গাছের বোবা কান্না কে শুনবে? বিজ্ঞাপন আর প্রচারণায় ছেয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাস ষ্ট্যান্ডের এই বটগাছ টি । তার বোবা কান্না কেউ শুনতে পাইনা।আর এসব পোস্টার, ফেস্টুন ছেয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। প্রকৃতি আর মানুষের বন্ধু গাছের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। যেন দেখার কেউ নেই।এ সব অবৈধ সাইনবোর্ড দীর্ঘদিনেও অপসারণ না হওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন সহ এলাকার সচেতন মানুষ এর প্রতিকার চাই
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা- দামুড়হুদা সড়কের উপজেলা দামুড়হুদা বাস ষ্ট্যান্ড এই বট গাছ টির তার বোবা কান্না কেউ শুনতে পাই না। অথচ গাছেরও প্রাণ আছে, আছে অনুভূতি শক্তি। বিজ্ঞানের কল্যাণে এ কথা আজ আর কারও অজানা নয়। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু দেখিয়েছিলেন, উদ্ভিদেরও প্রাণীদের মতো সুখ-দুঃখের অনুভূতি আছে। এ ছাড়া উদ্ভিদ গরম, ঠান্ডা, শব্দ প্রভৃতিতে উদ্দীপিত হয়। তার আবিষ্কৃত ‘ক্রেস্কোগ্রাফ’ যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি অতি সূক্ষ্মভাবে গাছের বৃদ্ধি মাপতে সক্ষম হন। প্রাণী ও উদ্ভিদের মাঝে অনেক সাদৃশ্যের প্রমাণও তিনি দেখিয়েছিলেন। যুগান্তকারী এই গবেষণার কোন সন্দেহ নেই।
আসলে গাছের বোবা কান্না আমরা শুনতে পাই না। আর তা পাই না বলেই গাছের ওপর এমন অত্যাচার চালানো হয়।উপজেলার জুড়ে বিভিন্ন সড়ক গুলোতে গাছের মধ্যে লাগানো বিজ্ঞাপন বোর্ডে সয়লাব। এতে করে পরিবেশের সৌন্দর্য্য নষ্ট হবার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।কথায় আছে, গাছ মানুষের পরম বন্ধু। গাছ মানুষকে অক্সিজেন দেয়। সেই অক্সিজেন নিয়ে মানুষ ও প্রাণী বেঁচে থাকে। জীবন বাঁচানো সেই গাছেরই ক্ষতি করছে কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ।
গাছ শুধু আমাদের জীবনই বাঁচায় না বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও বাড়ি-ঘরকে রক্ষা করে। কিন্তু এখন উল্টো চিত্র দেখা যায় মানুষের নির্যাতনের স্বীকার হয়ে সেই গাছেই দুর্যোগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কে লাগানো ছোট বড় গাছের গায়ে লোহার পেরেক দিয়ে আটকানো হয়েছে অসংখ্য সাইন বোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড। বিভিন্ন গাছে ঝুলছে ব্যবসায়িক, চিকিৎসক এবং বিভিন্ন নামের প্রচার-প্রচারণার অসংখ্য ছোট-বড় সাইন বোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিজ্ঞাপন। পিছিয়ে নেই বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলোও। এসব ব্যানার, ফেস্টুন, বিজ্ঞাপন ঝোলানো হয়েছে পেরেক ঠুকে। এক একটি গাছ যেন এক একটি বিজ্ঞাপন বোর্ড। কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই যে যেখানে পারছে পেরেক ঠুকে গাছকে বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করছে। পেরেক দিয়ে লাগানো হয়েছে।গাছে গাছে বড় বড় পেরেক পুতে সাইনবোর্ড, বিল বোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব গাছের প্রতি মানুষের এ অত্যাচারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্টের পাশাপাশি অক্সিজেনের ফ্যাক্টরী খ্যাত শত শত গাছ দিন দিন শুকিয়ে মরে যাবে।
সাংবাদিক নুরুল আলম বাকু বলেন, উপজেলার প্রায় সর্বত্র এবং উপজেলার বিভিন্ন সড়কের চোখ মেলেই গাছে বিজ্ঞাপনে ভরা। রাস্তার পাশে গাছে গাছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে ভরে গেছে। প্রতিষ্ঠানিক পন্যের প্রচারণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে গাছ ।গাছের গায়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের কারণে একদিকে যেমন গাছগুলো ঠিক বেড়ে উঠতে পারছেনা। তেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ সব অবৈধ সাইনবোর্ড দীর্ঘদিনেও অপসারণ না হওয়ায় এলাকার সতেচন মহলের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ।। অবৈধভাবে গাছে পেরেক দিয়ে পোস্টার ফেস্টুন লাগিয়ে মারাত্মকভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। আইন থাকলেও শুধু কাগজ কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কোনো দিন দেখলাম না কোন অভিযান পরিচালনা করে জেল, জরিমানা করা হয়েছে। গাছের প্রতি এই নিষ্ঠুর আচরণ দেশের বন আইনে দন্ডনীয় অপরাধ হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে কার্যকরি পদক্ষেপ নেবার দাবি জানান।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান বলেন, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব মানুষের। