বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : ঈদ সামনে রেখে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় -সংবাদ
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রোজার দ্বিতীয় দশকেই চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলো সরগরম হয়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ততো বাড়ছে ক্রেতার উপস্থিতি। ১২ রোজার পর থেকে ঈদ-কেন্দ্রিক কেনাকাটা বাড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সোমবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে প্যান্ট-সার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা, থ্রি-পিস, সেলওয়ার-কামিজ, শাড়ি-কাপড় এবং ছোটদের বাহারি ডিজাইনের বৈচিত্র্যময় কালেকশন নিয়ে সাজিয়েছেন দোকানগুলো।
এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে- ইন্ডিয়ান নাহিরা, গারারা, সারারাথ্রি পিস, আলিয়াকাট এবং পাকিস্তানি অরগেঞ্জা ও গোলকাট। পছন্দে রয়েছে শাড়িও। এ ছাড়া গরমকে সামনে রেখে ক্রেতারা আরামদায়ক সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দিচ্ছেন। ছেলেদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে- কার্ট, প্যান্ট, জুতা, পাঞ্জাবি ও পায়জামা।
এ সময় পৌর সদরের খাজা সুপার মার্কেট, আল মদিনা সুপার মার্কেট ও জব্বার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে পছন্দের পোশাক কেনার জন্য ধর কষাকষির মাধ্যমে ক্রেতারা বিভিন্ন দোকান থেকে ঈদের কেনাকাটা করছেন।
বিয়ে বাজারের পার্টনার আকবর বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার আগে থেকেই কেনাকাটার জন্য মানুষের ভিড় দেখতে পাচ্ছি। সকালে আউটলেট খোলার পর থেকে প্রচুর লোকসমাগম হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে সেটি আরও বেড়ে যায়। সবচেয়ে জমজমাট সময় যায় বিকেল এবং সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত। পাঞ্জাবি, শাড়ি, ওয়ান পিস ও বাচ্চাদের পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন কসমেটিকস আইটেম, গহনা, লেডিস ব্যাগ-পার্টস অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমাদের বিক্রয়কর্মীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।
পোশাকের দোকানগুলোতে পুরুষদের পায়জামা-পাঞ্জাবি, কার্ট-প্যান্ট, গেঞ্জি, টিকার্ট, নারীদের শাড়ি, থ্রি-পিস, ওয়ান পিস, কুর্তা এবং বাচ্চা ও শিশুদের পায়জামা-পাঞ্জাবি, ফ্রক, গেঞ্জিসেটসহ আধুনিক ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে কসমেটিকস, জুতা, ঘর সাজানোর সামগ্রী এবং গহনার দোকানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন। আগ মুহূর্তের ভিড় এড়াতে অনেকেই শেষ করে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা।
দিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে রাতব্যাপী চলছে ঈদের কেনাকাটা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বোয়ালখালীর মার্কেটগুলোতে বাড়তে থাকে নারী ক্রেতার সংখ্যা। নারী ক্রেতারাও বলছে অন্য বছরের তুলনায় এবছর দাম কিছুটা বাড়তি।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছে সার্বিক পরিস্থিতি এবং পোশাকের বৈচিত্র্যতার উপর নির্ভর করে বেড়েছে পোশাকের দাম।
উপজেলার সৈয়দপুর থেকে মার্কেট করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, সব ধরনের জিনিসে বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে। সব ধরনের কাপড়ের দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এসব অভিযোগ সত্য নয় জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার ফলে কাপড়ের দামও বেড়েছে তবে তা অতিরিক্ত নয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের অনেকেই ঢাকা বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, মিরপুর, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কাপড় আমদানি করেছেন।
