alt

কাজিপুরে কমেছে মিষ্টি আলুর চাষ

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ : রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সিরাজগঞ্জ : কাজিপুরে কমেছে মিষ্টি আলুর চাষ -সংবাদ

সময়ের বিবর্তণে হারিয়ে যেতে বসেছে লাভজনক মিষ্টি আলুর চাষ। ৩ দশক আগেও চরাঞ্চলবলে খ্যাত সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে অনেক বেশি জমিতে মিষ্টিজাতের আলুর চাষ হলেও বর্তমানে এর চাষ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। মিষ্টি আলুচাষের জমিতে আরও অধিক ফলন ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বেলেদোয়াস জমিতে এক সময়ের সমৃদ্ধ এই ফসলচাষের ঐহিত্য হারিয়ে একেবারে শূন্যের কোঠায় যাবার উপক্রম হয়েছে। তুলনামূলক উৎপাদন খরচ কম ও একপ্রকার কোন সার প্রয়োগ ছাড়াই মিষ্টিজাতের আলুর চাষ করতো কৃষকেরা।

বিশেষ করে যমুনার চরাঞ্চলসহ বালুময় মাটিতে এর চাষ করতো কৃষকেরা। নিম্ন আয়ের মানুষেরা চাল ও গমের মতই এই আলু কিনে নিয়ে খেয়ে জীবনধারণ করতো। উৎপাদন বেশি অথচ দামে ছিলো চাল গমের তুলনায় অনেক সস্তা। কিন্তু সময়ের বিবর্তণে আলু চাষের জমিতে কৃষক ভুট্টার চাষ করে আলুর চেয়েও অধিক ফলন ও লাভ পেতে শুরু করে। বাজারেও এর চাহিদা কমতে থাকে।

লাভের পাশাপাশি বন্যা কম হওয়া কারণেও আলুচাষাবাদ হ্রাস পেয়েছে বলে নাটুয়াপাড়া চরের কৃষক আলাউদ্দিন জানায়, কোন এক সময়ে বাড়ির উঠানে, পতিত পালান জাতীয় জমিতে পরিবারের চাহিদা মেটাতে মিষ্টি আলুর চাষাবাদ করা হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অবহেলিত মিষ্টি আলুর চাষ একেবারেই কমে গেছে। বাণিজ্যিকভাবে তো বটেই শখের বশেও কেউ এখন আলুর চাষ করে না।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে বিগত এক যুগে মিষ্টি জাতের আলুর চাষ কমেছে অনেক। আগে প্রতিটি পরিবারেই কম বেশী মিষ্টি আলুর চাষ হলেও এখন একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের সূত্রমতে গত অর্থবছরে উপজেলার ১০২ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছিলো। এবছর তা হ্রাস পেয়েত্র ৮৫ হেক্টরে এসেছে। অথচ একযুগ পূর্বেও এরপরিমাণ ছিলো এর তিনগুণ। মাইজবাড়ি চরের আলু চাষী সোহাগ মিয়া ও মেছড়া চরের জাহান আলী জানান, আমাদের বাপ-দাদারা আগে নয়/দশ বিঘাজমিতে মিষ্টি আলু চাষ করতো। এখন ওইসব জমিতে মিষ্টি আলুর পরিবর্তে লাভজনক ভুট্টাআবাদ করছি। ঐ কৃষকরা আরও জানায়, ভুট্টায় লাভ বেশি কেননা ভুট্টা বছরে দুইবার আবাদ করা যায় অথচ আলু একবারই হয়।

তাছাড়া বন্যা না হওয়ায় আলুর রোগ বালাই বেশী হয়, ভুট্টার তেমন কোন রোগ বালাই হয় না। কুনকুনিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সোবাহান জানান, এবার বিশ শতাংশ জমিতে আলু করেছি। আশাকরি ফলন ভালো হবে। বাজারে প্রতিমণ আলু ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা দরে বিক্রিকরা যাবে। তিনি বলেন প্রতি শতাংশে প্রায় দেড় থেকে দুই মণ আলুর ফলন হয়েছে।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, লাভ বেশি হওয়ায় কৃষক এখন আলুর জমিতে ভুট্টা ও বাদামের চাষ শুরচ্ করেছে। তাই মিষ্টি আলুর চাষ অনেকটাই কমে গেছে।

