সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। দামও রাখা হচ্ছে বেশি। আকারভেদে এসব তরমুজ ৫৫ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। এভাবে বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের কেজি প্রতি দরে ক্রয় করতে হচ্ছে। এতে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও নিরুপায় হয়েই বিক্রেতাদের চাপানো নিয়মেই তরমুজ কিনছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
অপরদিকে লেবু ক্রয় সক্ষমতা ছাড়িয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। এটির ক্ষেত্রেও আকারভেদে প্রতিটি লেবু ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দামের ব্যাপকতায় লেবু আর হালী বা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে না, হচ্ছে পিস হিসেবে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, অতীতে ন্যায্য মূল্যে বেচাকেনা হলেও সময়ের ব্যবধানে এখানে অসাধু ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে উচ্চবিত্তদের কেনাকাটায় সমস্যা না হলেও, বিপাকে পড়ছেন নিম্নও মধ্যম আয়ের মানুষ। বিক্রেতারা প্রতিদিন শত শত পিস তরমুজ ও লেবু নিয়ে বসে থাকেন। তবু সহনীয় দামে বিক্রি করছেন না।
উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা এসে পিস হিসেবে তরমুজ ও লেবু কিনতে দামাদামি করছেন; কিন্তু বিক্রেতারা জানাচ্ছেন - এভাবে বিক্রি করা হবে না। কোনো বিক্রেতা তরমুজ ৬০ টাকা কেজি, আবার কেউ কেউ ৭০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন। এভাবে গড়ে প্রতিটি তরমুজের দাম ৩ শত থেকে ৪ শত টাকা বা তারও বেশি হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। লেবুর অবস্থা তার ব্যতিক্রম নয়। বাড়তি দাম দেখে অনেকে ফল ২ টি না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
আমিনা খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, তরমুজ ও লেবুর অভাব নেই। উভয় পণ্যের কয়েকটি দোকানে ঘুরে তরমুজ পিস হিসেবে কিনতে পারলাম না। বাধ্য হয়েই ৫ কেজি ওজনের ১ টি তরমুজ ৩ শত ২৫ টাকায় কিনেছি। লেবুর দাম অতিরিক্ত হওয়ায় কেনাই হয় নাই।
শাহাদাত হোসেন নামের এক তরমুজ বিক্রেতা বলেন, বাজারের সবাই কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন। তাই আমিও এভাবেই বিক্রি করছি। তবে পিস হিসেবে বিক্রি করলে দাম আরও বাড়বে। এতে ক্রেতারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লোকমান নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, লেবুর আমদানি তুলনামূলক কম, রোজার মাসে এর চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে দামও একটু বেড়ে যায়; কিন্তু এবার বাড়ার পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিক্রি করছি না। ক্রেতারাও কম কিনছেন বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা অফিস মারফত জানা যায়, ইচ্ছেমতো দামে বিক্রির প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার।
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। দামও রাখা হচ্ছে বেশি। আকারভেদে এসব তরমুজ ৫৫ থেকে ৭০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। এভাবে বাধ্য হয়ে ক্রেতাদের কেজি প্রতি দরে ক্রয় করতে হচ্ছে। এতে তারা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানালেও নিরুপায় হয়েই বিক্রেতাদের চাপানো নিয়মেই তরমুজ কিনছেন বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
অপরদিকে লেবু ক্রয় সক্ষমতা ছাড়িয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। এটির ক্ষেত্রেও আকারভেদে প্রতিটি লেবু ১৫ থেকে ২০ টাকা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে। দামের ব্যাপকতায় লেবু আর হালী বা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে না, হচ্ছে পিস হিসেবে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, অতীতে ন্যায্য মূল্যে বেচাকেনা হলেও সময়ের ব্যবধানে এখানে অসাধু ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। ফলে যৌক্তিক কারণ ছাড়াই যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে উচ্চবিত্তদের কেনাকাটায় সমস্যা না হলেও, বিপাকে পড়ছেন নিম্নও মধ্যম আয়ের মানুষ। বিক্রেতারা প্রতিদিন শত শত পিস তরমুজ ও লেবু নিয়ে বসে থাকেন। তবু সহনীয় দামে বিক্রি করছেন না।
উপজেলার চান্দাইকোনা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা এসে পিস হিসেবে তরমুজ ও লেবু কিনতে দামাদামি করছেন; কিন্তু বিক্রেতারা জানাচ্ছেন - এভাবে বিক্রি করা হবে না। কোনো বিক্রেতা তরমুজ ৬০ টাকা কেজি, আবার কেউ কেউ ৭০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন। এভাবে গড়ে প্রতিটি তরমুজের দাম ৩ শত থেকে ৪ শত টাকা বা তারও বেশি হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। লেবুর অবস্থা তার ব্যতিক্রম নয়। বাড়তি দাম দেখে অনেকে ফল ২ টি না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন।
আমিনা খাতুন নামের এক ক্রেতা বলেন, তরমুজ ও লেবুর অভাব নেই। উভয় পণ্যের কয়েকটি দোকানে ঘুরে তরমুজ পিস হিসেবে কিনতে পারলাম না। বাধ্য হয়েই ৫ কেজি ওজনের ১ টি তরমুজ ৩ শত ২৫ টাকায় কিনেছি। লেবুর দাম অতিরিক্ত হওয়ায় কেনাই হয় নাই।
শাহাদাত হোসেন নামের এক তরমুজ বিক্রেতা বলেন, বাজারের সবাই কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন। তাই আমিও এভাবেই বিক্রি করছি। তবে পিস হিসেবে বিক্রি করলে দাম আরও বাড়বে। এতে ক্রেতারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। লোকমান নামের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, লেবুর আমদানি তুলনামূলক কম, রোজার মাসে এর চাহিদা বেড়ে যায়, ফলে দামও একটু বেড়ে যায়; কিন্তু এবার বাড়ার পরিমাণ বেশি হওয়ায় বিক্রি করছি না। ক্রেতারাও কম কিনছেন বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জেলা অফিস মারফত জানা যায়, ইচ্ছেমতো দামে বিক্রির প্রমাণ মিললে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার।