alt

ফুলবাড়ীতে স্ত্রী ও কন্যার রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) : বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্ত্রী লাকি বেগম (২৬) ও কন্যা মরিয়মের (৬) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মহররম আলীকে (৪৫) আটক করেছে থানাপুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার ১ নং এলুয়ারি ইউনিয়নের লিচুপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে মা লালি বেগম ও তার মেয়ে মরিয়মের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মা ও মেয়ের রহস্যজন মৃত্যু ঘটনায় এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিতভাবে হত্যা এ নিয়ে চলছে এলাকায় সন্দেহ-সংশয়। তবে লাকি বেগমের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে লাকি ও তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, লিচুপাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মহররম আলীর (৪৫) প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সাত বছর পূর্বে পার্বতীপুরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চকযামেনি কাজিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে লাকি বেগমের (২৬) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। যার নাম রাখা হয় মরিয়ম। তার বয়স ছয় বছর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই লাকি বেগম অন্য কারো সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে এমন সন্দেহ ছিল স্বামী মহররম আলী। এ নিয়ে তাদের পরিবারে কলহ চলে আসছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে মহররম আলী তার প্রথম স্ত্রীর মেয়েকে সেমাই ও চিনি দিতে যান। এরই মধ্যে দুপুরে লাকি বেগম ও তার মেয়ে মরিয়ম ঘরের মধ্যে একই দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়েছে এমন গুঞ্জন উঠে স্থানীয়দের মাঝে। পরে পুলিশ মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মহররম আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

মৃত লাকি বেগমের মা মঞ্জিলা বেগম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার জামাই মহরম আলী ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালী গালাজ করে জানায় আজ তোর বেটিক মারতে মারতে মারি ফেলাম। এ সময় পাশ থেকে মেয়ে লাকি চিৎকার করে বলে মা আমার চুলের ঝুটি ধরে মারডাং করছে। তখন মেয়েকে বলি যা কিছু হোক বাড়ি থেকে কোথাও যাবি না। মঞ্জিলা বেগমের দাবি তার জামাই তার মেয়ে ও নাতনিকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে একই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালাচ্ছে।

ফুলবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে বাড়ির বারান্দায় মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখি। উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মহরম আলীকে আটক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছবি

ডেঙ্গু: আক্রান্ত ৩৯ হাজার ছাড়িয়েছে

ছবি

আনোয়ারায় আবারও ৩১ রোহিঙ্গা আটক

ছবি

জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত টেকনাফ

ছবি

তিতাসে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ, উৎসবের আমেজ নদী পাড়ে

ছবি

রাজধানীতে ৩ স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল

ছবি

রংপুরে জুলাই যোদ্ধাদের নামে অটোরিকশার লাইসেন্স, ৫ কোটি টাকা বাণিজ্যের পাঁয়তারা!

ছবি

বাগেরহাটের বিষয়ে হাইকোর্টের রুল, ফরিদপুরে নতুন কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

ছবি

সওজের জায়গা দখল করে নির্মাণ হচ্ছে বাণিজ্যিক ভবন

ছবি

সিরাজগঞ্জে রোপা আমন খেত পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষক

ছবি

গৌরনদীতে ২০ পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তায় দেয়াল নির্মাণ

ছবি

পীরগাছায় গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

ছবি

শিবালয়ে ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় ৫ বখাটে আটক

ছবি

মহেশপুরে বিষ পানে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

ছবি

আশুলিয়ায় গুলিবিদ্ধ যুবককের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ৫ চিকিৎসকে চলছে স্বাস্থ্যসেবা

অনিয়মের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে দুদকের অভিযান

ছবি

ভালুকায় শ্রমিক লীগের দুই নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

কালীগঞ্জে নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

হবিগঞ্জে সিএনজি-টমটম সংঘর্ষে নিহত ১

ছবি

বিস্ফোরণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

পাঁচবিবিতে ৭৫টি মণ্ডপে চলছে দূর্গা পূজার প্রস্তুতি

ছবি

ডিমলায় প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে নব্যতা হারাচ্ছে নদীগুলো

ছবি

কালুখালীর নূরনেছা কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ছবি

৯৩ বছরে দেশের সমবায় সমিতির অনন্য মডেল প্রতিষ্ঠানে পরিনত

ছবি

রংপুরে ‘পদ্মরাগ কমিউটার’ ট্রেনের ছয় বগি লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ

ছবি

ইমামকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

ডিমলায় অবৈধ পেট্রোল পাম্পকে জরিমানা, বন্ধের নির্দেশ

ছবি

টাঙ্গাইলে শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে দেবীর মুর্তি

ছবি

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ইলিশের দামে সাধারণ ক্রেতা দিশেহারা

ছবি

সাপাহারে তরুণ উদ্যোক্তা সোহেল রানার আমচাষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ

ছবি

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর মাঝি গ্রেপ্তার

ছবি

ফরিদগঞ্জে মাদকসেবী যুবদল নেতা দণ্ডিত

ইয়াবাসহ জামাই-শাশুড়ি আটক

ছবি

ডুমুরিয়ায় শামুক নিধন, হুমকিতে পরিবেশ

ছবি

আ’লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৩

tab

ফুলবাড়ীতে স্ত্রী ও কন্যার রহস্যজনক মৃত্যু, স্বামী আটক

প্রতিনিধি, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর)

বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্ত্রী লাকি বেগম (২৬) ও কন্যা মরিয়মের (৬) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মহররম আলীকে (৪৫) আটক করেছে থানাপুলিশ।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার ১ নং এলুয়ারি ইউনিয়নের লিচুপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে মা লালি বেগম ও তার মেয়ে মরিয়মের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মা ও মেয়ের রহস্যজন মৃত্যু ঘটনায় এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিতভাবে হত্যা এ নিয়ে চলছে এলাকায় সন্দেহ-সংশয়। তবে লাকি বেগমের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে লাকি ও তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, লিচুপাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মহররম আলীর (৪৫) প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সাত বছর পূর্বে পার্বতীপুরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চকযামেনি কাজিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে লাকি বেগমের (২৬) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। যার নাম রাখা হয় মরিয়ম। তার বয়স ছয় বছর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই লাকি বেগম অন্য কারো সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে এমন সন্দেহ ছিল স্বামী মহররম আলী। এ নিয়ে তাদের পরিবারে কলহ চলে আসছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে মহররম আলী তার প্রথম স্ত্রীর মেয়েকে সেমাই ও চিনি দিতে যান। এরই মধ্যে দুপুরে লাকি বেগম ও তার মেয়ে মরিয়ম ঘরের মধ্যে একই দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়েছে এমন গুঞ্জন উঠে স্থানীয়দের মাঝে। পরে পুলিশ মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মহররম আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

মৃত লাকি বেগমের মা মঞ্জিলা বেগম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার জামাই মহরম আলী ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালী গালাজ করে জানায় আজ তোর বেটিক মারতে মারতে মারি ফেলাম। এ সময় পাশ থেকে মেয়ে লাকি চিৎকার করে বলে মা আমার চুলের ঝুটি ধরে মারডাং করছে। তখন মেয়েকে বলি যা কিছু হোক বাড়ি থেকে কোথাও যাবি না। মঞ্জিলা বেগমের দাবি তার জামাই তার মেয়ে ও নাতনিকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে একই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালাচ্ছে।

ফুলবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে বাড়ির বারান্দায় মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখি। উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মহরম আলীকে আটক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

back to top