alt

উল্লাপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু, ধামাচাপার চেষ্টা

প্রতিনিধি, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) : মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড ও সিআরবিসি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একাধিক হাসপাতাল অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছে।

এসব হাসপাতালে দালালদের মাধ্যমে সহজ-সরল রোগীদের আকৃষ্ট করে চিকিৎসার নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করা হয়।

অনভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা ভুল চিকিৎসা এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারণে বহু রোগীর জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। সম্প্রতি হাফিজা মেমোরিয়াল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ভুল চিকিৎসার ফলে এক প্রসূতি ও তার নবজাতকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

জানা যায়, রোববার সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাফিজা মেমোরিয়াল হাসপাতালে লতা খাতুন (৩০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রসব সংক্রান্ত পরীক্ষা করাতে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তার স্বামী সিদ্দিক আলী এতে আপত্তি জানান। অভিযোগ উঠেছে, পরিবারের অনুমতি না নিয়েই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শারমিন আক্তার স্বর্ণা অস্ত্রোপচার করেন।

অপারেশনের পর বিকেল তিনটার দিকে নবজাতকের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, লতা খাতুনের অবস্থাও গুরুতর।

পরিবারের সদস্যরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছালে জানতে পারেন রোগীকে বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পথে চান্দাইকোনা এলাকায় পৌঁছানোর পর লতা খাতুনের মৃত্যু হয়।

পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে হাসপাতালে ফিরে এলে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা ও ক্যাডার বাহিনী ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে।

লতা খাতুনের স্বামী সিদ্দিক আলী বলেন, ‘আমার স্ত্রী শুধু সাধারণ পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোর করে অপারেশন করেছে, যার ফলে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে হারালাম। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

হাসপাতালের পরিচালক ইলিয়াস মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত, পরে কথা বলবো।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।

এছাড়া অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. শারমিন আক্তার স্বর্ণার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নুরুল আমীন জানান, ‘এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ছবি

সরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশে নতুন নিয়ম

ছবি

মাতামুহুরী নদী ভরাট ও বিষ দিয়ে নিধনকাণ্ডে বিপন্ন হচ্ছে দেশীয় মাছ

ছবি

‘অবৈধ বাংলাদেশি’ বলে হেনস্থা, পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষ বিপাকে

ছবি

এবার আগারগাঁওয়ে ‘নিষিদ্ধ’ আওয়ামী লীগের মিছিল, আটক দুই

ছবি

১১ বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ‘৮৬ হাজারের বেশি’

ছবি

পীরগঞ্জ সরকারী আব্দুর রউফ কলেজে তৃতীয় শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে তোলপাড়

ছবি

দুমকি প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল, সম্পাদক সাইদুর

ছবি

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি প্রত্যাহার

ছবি

ভালুকায় দুই বাসের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ১৫

ছবি

বোয়ালখালীতে গৃহবধূর মৃত্যু

ছবি

ভুটভুটির ধাক্কায় সাইকেল আরোহী নিহত

ছবি

ডিমলা থানা পুলিশের কার্যক্রম চলছে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে

ছবি

জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যার চেষ্টা

ছবি

চাঁদপুরে জেলা প্রশাসক কাপ সাঁতার প্রতিযোগিতা

ছবি

বাল্কহেড চলাচলে ধলেশ্বরীর দুই তীরে ভাঙন

ছবি

শেরপুরে অটোরিকশা চালক আবু বক্কর হত্যার রহস্য উন্মোচন

ছবি

রায়গঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কর্মবিরতি, গ্রাহকদের ভোগান্তি

ছবি

রাজবাড়ীতে শুরু হয়েছে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল অলিম্পিয়াড সিজন ২

ছবি

ঝিনাইগাতীতে কৃষকের কাকরুল গাছ কেটে ফেলল প্রতিপক্ষরা

ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনায় আওয়ামীলীগের ঝটিকা মিছিল

ছবি

রাণীনগরে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ

ছবি

শেরপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ইমামকে হত্যাচেষ্টা, বিচারের দাবীতে মানববন্ধন

ছবি

শেরপুরে দুর্নীতির অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে রাতের আঁধারে কৃষকের আখ কর্তন ও চুরি

ছবি

সুন্দরগঞ্জে সেতু আছে সংযোগ সড়ক নেই

ছবি

কেশবপুরে জলাবদ্ধতা নিরসনে পলি অপসারণ শুরু

ছবি

বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার

ছবি

কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে ‘সরকারবিরোধী’ মিছিল: ছাত্রলীগের দুই কর্মীসহ চারজন গ্রেপ্তার

ছবি

নিহত নারীর মাথা উদ্ধার

ছবি

৩১ দফার লিফলেট বিতরণ করলেন বিএনপি নেতা শাহাফুজ আলম

ছবি

শারদীয় দুর্গোৎসব মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ

ছবি

ল্যাম্পপোষ্টের আলোয় আলোকিত মওলানা ভাসানী সেতু

ছবি

দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্লান্ট স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে

ছবি

মোরেলগঞ্জে রাস্তার বেহালদশা ৮ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

ভৈরবে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে দুই পরিবারের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

ছবি

সুনামগঞ্জ কার মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ২

tab

news » bangladesh

উল্লাপাড়ায় ভুল চিকিৎসায় মা ও নবজাতকের মৃত্যু, ধামাচাপার চেষ্টা

প্রতিনিধি, উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ)

মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল রোড ও সিআরবিসি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে একাধিক হাসপাতাল অনুমোদন ছাড়াই পরিচালিত হয়ে আসছে।

এসব হাসপাতালে দালালদের মাধ্যমে সহজ-সরল রোগীদের আকৃষ্ট করে চিকিৎসার নামে অবৈধভাবে অর্থ আদায় করা হয়।

অনভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা ভুল চিকিৎসা এবং অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের কারণে বহু রোগীর জীবন ঝুঁকিতে পড়ছে। সম্প্রতি হাফিজা মেমোরিয়াল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ভুল চিকিৎসার ফলে এক প্রসূতি ও তার নবজাতকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।

জানা যায়, রোববার সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাফিজা মেমোরিয়াল হাসপাতালে লতা খাতুন (৩০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারী প্রসব সংক্রান্ত পরীক্ষা করাতে যান। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিজারিয়ান অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয়। তবে তার স্বামী সিদ্দিক আলী এতে আপত্তি জানান। অভিযোগ উঠেছে, পরিবারের অনুমতি না নিয়েই হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. শারমিন আক্তার স্বর্ণা অস্ত্রোপচার করেন।

অপারেশনের পর বিকেল তিনটার দিকে নবজাতকের অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে পড়লে তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, লতা খাতুনের অবস্থাও গুরুতর।

পরিবারের সদস্যরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছালে জানতে পারেন রোগীকে বগুড়ায় পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পথে চান্দাইকোনা এলাকায় পৌঁছানোর পর লতা খাতুনের মৃত্যু হয়।

পরিবারের সদস্যরা লাশ নিয়ে হাসপাতালে ফিরে এলে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা ও ক্যাডার বাহিনী ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ ওঠে।

লতা খাতুনের স্বামী সিদ্দিক আলী বলেন, ‘আমার স্ত্রী শুধু সাধারণ পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে গিয়েছিল। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোর করে অপারেশন করেছে, যার ফলে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে হারালাম। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

হাসপাতালের পরিচালক ইলিয়াস মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি এখন ব্যস্ত, পরে কথা বলবো।’ এরপর তিনি ফোন কেটে দেন।

এছাড়া অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. শারমিন আক্তার স্বর্ণার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নুরুল আমীন জানান, ‘এখনও কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

back to top