বিজিবির হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ, উত্তেজনা অব্যাহত
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) এর হস্তক্ষেপে নির্মাণকাজ বন্ধ করে চলে যায় বিএসএফ সদস্যরা। সোমবার সকালে দহগ্রাম ইউনিয়নের সর্দারপাড়া সীমান্তের প্রধান ডিএএমপি পিলার ৪২ বাই ৪৮ নম্বর উপ-পিলার সংলগ্ন এলাকার শূন্যরেখায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি রংপুর-৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার লুৎফর রহমান জানান, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বিএসএফ-৬ ব্যাটালিয়নের অরুণ ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের শূন্যরেখায় লোহার খুঁটি স্থাপন করে কাঁটাতারের বেড়া দিতে শুরু করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে। সুবেদার লুৎফর রহমান বলেন, “এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। পরে তারা কাজ বন্ধ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে সীমান্তে বিজিবির টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
এ ঘটনায় সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বিএসএফ সদস্যরা আবার এ ধরনের চেষ্টা চালাতে পারে। এর আগে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার (ডিএএমপি) ৮/৪১ নম্বর পিলার লাগোয়া শূন্যরেখা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে বিএসএফ সদস্যরা। পরে ২৮ জানুয়ারি সেই কাঁটাতারের বেড়ায় বাঁশের বাতা বেঁধে দেন তারা।
সর্দারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রশিদুল ইসলাম বলেন, বিএসএফ সদস্যরা কয়েকদিন পর-পর এ রকম বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। এ কারণে সীমান্তের লোকজন সব সময় আতঙ্কে থাকে। বিজিবি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে সতর্ক রয়েছে। সীমান্তে সন্দেহজনক কোনও কর্মকাণ্ড দেখলে বিজিবিকে দ্রুত জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম আল দীনকে একাধিকবার মোবাইল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী, শূন্যরেখায় কোনও ধরনের স্থাপনা বা কাঁটাতার নির্মাণ নিষিদ্ধ। তবে এর আগেও দহগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফ একাধিকবার বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে; যা দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতিকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।
বিজিবির হস্তক্ষেপে কাজ বন্ধ, উত্তেজনা অব্যাহত
সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) এর হস্তক্ষেপে নির্মাণকাজ বন্ধ করে চলে যায় বিএসএফ সদস্যরা। সোমবার সকালে দহগ্রাম ইউনিয়নের সর্দারপাড়া সীমান্তের প্রধান ডিএএমপি পিলার ৪২ বাই ৪৮ নম্বর উপ-পিলার সংলগ্ন এলাকার শূন্যরেখায় এ ঘটনা ঘটে।
বিজিবি রংপুর-৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার লুৎফর রহমান জানান, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে বিএসএফ-৬ ব্যাটালিয়নের অরুণ ক্যাম্পের সদস্যরা সীমান্তের শূন্যরেখায় লোহার খুঁটি স্থাপন করে কাঁটাতারের বেড়া দিতে শুরু করে। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বলে। সুবেদার লুৎফর রহমান বলেন, “এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছি এবং কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। পরে তারা কাজ বন্ধ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে সীমান্তে বিজিবির টহল ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।”
এ ঘটনায় সীমান্তের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, বিএসএফ সদস্যরা আবার এ ধরনের চেষ্টা চালাতে পারে। এর আগে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার (ডিএএমপি) ৮/৪১ নম্বর পিলার লাগোয়া শূন্যরেখা বরাবর কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করে বিএসএফ সদস্যরা। পরে ২৮ জানুয়ারি সেই কাঁটাতারের বেড়ায় বাঁশের বাতা বেঁধে দেন তারা।
সর্দারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রশিদুল ইসলাম বলেন, বিএসএফ সদস্যরা কয়েকদিন পর-পর এ রকম বেড়া নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। এ কারণে সীমান্তের লোকজন সব সময় আতঙ্কে থাকে। বিজিবি জানিয়েছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি প্রতিরোধে সতর্ক রয়েছে। সীমান্তে সন্দেহজনক কোনও কর্মকাণ্ড দেখলে বিজিবিকে দ্রুত জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে রংপুর ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সেলিম আল দীনকে একাধিকবার মোবাইল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী, শূন্যরেখায় কোনও ধরনের স্থাপনা বা কাঁটাতার নির্মাণ নিষিদ্ধ। তবে এর আগেও দহগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফ একাধিকবার বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে; যা দুই দেশের সীমান্ত পরিস্থিতিকে উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।