মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনেই নদীর তীরে যত্রতত্র জবাই করা হচ্ছে গরু-ছাগল -সংবাদ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর শহরে নির্ধারিত কসাইখানা না থাকায় যত্রতত্র জবাই করা হচ্ছে গরু ছাগল, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাদের দেখভালের দায়িত্ব থাকলেও তাদের নেই কোন তদারকি, বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও দোকানদাররা নির্ধারিত দামের চেয়ে ও বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকাগুলোতো বাজার দরের চার্ট সাটানো নেই বেশিরভাগ দোকানে। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলা ১৬টি ইউনিয়ন সহ পৌর শহরের বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করেই অতিরিক্ত দামে হচ্ছে ক্রয় বিক্রয়। শহরের স্টিমার ঘাট সংলগ্ন, মাছের বাজার এলাকায় প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনেই নদীর তীরে নব্বইরশী বাসষ্ট্রান্ড সংলগ্নসহ গরু জবাইয়ের অনুপযোগী বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র জবাই করা হচ্ছে এ গরু ছাগল। পশু জবায়ের পূর্বে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ডাক্তারের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই করে পশু জবাই করছেন যত্রতত্র। কর্মকর্তাদের দেখভালের নিয়ম থাকলেও জনবল সংকটের কারনে নিষ্কিয় তারা। গোটা শহরে ১০/১৫টি মাংস বিক্রির দোকান রয়েছে। এই দোকানিরা অহরহ বকনা গাভী, কেজি প্রতি বিক্রি করছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। অথচ পবিত্র রমজান মাসে সরকারি নির্ধারিত বিক্রি মূল্যে রয়েছে ৬৫০টাকা দরে। এসব বকনা গাভী জবাই করে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে ষাড় গরু বলে। একইভাবে বকরী ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা প্রতি কেজী পাঠা খাশি মাংস বলে। যেখানে সরকারি নির্ধারিত প্রতিকেজী মাংস বিক্রি হবে ১০০০ টাকায়। রমজান মাস উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য মাছ মাংস কাঁচা বাজারসহ বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না বিক্রেতারা। মনিটরিং ও তদারকির অভাবে দোকানগুলোতে মূল্য তালিকার নেই কোন চার্ট। যেই কারণে বেশি দামে মাংস ক্রয় করতে হয় ক্রেতাদেরকে।
এই বিষয়ে কথা হলে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ভেটেরিনারী সার্জন ডা. আবু হানিফ বলেন, আমি সদ্যমাত্র এই উপজেলায় যোগদান করে বর্তমানে একটি প্রশিক্ষণে রয়েছি। এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্ধারিত কসাইখানা না থাকায় সঠিকভাবে তদারকি করা যাচ্ছে না। তবে এলডিপি প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে নব্বইরশী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি নির্ধারিত কসাইখানা নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। পূর্বে কর্মকর্তা থাকাকালিন সময়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ জনকে জমিরানা করা হয়েছে। পশু জবাইকারিদের নিয়ে শ্রীঘই একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, পৌর শহরে নির্ধারিত কসাইখানা না থাকায় সাময়ীকি সমস্যা হচ্ছে। তবে, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। বাজার মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে সার্বক্ষনিক তদারকি রয়েছে।
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) : প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনেই নদীর তীরে যত্রতত্র জবাই করা হচ্ছে গরু-ছাগল -সংবাদ
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌর শহরে নির্ধারিত কসাইখানা না থাকায় যত্রতত্র জবাই করা হচ্ছে গরু ছাগল, প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কর্মকর্তাদের দেখভালের দায়িত্ব থাকলেও তাদের নেই কোন তদারকি, বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও দোকানদাররা নির্ধারিত দামের চেয়ে ও বেশি দামে বিক্রি করছেন দোকাগুলোতো বাজার দরের চার্ট সাটানো নেই বেশিরভাগ দোকানে। সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলা ১৬টি ইউনিয়ন সহ পৌর শহরের বিভিন্ন হাটবাজার গুলোতে নিয়ম নীতির কোন তোয়াক্কা না করেই অতিরিক্ত দামে হচ্ছে ক্রয় বিক্রয়। শহরের স্টিমার ঘাট সংলগ্ন, মাছের বাজার এলাকায় প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনেই নদীর তীরে নব্বইরশী বাসষ্ট্রান্ড সংলগ্নসহ গরু জবাইয়ের অনুপযোগী বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র জবাই করা হচ্ছে এ গরু ছাগল। পশু জবায়ের পূর্বে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ডাক্তারের পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই করে পশু জবাই করছেন যত্রতত্র। কর্মকর্তাদের দেখভালের নিয়ম থাকলেও জনবল সংকটের কারনে নিষ্কিয় তারা। গোটা শহরে ১০/১৫টি মাংস বিক্রির দোকান রয়েছে। এই দোকানিরা অহরহ বকনা গাভী, কেজি প্রতি বিক্রি করছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। অথচ পবিত্র রমজান মাসে সরকারি নির্ধারিত বিক্রি মূল্যে রয়েছে ৬৫০টাকা দরে। এসব বকনা গাভী জবাই করে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে ষাড় গরু বলে। একইভাবে বকরী ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা প্রতি কেজী পাঠা খাশি মাংস বলে। যেখানে সরকারি নির্ধারিত প্রতিকেজী মাংস বিক্রি হবে ১০০০ টাকায়। রমজান মাস উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য মাছ মাংস কাঁচা বাজারসহ বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয়ের নির্দেশনা থাকলেও তা মানছেন না বিক্রেতারা। মনিটরিং ও তদারকির অভাবে দোকানগুলোতে মূল্য তালিকার নেই কোন চার্ট। যেই কারণে বেশি দামে মাংস ক্রয় করতে হয় ক্রেতাদেরকে।
এই বিষয়ে কথা হলে মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ভেটেরিনারী সার্জন ডা. আবু হানিফ বলেন, আমি সদ্যমাত্র এই উপজেলায় যোগদান করে বর্তমানে একটি প্রশিক্ষণে রয়েছি। এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্ধারিত কসাইখানা না থাকায় সঠিকভাবে তদারকি করা যাচ্ছে না। তবে এলডিপি প্রকল্পের আওতায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে নব্বইরশী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি নির্ধারিত কসাইখানা নির্মানের কাজ চলমান রয়েছে। পূর্বে কর্মকর্তা থাকাকালিন সময়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ৩ জনকে জমিরানা করা হয়েছে। পশু জবাইকারিদের নিয়ে শ্রীঘই একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, পৌর শহরে নির্ধারিত কসাইখানা না থাকায় সাময়ীকি সমস্যা হচ্ছে। তবে, খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। বাজার মনিটরিংয়ের ক্ষেত্রে সার্বক্ষনিক তদারকি রয়েছে।