ফাইল ছবি
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহের আখড়াবাড়িতে এবছর মাত্র এক দিন লালন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৩ মার্চ এই উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এবার থাকছে না আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা।
বুধবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে ‘লালন স্মরণোৎসব-২০২৫’ এর প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো. তৌফিকুর রহমান। তিনি বলেন, “এবছর লালন মাঠে কোনো ইজারা দেওয়া হচ্ছে না, ফলে সেখানে মেলা বা সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকছে না। এছাড়া, স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যদি মাদক সেবন বা বিক্রি করেন, তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রোজার মাসে দিবসটি হওয়ায় এবছর উৎসব সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় সভায়।
লালনের জীবদ্দশা থেকেই দোলপূর্ণিমাকে ঘিরে প্রতি বছর ছেঁউড়িয়ায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তার প্রয়াণের পরও প্রতি বছর তিন দিন ধরে লালন স্মরণোৎসব পালন করা হয়। কখনো ভক্তদের দাবিতে উৎসবের সময় বাড়ানোও হতো।
তবে এবছর শুধুমাত্র ভক্ত-অনুসারীদের মূল আচার-অনুষ্ঠান রাখা হবে।
ডিসি জানিয়েছেন, ১৩ মার্চ সন্ধ্যা ও রাতে লালন একাডেমির পক্ষ থেকে বাউল, ভক্ত ও ফকিরদের ‘বাল্যসেবা’ দেওয়া হবে। ১৪ মার্চ দুপুরে খিলাফতধারী বাউল ফকিররা নিজস্ব উদ্যোগে ‘পূর্ণসেবা’ গ্রহণ করবেন।
প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন— কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বাউল ফিরোজ সাঁই, রাজ্জাক সাঁই, শফি সাঁই, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, নাগরিক প্রতিনিধি আলমাস হোসেন মামুন।
এবারের আয়োজন সীমিত হলেও লালন অনুসারীদের ভক্তি ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে স্মরণোৎসব পালন করা হবে।
ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫
কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহের আখড়াবাড়িতে এবছর মাত্র এক দিন লালন স্মরণোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ১৩ মার্চ এই উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এবার থাকছে না আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও গ্রামীণ মেলা।
বুধবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে ‘লালন স্মরণোৎসব-২০২৫’ এর প্রস্তুতি সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো. তৌফিকুর রহমান। তিনি বলেন, “এবছর লালন মাঠে কোনো ইজারা দেওয়া হচ্ছে না, ফলে সেখানে মেলা বা সাংস্কৃতিক আয়োজন থাকছে না। এছাড়া, স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে কেউ যদি মাদক সেবন বা বিক্রি করেন, তাহলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রোজার মাসে দিবসটি হওয়ায় এবছর উৎসব সংক্ষিপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় সভায়।
লালনের জীবদ্দশা থেকেই দোলপূর্ণিমাকে ঘিরে প্রতি বছর ছেঁউড়িয়ায় এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তার প্রয়াণের পরও প্রতি বছর তিন দিন ধরে লালন স্মরণোৎসব পালন করা হয়। কখনো ভক্তদের দাবিতে উৎসবের সময় বাড়ানোও হতো।
তবে এবছর শুধুমাত্র ভক্ত-অনুসারীদের মূল আচার-অনুষ্ঠান রাখা হবে।
ডিসি জানিয়েছেন, ১৩ মার্চ সন্ধ্যা ও রাতে লালন একাডেমির পক্ষ থেকে বাউল, ভক্ত ও ফকিরদের ‘বাল্যসেবা’ দেওয়া হবে। ১৪ মার্চ দুপুরে খিলাফতধারী বাউল ফকিররা নিজস্ব উদ্যোগে ‘পূর্ণসেবা’ গ্রহণ করবেন।
প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন— কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, বাউল ফিরোজ সাঁই, রাজ্জাক সাঁই, শফি সাঁই, কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু, নাগরিক প্রতিনিধি আলমাস হোসেন মামুন।
এবারের আয়োজন সীমিত হলেও লালন অনুসারীদের ভক্তি ও শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে স্মরণোৎসব পালন করা হবে।