হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউপির বেজুড়ার যমুনা টেক্সটাইলের হুরাইনের শ্রম আইন লঙ্ঘন ও কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অন্তত ৪০ কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের পূর্বে এমন বিধিবহির্ভূত চাকরিচ্যুতির ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে ওই শ্রমিকদের পরিবারে।বকেয়া কিংবা ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় আর্থিক দুরবস্থায়ও পড়েছেন ওইসব শ্রমিক-কর্মচারীরা। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা শ্রম অধিদপ্তরের শ্রীমঙ্গল অফিসে অভিযোগ জানিয়েছেন। চাকরিচ্যুতরা হলেন যমুনা টেক্সটাইলের প্রশাসনিক শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) সুমন মিয়া, হুরাইন মেডিকেলের নার্স তৃপ্তি বেগম, শ্রমিক কুলসুম বেগম, শ্রমিক বাবুল মিয়া, শ্রমিক পপি সাঁওতাল, শ্রমিক মনির মিয়া, শ্রমিক আজিজুর রহমান, শ্রমিক জুয়েল মিয়া এবং কর্মচারি শাহানা আক্তার লামিয়াসহ ৪০ জন। তাদের মধ্যে কুলসুম বেগমসহ কয়েকজনকে ১৬ মার্চ জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। বাদবাকী অধিকাংশদের ছাটাইয়ের ঘটনাও অতি সম্প্রতি ঘটেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ৩ থেকে বছর ৫ বছর ধরে চাকুরিরত ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানে। হঠাৎ করে বিনা নোটিশেই কোন বকেয়া বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ প্রদান না করে তাদের ছাটাই করা হয়েছে। অধিকাংশকেই না বলে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কারখানাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে দালাল চক্রের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
সম্প্রতি চাকরি হারানো কোম্পানিটির এজিএম সুমন মিয়া জানান, বিনা দোষে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।আমি এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। ভুক্তভোগী স্থানীয় নারী শ্রমিক কুলসুম আক্তার জানান, আমি ৩ বছর ধরে এই কারখানাটিতে শ্রম দিয়ে আসছি।কিস্তির উপর আমার সংসার চলে। হঠাৎ করেই ম্যানেজার আনোয়ার স্যার জোর করে আমাকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করিয়েছে। এর জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। এরকম অনেক মেয়েদেরকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। আরেক ভুক্তভোগী কর্মচারী শাহানা আক্তার লামিয়া জানান, আমি দক্ষতার সাথে কোম্পানিটিতে শ্রম দিয়ে আসছি। আজ আমাকে বিনা দোষে জোর করে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নিয়েছে। আমাকে ক্ষতিপূরণ কিংবা বকেয়া কিছুই প্রদান করেনি। এই নিয়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদমূলক ভিডিও বক্তব্য দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যমুনা টেক্সটাইলের প্রশাসনিক শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) রেজওয়ান আহসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে তিনি পরে জানাবেন। এরপর তাকে একাধিকবার ফোন এবং মেসেজ দেয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি আর মেসেজেরও কোন জবাব দেননি। ভুক্তভোগী শ্রমিকদের মৌখিক অভিযোগ ও স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টির উপর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন শ্রম অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলের শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ হাফিজ আহমেদ মজুমদার। তিনি জানান, এভাবে শ্রমিকদের অপসারণ করা এক ধরনের অপরাধ। আমরা অনতিবিলম্বে এটি তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।শ্রমিকদের পাওনা আদায়ের সহায়তা করব। বিষয়টি প্রতিবেদনও সাংবাদিকদের সামনেও খোলাসা করে প্রকাশ করব।
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর ইউপির বেজুড়ার যমুনা টেক্সটাইলের হুরাইনের শ্রম আইন লঙ্ঘন ও কোন প্রকার নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে অন্তত ৪০ কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদের পূর্বে এমন বিধিবহির্ভূত চাকরিচ্যুতির ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে ওই শ্রমিকদের পরিবারে।বকেয়া কিংবা ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় আর্থিক দুরবস্থায়ও পড়েছেন ওইসব শ্রমিক-কর্মচারীরা। এই ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা শ্রম অধিদপ্তরের শ্রীমঙ্গল অফিসে অভিযোগ জানিয়েছেন। চাকরিচ্যুতরা হলেন যমুনা টেক্সটাইলের প্রশাসনিক শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) সুমন মিয়া, হুরাইন মেডিকেলের নার্স তৃপ্তি বেগম, শ্রমিক কুলসুম বেগম, শ্রমিক বাবুল মিয়া, শ্রমিক পপি সাঁওতাল, শ্রমিক মনির মিয়া, শ্রমিক আজিজুর রহমান, শ্রমিক জুয়েল মিয়া এবং কর্মচারি শাহানা আক্তার লামিয়াসহ ৪০ জন। তাদের মধ্যে কুলসুম বেগমসহ কয়েকজনকে ১৬ মার্চ জোর করে পদত্যাগ করানো হয়েছে। বাদবাকী অধিকাংশদের ছাটাইয়ের ঘটনাও অতি সম্প্রতি ঘটেছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ৩ থেকে বছর ৫ বছর ধরে চাকুরিরত ছিলেন এই প্রতিষ্ঠানে। হঠাৎ করে বিনা নোটিশেই কোন বকেয়া বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ প্রদান না করে তাদের ছাটাই করা হয়েছে। অধিকাংশকেই না বলে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া কারখানাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের যোগসাজসে দালাল চক্রের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে।
সম্প্রতি চাকরি হারানো কোম্পানিটির এজিএম সুমন মিয়া জানান, বিনা দোষে আমাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।আমি এর সঠিক তদন্ত ও বিচার চাই। ভুক্তভোগী স্থানীয় নারী শ্রমিক কুলসুম আক্তার জানান, আমি ৩ বছর ধরে এই কারখানাটিতে শ্রম দিয়ে আসছি।কিস্তির উপর আমার সংসার চলে। হঠাৎ করেই ম্যানেজার আনোয়ার স্যার জোর করে আমাকে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করিয়েছে। এর জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। এরকম অনেক মেয়েদেরকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। আরেক ভুক্তভোগী কর্মচারী শাহানা আক্তার লামিয়া জানান, আমি দক্ষতার সাথে কোম্পানিটিতে শ্রম দিয়ে আসছি। আজ আমাকে বিনা দোষে জোর করে পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর নিয়েছে। আমাকে ক্ষতিপূরণ কিংবা বকেয়া কিছুই প্রদান করেনি। এই নিয়ে আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রতিবাদমূলক ভিডিও বক্তব্য দিয়েছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে যমুনা টেক্সটাইলের প্রশাসনিক শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) রেজওয়ান আহসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখে তিনি পরে জানাবেন। এরপর তাকে একাধিকবার ফোন এবং মেসেজ দেয়া হলে তিনি ফোন ধরেননি আর মেসেজেরও কোন জবাব দেননি। ভুক্তভোগী শ্রমিকদের মৌখিক অভিযোগ ও স্বপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টির উপর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন শ্রম অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কেন্দ্র শ্রীমঙ্গলের শ্রম দপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ হাফিজ আহমেদ মজুমদার। তিনি জানান, এভাবে শ্রমিকদের অপসারণ করা এক ধরনের অপরাধ। আমরা অনতিবিলম্বে এটি তদন্ত করে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।শ্রমিকদের পাওনা আদায়ের সহায়তা করব। বিষয়টি প্রতিবেদনও সাংবাদিকদের সামনেও খোলাসা করে প্রকাশ করব।