alt

সারাদেশ

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২২ ভেন্টিলেটরের ২০টিই অকার্যকর

চট্টগ্রাম ব্যুরো : সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের স্বার্থে ২০২০ সালে ১৮টি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়। রোগীদের চাপও ছিল শয্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এই ১৮টি শয্যার জন্য ২২টি ভেন্টিলেটর থাকলেও বর্তমানে ২০টিই অকার্যকর। বাকি দুটি সচল থাকলেও কর্মক্ষমতা কমে গেছে। যার কারণে প্রতিটি ভেন্টিলেটর ২৪ ঘণ্টা পরপর পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করতে হয়। করোনাকালীন মুমূর্ষু রোগীদের নির্বিঘ্নে সেবায় কমতি ছিল না। চিকিৎসক থেকে শুরু করে অন্যান্য জনবলও আনা হয় বিভিন্ন স্থান থেকে। কিন্তু মহামারির পর থেকে সেই আইসিইউ ওয়ার্ড এখন অনেকটাই রোগী শূন্য। শয্যা থাকলেও নেই মুমূর্ষু রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভেন্টিলেটর। অন্যান্য যন্ত্রপাতিরও আছে অভাব। রোগীদের চিকিৎসা যারা দিবেন, সেই চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরও সংকট প্রকট। পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে আইসিইউ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকটাই টেনেটুনে সেবা দিতে হচ্ছে তাদের। আইসিইউর পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় এখন এইচডিইউ সেবা দিয়েই দিন পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর হাসপাতালটিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জন্য কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রোগীদের স্বার্থে ২০২০ সালে ১৮টি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়। ওই সময় আইসিইউ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সহায়ক স্টাফকে সংযুক্তিতে হাসপাতালে পদায়ন করা হয়। কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সব সংযুক্তি বাতিল করা হয়। যার কারণে আইসিইউ শয্যা পরিচালনার মতো বর্তমানে প্রয়োজনীয় জনবল নেই।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতালে ১৮টি শয্যার জন্য ২২টি ভেন্টিলেটর থাকলেও, বর্তমানে সেগুলোর মধ্যে ২০টিই অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। বাকি ২টি সচল থাকলেও সেগুরোর কর্মক্ষমতা অনেক কমে গেছে। যার কারণে প্রতিটি ভেন্টিলেটর ২৪ ঘণ্টা পরপর পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করতে হয়। বাইপ্যাপ মেশিন ৩৩টি থাকলেও ২৮টিই অকার্যকর। হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা ৩৯টির মধ্যে ৩৬টিই অকার্যকর। চিকিৎসকদের মধ্যে সিনিয়র কনসালটেন্ট নেই। জুনিয়র কনসালটেন্ট আছে মাত্র ২ জন। তাও আবার তারা অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে এনেসথেসিয়া বিভাগে কাজ করে থাকেন। মেডিকেল অফিসার আছে মাত্র একজন। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিসের কোনো ব্যবস্থাই নেই। রেসটিরেটরি থেরাপিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট এবং নিউট্রিশনিস্ট নেই। অন্যান্য জনবলেরও প্রকট সংকট রয়েছে। যার কারণে সংকটের মধ্যে কোনোভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মৌমিতা দাশ বলেন, কোভিডের সময় আইসিইউগুলো স্থাপন করা হয়। তখন পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য জনবল ছিল। কিন্তু এখন মাত্র দুজন মেডিকেল অফিসার আছে। সংযুক্তিতে যারা ছিলেন, তারাও এখন নেই। জনবলের খুব সংকট। ১৮টি ভেন্টিলেটর অকার্যকর। মাত্র দুটি ভেন্টিলেটর কার্যকর আছে। তাও ২৪ ঘণ্টা পরপর পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করতে হয়। প্রয়োজনীয় সবগুলো যন্ত্রপাতিরও সংকট আছে। সবমিলিয়ে কোনোভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এখন অনেকটাই এইচডিইউর মতোই সেবা চলছে। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মান্নান বলেন, হাসপাতালে যোগদানের পর আইসিইউর যন্ত্রাংশসহ জনবল ও অবকাঠামোগত যে সমস্যা, তা দেখতে পাই। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি আমি নিজেও গত বছরের নভেম্বরে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। একটি আইসিইউ চলতে হলে অবকাঠামো থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার। আশা করছি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