ছবি

বিআরটিসি বাস চালকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

দাফনের পূর্বে শিশুর নড়াচড়া, হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আটক

ছবি

পাঙ্গাস মাছের পায়েস, দুই ভাই ভাইরাল

ছবি

অফিস-কমিটি-মাঠ সবই আছে, নেই শুধু খেলার আয়োজন

ছবি

সরকারি মতিলাল ডিগ্রি কলেজে খণ্ডকালীন দিয়ে চলছে পাঠদান

ছবি

অনুপস্থিত থেকেও নিচ্ছেন বেতন-ভাতা

ছবি

নির্মাণের ১৪ মাসেও চালু হয়নি বরুড়ায় ২০ শয্যার হাসপাতাল

ছবি

দুমকিতে দূর্গোৎসব উপলক্ষে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা

ছবি

পটিয়ায় অস্ত্রের মুখে মুরগি ব্যবসায়ী অপহরণের দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

ছবি

সখীপুরে ৮ মাসে ২৪০ জনকে সর্প দংশন, হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

ছবি

শারদীয় দুর্গোৎসবে শ্রীমঙ্গলে জমজমাট পোশাকের বাজার

ছবি

বাক প্রতিবন্ধী মাসুম জীবনযুদ্ধে জয়ী, যা সবার অনুকরনীয়

ছবি

রাজশাহীতে ডাকাতির লুণ্ঠিত মালামালসহ আটক ৮

ছবি

জগন্নাথপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে বিনা খরচে মিলছে ডেলিভারি সেবা

ছবি

গোপালগঞ্জে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় চালকের সহকারী নিহত

ছবি

বাগেরহাটে মহাসড়কে প্রাণ গেল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার

ছবি

চুনারুঘাটে ধর্ষণের অভিযোগে দুই কিশোর আটক

ছবি

সিরাজগঞ্জে বাবাকে হত্যায় ছেলের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

আদমদীঘিতে ১ বছর ধরে বেতন বন্ধ খন্ডকালিন ৫ শিক্ষক-কর্মচারির

ছবি

অবৈধভাবে ভারত থেকে ফেরার পথে ৩ বাংলাদেশি আটক

ছবি

ঈশ্বরদীতে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

ছবি

শিবগঞ্জে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

সিরাজদিখানে সড়ক পাকা করার দাবিতে মানববন্ধন

ছবি

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় গরু জব্দ

ছবি

ডিমলায় হিসাবরক্ষণ অফিসে সেবা গ্রহীতাদের ভোগান্তি

ছবি

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে জামাতের প্রার্থীর ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ

ছবি

কালিগঙ্গায় বালু লুট থামছে না

ছবি

ভৈরবে চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বার্ষিক সাধারণ সভা

ছবি

ঝিনাইগাতীতে জানজট নিরসনে সক্রিয় ভিডিপির জিলন মিয়া

ছবি

ট্রাকের ধাক্কায় মা-মেয়ে নিহত

ছবি

শেষ পর্যায়ে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি

ছবি

বিদেশ ফেরতদের পুনরেকত্রীকরণে কর্মশালা

ছবি

জাল টাকা বহনের দায়ে দুই জনের কারাদন্ড

ছবি

শিলপাটা কারখানার পাথরকণায় মৃত্যুর প্রহর গুনছেন অসংখ্য শ্রমিক

ছবি

পৌরবাসি বিশুদ্ধ পানি থেকে বঞ্চিত, চালু হয়নি সাড়ে ৪ কোটি টাকার প্রকল্প

ছবি

চট্টগ্রামে সিলিন্ডার গুদামে বিস্ফোরণে ১০ জন দগ্ধ

tab

কাজিপুরে কমেছে মিষ্টি আলুর চাষ

জেলা বার্তা পরিবেশক, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জ : কাজিপুরে কমেছে মিষ্টি আলুর চাষ -সংবাদ

