজু হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে থানা পুলিশ কাজ করছে। অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না।