মহেশপুর সীমান্তে বাংলাদেশিকে নির্যাতন করে মৃত ভেবে ফেলে যায় বিএসএফ

ছবি

চা-বাগানগুলোতে ফাগুয়া উৎসব

পবিপ্রবিতে সচল হলো খালেদা জিয়ার উপহার অ্যাম্বুলেন্স

ঈদকে সামনে রেখে মেহেরপুরে জননিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ

রাজৈরে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ১

ছবি

কেশবপুরে দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিল কৃষকের সোনালী স্বপ্ন

কুমিল্লায় ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল ভাংচুর

ছবি

পলাশে মাছ কেটে সংসার চলে শতাধিক পরিবারের

দুই জেলায় যুবক ও কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ছবি

অবৈধভাবে বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ

দুই জেলায় সড়ক-রেলে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য ও শিক্ষার্থীর মৃত্যু

মাটিরাঙ্গায় অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার

আড়াইহাজারে গার্মেন্টস কর্মীর রহস্যজনক মৃত্যু

বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে মুদি দোকানীর মৃত্যু

ছবি

নদীতে বাঁধ দিয়ে ৩ ফসলি জমির মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়

ফুলবাড়ীতে স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবি পণ্য পাচ্ছে না ১৯ হাজার পরিবার

ছবি

কচুয়ায় ঈদের কেনাকাটা জমজমাট

ছবি

দহগ্রাম সীমান্তে আবারও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা বিএসএফের

টিসিবির ৫৯ বস্তা চালসহ আটক ২

টঙ্গীতে দুই পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

ঝিকরগাছায় কিশোরীকে গণধর্ষণ, আটক ৪

মুন্সীগঞ্জে স্বামী হত্যার

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী নেতাদের ওপর হামলা

ছবি

সৈয়দপুরে দুস্থ পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ

নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় ৩ জনের যাবজ্জীবন

নদীগুলো এখন বর্জ্য পরিবহনের কাজে ব্যবহার হচ্ছে : উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান

লালমনিরহাটে এক প্রতিবন্ধী ও শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ

‘অবৈধ’ সম্পদ : ইনুর বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে, সেলিমের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান

জাবিতে ৪৭ গবেষককে পিএইচডি ও ৩ জনকে এমফিল ডিগ্রি প্রদান

লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে দিল স্বামী

ডিএমপির অভিযানে ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার ১৪৮

ছবি

বাগেরহাটে ৫ খালে ৫শ অবৈধ স্থাপনা, পানি নিষ্কাশন বন্ধ

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ইকবালের অর্থ পাচার নিয়ে আলোড়ন

বিএনপি নেতা পান্নু ৩৯ দিন ধরে নিখোঁজ, মির্জা ফখরুলের উদ্বেগ প্রকাশ

রাষ্ট্র সংস্কার : এখনও ২৭ দলের মতামতের অপেক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

ছবি

মহেশখালীতে অস্ত্র—গোলাবারুদসহ ১ ডাকাত আটক

tab

সারাদেশ

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২২ ভেন্টিলেটরের ২০টিই অকার্যকর