রোববার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সময়ের বিবর্তণে হারিয়ে যেতে বসেছে লাভজনক মিষ্টি আলুর চাষ। ৩ দশক আগেও চরাঞ্চলবলে খ্যাত সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে অনেক বেশি জমিতে মিষ্টিজাতের আলুর চাষ হলেও বর্তমানে এর চাষ আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পেয়েছে। মিষ্টি আলুচাষের জমিতে আরও অধিক ফলন ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বেলেদোয়াস জমিতে এক সময়ের সমৃদ্ধ এই ফসলচাষের ঐহিত্য হারিয়ে একেবারে শূন্যের কোঠায় যাবার উপক্রম হয়েছে। তুলনামূলক উৎপাদন খরচ কম ও একপ্রকার কোন সার প্রয়োগ ছাড়াই মিষ্টিজাতের আলুর চাষ করতো কৃষকেরা।

বিশেষ করে যমুনার চরাঞ্চলসহ বালুময় মাটিতে এর চাষ করতো কৃষকেরা। নিম্ন আয়ের মানুষেরা চাল ও গমের মতই এই আলু কিনে নিয়ে খেয়ে জীবনধারণ করতো। উৎপাদন বেশি অথচ দামে ছিলো চাল গমের তুলনায় অনেক সস্তা। কিন্তু সময়ের বিবর্তণে আলু চাষের জমিতে কৃষক ভুট্টার চাষ করে আলুর চেয়েও অধিক ফলন ও লাভ পেতে শুরু করে। বাজারেও এর চাহিদা কমতে থাকে।

লাভের পাশাপাশি বন্যা কম হওয়া কারণেও আলুচাষাবাদ হ্রাস পেয়েছে বলে নাটুয়াপাড়া চরের কৃষক আলাউদ্দিন জানায়, কোন এক সময়ে বাড়ির উঠানে, পতিত পালান জাতীয় জমিতে পরিবারের চাহিদা মেটাতে মিষ্টি আলুর চাষাবাদ করা হতো। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে অবহেলিত মিষ্টি আলুর চাষ একেবারেই কমে গেছে। বাণিজ্যিকভাবে তো বটেই শখের বশেও কেউ এখন আলুর চাষ করে না।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে বিগত এক যুগে মিষ্টি জাতের আলুর চাষ কমেছে অনেক। আগে প্রতিটি পরিবারেই কম বেশী মিষ্টি আলুর চাষ হলেও এখন একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। কৃষি অফিসের সূত্রমতে গত অর্থবছরে উপজেলার ১০২ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছিলো। এবছর তা হ্রাস পেয়েত্র ৮৫ হেক্টরে এসেছে। অথচ একযুগ পূর্বেও এরপরিমাণ ছিলো এর তিনগুণ। মাইজবাড়ি চরের আলু চাষী সোহাগ মিয়া ও মেছড়া চরের জাহান আলী জানান, আমাদের বাপ-দাদারা আগে নয়/দশ বিঘাজমিতে মিষ্টি আলু চাষ করতো। এখন ওইসব জমিতে মিষ্টি আলুর পরিবর্তে লাভজনক ভুট্টাআবাদ করছি। ঐ কৃষকরা আরও জানায়, ভুট্টায় লাভ বেশি কেননা ভুট্টা বছরে দুইবার আবাদ করা যায় অথচ আলু একবারই হয়।

তাছাড়া বন্যা না হওয়ায় আলুর রোগ বালাই বেশী হয়, ভুট্টার তেমন কোন রোগ বালাই হয় না। কুনকুনিয়া গ্রামের কৃষক আব্দুস সোবাহান জানান, এবার বিশ শতাংশ জমিতে আলু করেছি। আশাকরি ফলন ভালো হবে। বাজারে প্রতিমণ আলু ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা দরে বিক্রিকরা যাবে। তিনি বলেন প্রতি শতাংশে প্রায় দেড় থেকে দুই মণ আলুর ফলন হয়েছে।

কাজিপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শরিফুল ইসলাম জানান, লাভ বেশি হওয়ায় কৃষক এখন আলুর জমিতে ভুট্টা ও বাদামের চাষ শুরচ্ করেছে। তাই মিষ্টি আলুর চাষ অনেকটাই কমে গেছে।

back to top