দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্ত্রী লাকি বেগম (২৬) ও কন্যা মরিয়মের (৬) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মহররম আলীকে (৪৫) আটক করেছে থানাপুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার ১ নং এলুয়ারি ইউনিয়নের লিচুপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে মা লালি বেগম ও তার মেয়ে মরিয়মের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মা ও মেয়ের রহস্যজন মৃত্যু ঘটনায় এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিতভাবে হত্যা এ নিয়ে চলছে এলাকায় সন্দেহ-সংশয়। তবে লাকি বেগমের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে লাকি ও তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, লিচুপাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মহররম আলীর (৪৫) প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সাত বছর পূর্বে পার্বতীপুরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চকযামেনি কাজিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে লাকি বেগমের (২৬) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। যার নাম রাখা হয় মরিয়ম। তার বয়স ছয় বছর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই লাকি বেগম অন্য কারো সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে এমন সন্দেহ ছিল স্বামী মহররম আলী। এ নিয়ে তাদের পরিবারে কলহ চলে আসছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে মহররম আলী তার প্রথম স্ত্রীর মেয়েকে সেমাই ও চিনি দিতে যান। এরই মধ্যে দুপুরে লাকি বেগম ও তার মেয়ে মরিয়ম ঘরের মধ্যে একই দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়েছে এমন গুঞ্জন উঠে স্থানীয়দের মাঝে। পরে পুলিশ মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মহররম আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মৃত লাকি বেগমের মা মঞ্জিলা বেগম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার জামাই মহরম আলী ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালী গালাজ করে জানায় আজ তোর বেটিক মারতে মারতে মারি ফেলাম। এ সময় পাশ থেকে মেয়ে লাকি চিৎকার করে বলে মা আমার চুলের ঝুটি ধরে মারডাং করছে। তখন মেয়েকে বলি যা কিছু হোক বাড়ি থেকে কোথাও যাবি না। মঞ্জিলা বেগমের দাবি তার জামাই তার মেয়ে ও নাতনিকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে একই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালাচ্ছে।
ফুলবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে বাড়ির বারান্দায় মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখি। উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মহরম আলীকে আটক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্ত্রী লাকি বেগম (২৬) ও কন্যা মরিয়মের (৬) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় স্বামী মহররম আলীকে (৪৫) আটক করেছে থানাপুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ফুলবাড়ী উপজেলার ১ নং এলুয়ারি ইউনিয়নের লিচুপাড়া গ্রামের নিজ বাড়ী থেকে মা লালি বেগম ও তার মেয়ে মরিয়মের (৬) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মা ও মেয়ের রহস্যজন মৃত্যু ঘটনায় এটি আত্মহত্যা নাকি পরিকল্পিতভাবে হত্যা এ নিয়ে চলছে এলাকায় সন্দেহ-সংশয়। তবে লাকি বেগমের পরিবারের দাবি পরিকল্পিতভাবে লাকি ও তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, লিচুপাড়া গ্রামের আনসার আলীর ছেলে মহররম আলীর (৪৫) প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর পর সাত বছর পূর্বে পার্বতীপুরের মোস্তফাপুর ইউনিয়নের চকযামেনি কাজিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে লাকি বেগমের (২৬) সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। যার নাম রাখা হয় মরিয়ম। তার বয়স ছয় বছর। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই লাকি বেগম অন্য কারো সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে এমন সন্দেহ ছিল স্বামী মহররম আলী। এ নিয়ে তাদের পরিবারে কলহ চলে আসছিল। এর মধ্যে মঙ্গলবার সকালে মহররম আলী তার প্রথম স্ত্রীর মেয়েকে সেমাই ও চিনি দিতে যান। এরই মধ্যে দুপুরে লাকি বেগম ও তার মেয়ে মরিয়ম ঘরের মধ্যে একই দড়িতে গলায় ফাঁস দিয়েছে এমন গুঞ্জন উঠে স্থানীয়দের মাঝে। পরে পুলিশ মরদেহ দুইটি উদ্ধার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মহররম আলীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
মৃত লাকি বেগমের মা মঞ্জিলা বেগম বলেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার জামাই মহরম আলী ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালী গালাজ করে জানায় আজ তোর বেটিক মারতে মারতে মারি ফেলাম। এ সময় পাশ থেকে মেয়ে লাকি চিৎকার করে বলে মা আমার চুলের ঝুটি ধরে মারডাং করছে। তখন মেয়েকে বলি যা কিছু হোক বাড়ি থেকে কোথাও যাবি না। মঞ্জিলা বেগমের দাবি তার জামাই তার মেয়ে ও নাতনিকে নির্যাতন করে মেরে ফেলে একই আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার চালাচ্ছে।
ফুলবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে বাড়ির বারান্দায় মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখি। উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী মহরম আলীকে আটক করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।