চট্টগ্রাম ব্যুরো

সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে রোগীদের স্বার্থে ২০২০ সালে ১৮টি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়। রোগীদের চাপও ছিল শয্যার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এই ১৮টি শয্যার জন্য ২২টি ভেন্টিলেটর থাকলেও বর্তমানে ২০টিই অকার্যকর। বাকি দুটি সচল থাকলেও কর্মক্ষমতা কমে গেছে। যার কারণে প্রতিটি ভেন্টিলেটর ২৪ ঘণ্টা পরপর পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করতে হয়। করোনাকালীন মুমূর্ষু রোগীদের নির্বিঘ্নে সেবায় কমতি ছিল না। চিকিৎসক থেকে শুরু করে অন্যান্য জনবলও আনা হয় বিভিন্ন স্থান থেকে। কিন্তু মহামারির পর থেকে সেই আইসিইউ ওয়ার্ড এখন অনেকটাই রোগী শূন্য। শয্যা থাকলেও নেই মুমূর্ষু রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভেন্টিলেটর। অন্যান্য যন্ত্রপাতিরও আছে অভাব। রোগীদের চিকিৎসা যারা দিবেন, সেই চিকিৎসক ও নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীরও সংকট প্রকট। পর্যাপ্ত চিকিৎসক এবং নার্সসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে আইসিইউ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকটাই টেনেটুনে সেবা দিতে হচ্ছে তাদের। আইসিইউর পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় এখন এইচডিইউ সেবা দিয়েই দিন পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। জানা গেছে, করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর হাসপাতালটিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জন্য কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়। রোগীদের স্বার্থে ২০২০ সালে ১৮টি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হয়। ওই সময় আইসিইউ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য সহায়ক স্টাফকে সংযুক্তিতে হাসপাতালে পদায়ন করা হয়। কিন্তু সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সব সংযুক্তি বাতিল করা হয়। যার কারণে আইসিইউ শয্যা পরিচালনার মতো বর্তমানে প্রয়োজনীয় জনবল নেই।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই হাসপাতালে ১৮টি শয্যার জন্য ২২টি ভেন্টিলেটর থাকলেও, বর্তমানে সেগুলোর মধ্যে ২০টিই অকার্যকর অবস্থায় পড়ে আছে। বাকি ২টি সচল থাকলেও সেগুরোর কর্মক্ষমতা অনেক কমে গেছে। যার কারণে প্রতিটি ভেন্টিলেটর ২৪ ঘণ্টা পরপর পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করতে হয়। বাইপ্যাপ মেশিন ৩৩টি থাকলেও ২৮টিই অকার্যকর। হাই ফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা ৩৯টির মধ্যে ৩৬টিই অকার্যকর। চিকিৎসকদের মধ্যে সিনিয়র কনসালটেন্ট নেই। জুনিয়র কনসালটেন্ট আছে মাত্র ২ জন। তাও আবার তারা অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে এনেসথেসিয়া বিভাগে কাজ করে থাকেন। মেডিকেল অফিসার আছে মাত্র একজন। কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে ডায়ালাইসিসের কোনো ব্যবস্থাই নেই। রেসটিরেটরি থেরাপিস্ট, ফিজিওথেরাপিস্ট এবং নিউট্রিশনিস্ট নেই। অন্যান্য জনবলেরও প্রকট সংকট রয়েছে। যার কারণে সংকটের মধ্যে কোনোভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মৌমিতা দাশ বলেন, কোভিডের সময় আইসিইউগুলো স্থাপন করা হয়। তখন পর্যাপ্ত চিকিৎসক-নার্সসহ অন্যান্য জনবল ছিল। কিন্তু এখন মাত্র দুজন মেডিকেল অফিসার আছে। সংযুক্তিতে যারা ছিলেন, তারাও এখন নেই। জনবলের খুব সংকট। ১৮টি ভেন্টিলেটর অকার্যকর। মাত্র দুটি ভেন্টিলেটর কার্যকর আছে। তাও ২৪ ঘণ্টা পরপর পর্যায়ক্রমে পরিবর্তন করতে হয়। প্রয়োজনীয় সবগুলো যন্ত্রপাতিরও সংকট আছে। সবমিলিয়ে কোনোভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এখন অনেকটাই এইচডিইউর মতোই সেবা চলছে। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মান্নান বলেন, হাসপাতালে যোগদানের পর আইসিইউর যন্ত্রাংশসহ জনবল ও অবকাঠামোগত যে সমস্যা, তা দেখতে পাই। সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। বিষয়টি আমি নিজেও গত বছরের নভেম্বরে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। একটি আইসিইউ চলতে হলে অবকাঠামো থেকে শুরু করে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকা দরকার। আশা করছি কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

back to top