এছাড়া বিদেশি কালেকশন ও রয়েছে। এবারে ঈদের আগে আশানুরূপ বেচাকেনা করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : ঈদ সামনে রেখে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রোজার দ্বিতীয় দশকেই চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলো সরগরম হয়েছে। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে মার্কেটগুলোতে ততো বাড়ছে ক্রেতার উপস্থিতি। ১২ রোজার পর থেকে ঈদ-কেন্দ্রিক কেনাকাটা বাড়ছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
সোমবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে প্যান্ট-সার্ট, পাঞ্জাবি-পায়জামা, থ্রি-পিস, সেলওয়ার-কামিজ, শাড়ি-কাপড় এবং ছোটদের বাহারি ডিজাইনের বৈচিত্র্যময় কালেকশন নিয়ে সাজিয়েছেন দোকানগুলো।
এবারের ঈদে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে- ইন্ডিয়ান নাহিরা, গারারা, সারারাথ্রি পিস, আলিয়াকাট এবং পাকিস্তানি অরগেঞ্জা ও গোলকাট। পছন্দে রয়েছে শাড়িও। এ ছাড়া গরমকে সামনে রেখে ক্রেতারা আরামদায়ক সুতি কাপড়কে প্রাধান্য দিচ্ছেন। ছেলেদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে- কার্ট, প্যান্ট, জুতা, পাঞ্জাবি ও পায়জামা।
এ সময় পৌর সদরের খাজা সুপার মার্কেট, আল মদিনা সুপার মার্কেট ও জব্বার মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে পছন্দের পোশাক কেনার জন্য ধর কষাকষির মাধ্যমে ক্রেতারা বিভিন্ন দোকান থেকে ঈদের কেনাকাটা করছেন।
বিয়ে বাজারের পার্টনার আকবর বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এবার আগে থেকেই কেনাকাটার জন্য মানুষের ভিড় দেখতে পাচ্ছি। সকালে আউটলেট খোলার পর থেকে প্রচুর লোকসমাগম হচ্ছে। দুপুরের পর থেকে সেটি আরও বেড়ে যায়। সবচেয়ে জমজমাট সময় যায় বিকেল এবং সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত। পাঞ্জাবি, শাড়ি, ওয়ান পিস ও বাচ্চাদের পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন কসমেটিকস আইটেম, গহনা, লেডিস ব্যাগ-পার্টস অনেক বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমাদের বিক্রয়কর্মীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে।
পোশাকের দোকানগুলোতে পুরুষদের পায়জামা-পাঞ্জাবি, কার্ট-প্যান্ট, গেঞ্জি, টিকার্ট, নারীদের শাড়ি, থ্রি-পিস, ওয়ান পিস, কুর্তা এবং বাচ্চা ও শিশুদের পায়জামা-পাঞ্জাবি, ফ্রক, গেঞ্জিসেটসহ আধুনিক ডিজাইনের পোশাক পাওয়া যাচ্ছে। একই সঙ্গে কসমেটিকস, জুতা, ঘর সাজানোর সামগ্রী এবং গহনার দোকানগুলোতেও ভিড় জমাচ্ছেন মানুষজন। আগ মুহূর্তের ভিড় এড়াতে অনেকেই শেষ করে নিচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা।
দিনের ব্যস্ততা কাটিয়ে রাতব্যাপী চলছে ঈদের কেনাকাটা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বোয়ালখালীর মার্কেটগুলোতে বাড়তে থাকে নারী ক্রেতার সংখ্যা। নারী ক্রেতারাও বলছে অন্য বছরের তুলনায় এবছর দাম কিছুটা বাড়তি।
অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছে সার্বিক পরিস্থিতি এবং পোশাকের বৈচিত্র্যতার উপর নির্ভর করে বেড়েছে পোশাকের দাম।
উপজেলার সৈয়দপুর থেকে মার্কেট করতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, সব ধরনের জিনিসে বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে। সব ধরনের কাপড়ের দাম বেড়েছে ৫০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে এসব অভিযোগ সত্য নয় জানিয়েছেন বিক্রেতারা। তারা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ার ফলে কাপড়ের দামও বেড়েছে তবে তা অতিরিক্ত নয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটের অনেকেই ঢাকা বঙ্গবাজার, নিউমার্কেট, মিরপুর, কেরানীগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কাপড় আমদানি করেছেন।
এছাড়া বিদেশি কালেকশন ও রয়েছে। এবারে ঈদের আগে আশানুরূপ বেচাকেনা করতে পারবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তারা।