মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায় আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।
রোববার বেলা ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন। দন্ডপ্রাপ্ত মাজেদা বেগম শ্রীনগর উপজেলার পুঁটিমারা গ্রামের অলিউল্লাহ মোল্লার স্ত্রী।
সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদীর ভাই অলিউল্লাহ মোল্লা সৌদি আরব প্রবাসী। তিনি মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতেন। তিন সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী মাজেদা বেগম আলাদা থাকেন। সর্বশেষ অলিউল্লাহ সৌদি আরব থেকে দেশে আসার পর তার স্ত্রী মাজেদা বেগমের সঙ্গে সংসারের বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য হয়।
২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতের খাবার খেয়ে সৌদি প্রবাসী অলিউল্লাহ তার বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকাল ৬টার দিকে অভিযুক্ত মাজেদা বেগম তার দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় মাজেদা বেগমকে ভাশুর ও মামলার বাদী, কোথায় যাওয়া হচ্ছে জিজ্ঞেস করেন। এ সময় তিনি জানান তার স্বামীর টিকেটের টাকা সংগ্রহ করার জন্য বাইরে যাচ্ছেন।
পরে দুপুর ১২টার দিকে অলিউল্লার বাসায় পুলিশ ও লোকজন দেখে তার বড় ভাই মামলার বাদী পুলিশ প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের সহায়তায় অলিউল্লাহর ঘরের দরজা খুলে ভেতরে অলিউল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় গলায় ওড়না পেঁচানো ও হাতে পায়ে রশি দিয়ে তার দেহ বাঁধা ছিল। পরে স্থানীয়রা ও পুলিশ জানতে পারে, অলিউল্লাহর খাবারের সঙ্গে তার স্ত্রী মাজেদা বেগম অন্যদের সহযোগিতায় ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে গলায় ফাঁস দিয়ে অলিউল্লাহকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় মৃত ওয়ালীউল্লাহর ভাই উপজেলার পুঁটিমারা গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে আহসান উল্লাহ (৬৮) বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগর থানায় ভাই হত্যার দায়ে মামলা দায়ের করেন। জ্জীবন
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে (৩০) যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায় আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করা হয়।
রোববার বেলা ১টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হোসেন। দন্ডপ্রাপ্ত মাজেদা বেগম শ্রীনগর উপজেলার পুঁটিমারা গ্রামের অলিউল্লাহ মোল্লার স্ত্রী।
সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদীর ভাই অলিউল্লাহ মোল্লা সৌদি আরব প্রবাসী। তিনি মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতেন। তিন সন্তান নিয়ে তার স্ত্রী মাজেদা বেগম আলাদা থাকেন। সর্বশেষ অলিউল্লাহ সৌদি আরব থেকে দেশে আসার পর তার স্ত্রী মাজেদা বেগমের সঙ্গে সংসারের বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য হয়।
২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতের খাবার খেয়ে সৌদি প্রবাসী অলিউল্লাহ তার বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। পরের দিন সকাল ৬টার দিকে অভিযুক্ত মাজেদা বেগম তার দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এ সময় মাজেদা বেগমকে ভাশুর ও মামলার বাদী, কোথায় যাওয়া হচ্ছে জিজ্ঞেস করেন। এ সময় তিনি জানান তার স্বামীর টিকেটের টাকা সংগ্রহ করার জন্য বাইরে যাচ্ছেন।
পরে দুপুর ১২টার দিকে অলিউল্লার বাসায় পুলিশ ও লোকজন দেখে তার বড় ভাই মামলার বাদী পুলিশ প্রতিবেশী ও আত্মীয়দের সহায়তায় অলিউল্লাহর ঘরের দরজা খুলে ভেতরে অলিউল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় গলায় ওড়না পেঁচানো ও হাতে পায়ে রশি দিয়ে তার দেহ বাঁধা ছিল। পরে স্থানীয়রা ও পুলিশ জানতে পারে, অলিউল্লাহর খাবারের সঙ্গে তার স্ত্রী মাজেদা বেগম অন্যদের সহযোগিতায় ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচেতন করে গলায় ফাঁস দিয়ে অলিউল্লাহকে হত্যা করেছে।
এ ঘটনায় মৃত ওয়ালীউল্লাহর ভাই উপজেলার পুঁটিমারা গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে আহসান উল্লাহ (৬৮) বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি শ্রীনগর থানায় ভাই হত্যার দায়ে মামলা দায়ের করেন। জ্জীবন