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, ছায়া দেয়, ফল-ফুল ও জ্বালানী দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। ঝড়-বন্যা থেকে রক্ষা করে। অথচ ইদানিং সর্বত্র দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের স্বার্থে গাছে গাছে বড় বড় পেরেক ঠুকে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে দিয়ে প্রকৃতির প্রতি নির্মম আচরণ করছে। আমাদের দাবী পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন এ বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। গাছ থেকে এ সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে দ্রত ব্যবস্থা নেবেন। এসব মহৎ কাজে আমাদের সংগঠন প্রশাসনের পাশে থাকবে। পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয়। তা দিয়ে পানি ও তার সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব প্রবেশ করে। এতে গাছে দ্রুত পচন ধরে।
ফলে তার খাদ্য ও পানি শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতে করে গাছটি মারাও যেতে পারে। তাই কোনো গাছে পেরেক ঠোকা মানে ওই গাছের চরম ক্ষতি করা। গাছের পরিচর্যা করার বদলে উল্টো বিজ্ঞাপনের নামে গাছের চরম ক্ষতি করা হচ্ছে। গাছের প্রতি এই নিষ্ঠুর আচরণ দেশের বন আইনে দন্ডনীয় অপরাধ হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানাচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতের সরকারি আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, শহরের সৌন্দর্য রক্ষা ও পরিচ্ছন্নতা বিধানে সরকার দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো নিয়ন্ত্রণ আইন- পাস করেন। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কেউ পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড লাগানে অর্থদন্ডসহ বিনাশ্রম কারাদন্ড দেবার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই আইনের প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন বিজ্ঞাপনের নামে সৌন্দর্য নষ্ট করার যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা নিয়মিত রাখার দাবি করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিএ বলেন, কোন গাছ বা স্থাপনায় ব্যানার বিলবোর্ড লাগানো আইনত নিষিদ্ধ।অনুমতি ছাড়া গাছে গাছে টানানো বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের এসব অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড দ্রুত অপসরণ করা হবে
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
গাছের বোবা কান্না কে শুনবে? বিজ্ঞাপন আর প্রচারণায় ছেয়ে গেছে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার বাস ষ্ট্যান্ডের এই বটগাছ টি । তার বোবা কান্না কেউ শুনতে পাইনা।আর এসব পোস্টার, ফেস্টুন ছেয়ে যাচ্ছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। প্রকৃতি আর মানুষের বন্ধু গাছের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়েই চলেছে। যেন দেখার কেউ নেই।এ সব অবৈধ সাইনবোর্ড দীর্ঘদিনেও অপসারণ না হওয়ায় পরিবেশবাদী সংগঠন সহ এলাকার সচেতন মানুষ এর প্রতিকার চাই
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা- দামুড়হুদা সড়কের উপজেলা দামুড়হুদা বাস ষ্ট্যান্ড এই বট গাছ টির তার বোবা কান্না কেউ শুনতে পাই না। অথচ গাছেরও প্রাণ আছে, আছে অনুভূতি শক্তি। বিজ্ঞানের কল্যাণে এ কথা আজ আর কারও অজানা নয়। উদ্ভিদ বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু দেখিয়েছিলেন, উদ্ভিদেরও প্রাণীদের মতো সুখ-দুঃখের অনুভূতি আছে। এ ছাড়া উদ্ভিদ গরম, ঠান্ডা, শব্দ প্রভৃতিতে উদ্দীপিত হয়। তার আবিষ্কৃত ‘ক্রেস্কোগ্রাফ’ যন্ত্রের মাধ্যমে তিনি অতি সূক্ষ্মভাবে গাছের বৃদ্ধি মাপতে সক্ষম হন। প্রাণী ও উদ্ভিদের মাঝে অনেক সাদৃশ্যের প্রমাণও তিনি দেখিয়েছিলেন। যুগান্তকারী এই গবেষণার কোন সন্দেহ নেই।
আসলে গাছের বোবা কান্না আমরা শুনতে পাই না। আর তা পাই না বলেই গাছের ওপর এমন অত্যাচার চালানো হয়।উপজেলার জুড়ে বিভিন্ন সড়ক গুলোতে গাছের মধ্যে লাগানো বিজ্ঞাপন বোর্ডে সয়লাব। এতে করে পরিবেশের সৌন্দর্য্য নষ্ট হবার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।কথায় আছে, গাছ মানুষের পরম বন্ধু। গাছ মানুষকে অক্সিজেন দেয়। সেই অক্সিজেন নিয়ে মানুষ ও প্রাণী বেঁচে থাকে। জীবন বাঁচানো সেই গাছেরই ক্ষতি করছে কিছু বিকৃত মানসিকতার মানুষ।
গাছ শুধু আমাদের জীবনই বাঁচায় না বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকেও বাড়ি-ঘরকে রক্ষা করে। কিন্তু এখন উল্টো চিত্র দেখা যায় মানুষের নির্যাতনের স্বীকার হয়ে সেই গাছেই দুর্যোগের বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়কে লাগানো ছোট বড় গাছের গায়ে লোহার পেরেক দিয়ে আটকানো হয়েছে অসংখ্য সাইন বোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড। বিভিন্ন গাছে ঝুলছে ব্যবসায়িক, চিকিৎসক এবং বিভিন্ন নামের প্রচার-প্রচারণার অসংখ্য ছোট-বড় সাইন বোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও বিজ্ঞাপন। পিছিয়ে নেই বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং সেন্টারগুলোও। এসব ব্যানার, ফেস্টুন, বিজ্ঞাপন ঝোলানো হয়েছে পেরেক ঠুকে। এক একটি গাছ যেন এক একটি বিজ্ঞাপন বোর্ড। কোন নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই যে যেখানে পারছে পেরেক ঠুকে গাছকে বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যবহার করছে। পেরেক দিয়ে লাগানো হয়েছে।গাছে গাছে বড় বড় পেরেক পুতে সাইনবোর্ড, বিল বোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলিয়ে পরিবেশ বিনষ্ট করা হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব গাছের প্রতি মানুষের এ অত্যাচারে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিনষ্টের পাশাপাশি অক্সিজেনের ফ্যাক্টরী খ্যাত শত শত গাছ দিন দিন শুকিয়ে মরে যাবে।
সাংবাদিক নুরুল আলম বাকু বলেন, উপজেলার প্রায় সর্বত্র এবং উপজেলার বিভিন্ন সড়কের চোখ মেলেই গাছে বিজ্ঞাপনে ভরা। রাস্তার পাশে গাছে গাছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে ভরে গেছে। প্রতিষ্ঠানিক পন্যের প্রচারণার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে গাছ ।গাছের গায়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের কারণে একদিকে যেমন গাছগুলো ঠিক বেড়ে উঠতে পারছেনা। তেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ সব অবৈধ সাইনবোর্ড দীর্ঘদিনেও অপসারণ না হওয়ায় এলাকার সতেচন মহলের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ।। অবৈধভাবে গাছে পেরেক দিয়ে পোস্টার ফেস্টুন লাগিয়ে মারাত্মকভাবে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করা হচ্ছে। আইন থাকলেও শুধু কাগজ কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। কোনো দিন দেখলাম না কোন অভিযান পরিচালনা করে জেল, জরিমানা করা হয়েছে। গাছের প্রতি এই নিষ্ঠুর আচরণ দেশের বন আইনে দন্ডনীয় অপরাধ হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে কার্যকরি পদক্ষেপ নেবার দাবি জানান।
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান বলেন, ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব মানুষের। গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, ছায়া দেয়, ফল-ফুল ও জ্বালানী দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। ঝড়-বন্যা থেকে রক্ষা করে। অথচ ইদানিং সর্বত্র দেখা যাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষ নিজেদের স্বার্থে গাছে গাছে বড় বড় পেরেক ঠুকে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে দিয়ে প্রকৃতির প্রতি নির্মম আচরণ করছে। আমাদের দাবী পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসন এ বিষয়টি অতি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। গাছ থেকে এ সব সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণে দ্রত ব্যবস্থা নেবেন। এসব মহৎ কাজে আমাদের সংগঠন প্রশাসনের পাশে থাকবে। পেরেক লাগানোর কারণে গাছের গায়ে যে ছিদ্র হয়। তা দিয়ে পানি ও তার সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া ও অণুজীব প্রবেশ করে। এতে গাছে দ্রুত পচন ধরে।
ফলে তার খাদ্য ও পানি শোষণ প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। এতে করে গাছটি মারাও যেতে পারে। তাই কোনো গাছে পেরেক ঠোকা মানে ওই গাছের চরম ক্ষতি করা। গাছের পরিচর্যা করার বদলে উল্টো বিজ্ঞাপনের নামে গাছের চরম ক্ষতি করা হচ্ছে। গাছের প্রতি এই নিষ্ঠুর আচরণ দেশের বন আইনে দন্ডনীয় অপরাধ হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানাচ্ছি।
চুয়াডাঙ্গা জজ আদালতের সরকারি আইনজীবী আব্দুল খালেক বলেন, শহরের সৌন্দর্য রক্ষা ও পরিচ্ছন্নতা বিধানে সরকার দেয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো নিয়ন্ত্রণ আইন- পাস করেন। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কেউ পোস্টার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড লাগানে অর্থদন্ডসহ বিনাশ্রম কারাদন্ড দেবার বিধান রয়েছে। কিন্তু এই আইনের প্রয়োগ না থাকায় দিন দিন বিজ্ঞাপনের নামে সৌন্দর্য নষ্ট করার যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা নিয়মিত রাখার দাবি করেন তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিথি মিএ বলেন, কোন গাছ বা স্থাপনায় ব্যানার বিলবোর্ড লাগানো আইনত নিষিদ্ধ।অনুমতি ছাড়া গাছে গাছে টানানো বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের এসব অবৈধ বিলবোর্ড, সাইনবোর্ড দ্রুত অপসরণ করা হবে