গত বছরের অক্টোবর মাসে রাজধানীর বাজারগুলোতে টমেটোর কেজি উঠেছিল ২৫০ টাকা পর্যন্ত। এখন বাজারে সবচেয়ে ভালোমানের টমেটো ১০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। খুলনায় পাওয়া যাচ্ছে ১০/১১ টাকা কেজি দরে। ডুমুরিয়াতে খুচরা বিক্রি হচ্ছে সাত থেকে আট টাকার মধ্যে। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকায় এই অবস্থা হয়েছে। অনেক খুচরা বিক্রেতার দোকানে টমেটো নষ্ট হচ্ছে ক্রেতার অভাবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন আমাদের ডুমুরিয়া প্রতিনিধি এম এ মজিদ কে বলেন, ‘শীতের জন্য সম্প্রতি টমেটোর চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। কিন্তু বিপরীতে সরবরাহ বেড়েছে চার গুণ। এত টমেটো কেনার লোক কই! মাল পড়ে থাকলে লোকসানে হলেও বিক্রি করতে হয়। কারণ টমেটো দ্রুত পচে যায়।এ বছর আবহাওয়া, পরিবেশ অনুকুলে থাকায় ডুমুরিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে ব্যাপক পরিমানে টমেটোর ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।
রবিবার খর্নিয়া বাজারে ভালোমানের টমেটো বিক্রি হয়েছে ৭থেকে ১০ টাকা কেজি। মূলত নিম্ন আয়ের লোকজনের বসবাস, এমন এলাকার বাজারে দাম ছিল ১০-১২ টাকা কেজি। ডুমুরিয়ার চুকনগর বাজার, আঠারো মাইল বাজার, শাহাপুর কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে আট টাকা কেজিতে। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর উৎপাদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছে, পাইকারিতে টমেটোর দাম হওয়ার কথা ২৬ টাকা। এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাম্পার ফলন হওয়ায় ফুলকপি, মুলা ও আলুর ক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ফলন বেশি হওয়ায় খুলনার ডুমুরিয়া সহ অন্যান্য এলাকার কৃষকেরাও ক্রেতা না পেয়ে হতাশ। খেত থেকে তুলে আড়ত পর্যন্ত নিয়ে যেতে শ্রমিক ও পরিবহনের যে খরচ, টমেটো বেচে সেটা উঠছে না।স্থানীয় আড়তে মাত্র দুই থেকে তিন টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রি করেছেন চাষিরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি সংরক্ষণের যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় সময় ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিষয়ের বিশিষ্ট গবেষক,সমাজ সেবক অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুম জমাদার বলেন, টমেটোর উৎপাদন মাত্র কয়েক মাস হলেও চাহিদা থাকে সারা বছর। তারপরও ভালো সংরক্ষণব্যবস্থা না থাকায় মৌসুমে ঠকেন কৃষক আর মৌসুম শেষে ঠকেন ক্রেতারা। কারণ, তখন আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। এতেকরে ক্রেতাদের তখন টমেটো সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়তে হয়।
রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
গত বছরের অক্টোবর মাসে রাজধানীর বাজারগুলোতে টমেটোর কেজি উঠেছিল ২৫০ টাকা পর্যন্ত। এখন বাজারে সবচেয়ে ভালোমানের টমেটো ১০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। খুলনায় পাওয়া যাচ্ছে ১০/১১ টাকা কেজি দরে। ডুমুরিয়াতে খুচরা বিক্রি হচ্ছে সাত থেকে আট টাকার মধ্যে। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ বেশি থাকায় এই অবস্থা হয়েছে। অনেক খুচরা বিক্রেতার দোকানে টমেটো নষ্ট হচ্ছে ক্রেতার অভাবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন আমাদের ডুমুরিয়া প্রতিনিধি এম এ মজিদ কে বলেন, ‘শীতের জন্য সম্প্রতি টমেটোর চাহিদা বেড়েছে দ্বিগুণ। কিন্তু বিপরীতে সরবরাহ বেড়েছে চার গুণ। এত টমেটো কেনার লোক কই! মাল পড়ে থাকলে লোকসানে হলেও বিক্রি করতে হয়। কারণ টমেটো দ্রুত পচে যায়।এ বছর আবহাওয়া, পরিবেশ অনুকুলে থাকায় ডুমুরিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে ব্যাপক পরিমানে টমেটোর ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে।
রবিবার খর্নিয়া বাজারে ভালোমানের টমেটো বিক্রি হয়েছে ৭থেকে ১০ টাকা কেজি। মূলত নিম্ন আয়ের লোকজনের বসবাস, এমন এলাকার বাজারে দাম ছিল ১০-১২ টাকা কেজি। ডুমুরিয়ার চুকনগর বাজার, আঠারো মাইল বাজার, শাহাপুর কাঁচাবাজারসহ বিভিন্ন পাইকারি বাজারে টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে আট টাকা কেজিতে। অথচ কৃষি বিপণন অধিদপ্তর উৎপাদনের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলেছে, পাইকারিতে টমেটোর দাম হওয়ার কথা ২৬ টাকা। এর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাম্পার ফলন হওয়ায় ফুলকপি, মুলা ও আলুর ক্ষেত্রে কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
ফলন বেশি হওয়ায় খুলনার ডুমুরিয়া সহ অন্যান্য এলাকার কৃষকেরাও ক্রেতা না পেয়ে হতাশ। খেত থেকে তুলে আড়ত পর্যন্ত নিয়ে যেতে শ্রমিক ও পরিবহনের যে খরচ, টমেটো বেচে সেটা উঠছে না।স্থানীয় আড়তে মাত্র দুই থেকে তিন টাকা কেজিতে টমেটো বিক্রি করেছেন চাষিরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি সংরক্ষণের যথেষ্ট ব্যবস্থা না থাকায় প্রায় সময় ক্ষতিগ্রস্ত হন কৃষক। কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিষয়ের বিশিষ্ট গবেষক,সমাজ সেবক অধ্যাপক আব্দুল কাইয়ুম জমাদার বলেন, টমেটোর উৎপাদন মাত্র কয়েক মাস হলেও চাহিদা থাকে সারা বছর। তারপরও ভালো সংরক্ষণব্যবস্থা না থাকায় মৌসুমে ঠকেন কৃষক আর মৌসুম শেষে ঠকেন ক্রেতারা। কারণ, তখন আমদানি করে চাহিদা মেটাতে হয়। এতেকরে ক্রেতাদের তখন টমেটো সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়তে হয়।