বরগুনার আমতলী উপজেলার বটতলার ইসমাইল শাহ মাজারে ওরশ চলাকালে রোববার গভীর রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে তোহিদী জনতা। এতে মাজারের সামিয়ানা ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে এবং হামলায় ২০ আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সকল পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। হামলায় আহতদেরকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, রোববার রাত সোয়া ১২টায় মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক তৌহিদী জনতা মাজারের ওরশ ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন। এতে উভয়পক্ষের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তারা লাঠি শোটা নিয়ে মাজারে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর করে এবং মাজারে অগ্নি সংযোগ করে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান এবং আমতলী থানায় ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের অভিযোগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী এবং সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে¡ এই হামলা ও অগ্নি সংযোগ হয়েছে। এতে মাজারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । তিনি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ওই মাজারটি একটি ভ-দের আস্থানা। ওরশের নামে সেখানে গান-বাজনা, মাদকসেবন আর নারীর আসর বসে। আমরা মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে রমজান মাসে এসব অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দ আমার লোকজনের ওপরে হামলা করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমতলী ফায়ার ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুটি ঘর পুড়ে গেছে। আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনায় থানায় পরবর্তী প্রয়োজহনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫
বরগুনার আমতলী উপজেলার বটতলার ইসমাইল শাহ মাজারে ওরশ চলাকালে রোববার গভীর রাতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগ করেছে তোহিদী জনতা। এতে মাজারের সামিয়ানা ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে এবং হামলায় ২০ আহত হয়েছেন। সোমবার সকালে বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. শফিউল আলম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে সকল পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দেন। হামলায় আহতদেরকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। জানা যায়, রোববার রাত সোয়া ১২টায় মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে শতাধিক তৌহিদী জনতা মাজারের ওরশ ও গান বাজনা বন্ধ করতে বলেন। এতে উভয়পক্ষের তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে তারা লাঠি শোটা নিয়ে মাজারে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর করে এবং মাজারে অগ্নি সংযোগ করে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। খবর পেয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তারেক হাসান এবং আমতলী থানায় ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলের অভিযোগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী এবং সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে¡ এই হামলা ও অগ্নি সংযোগ হয়েছে। এতে মাজারে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । তিনি জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী বলেন, ওই মাজারটি একটি ভ-দের আস্থানা। ওরশের নামে সেখানে গান-বাজনা, মাদকসেবন আর নারীর আসর বসে। আমরা মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলকে রমজান মাসে এসব অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি তা না শুনে তার নির্দেশে তার ভক্তবৃন্দ আমার লোকজনের ওপরে হামলা করেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, আহতদেরকে যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমতলী ফায়ার ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত পৌনে ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুটি ঘর পুড়ে গেছে। আমতলী থানার ওসি মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনায় থানায় পরবর্তী প্রয়োজহনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।