alt

সারাদেশ

আলু রাখার জায়গা নেই বিপাকে চাষিরা

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : বস্তাভর্তি আলু জায়গার অভাবে এভাবেই মাদ্রাসার মাঠে স্তূপ করে রাখা হয়েছে -সংবাদ

গত দুই বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে চরের জমিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই ভালো দাম পেয়েছি। কিন্তু বর্তমানে আলু রাখার জায়গা নেই। পাশাপাশি আলুর দামও কম।

প্রতিবিঘা জমিতে ফলন ভালো হলে ২০ হতে ৫০ হাজার টাকা খরচবাদে লাভ হয়। কথাগুলো বলেন উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের তিস্তার খোদ্দার চরের আলু চাষি মোফাজ্জল হক। তার ভাষ্য, হালচাষ থেকে শুরু করে আলু তোলা পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ ৪০ হতে ৪৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘাতে ৮৫ কেজির বস্তা দিয়ে ৬০ হতে ৬৫ বস্তা আলু হয়।

বর্তমানে প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। এতে করে বিঘা প্রতি লাভ হচ্ছে ২০ হতে ২৫ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে তিনি ১০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১ হাজার ৭৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যার বেশির ভাগ চাষ হয়েছে তিস্তার চরে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। চলতি মৌসুমে তিস্তার চরে আলুর ভালো ফলন হয়েছে।

চাষিদের নিকট হতে বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি আলু ১৩ টাকা দরে কেনা হচ্ছে বলেন আলু ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান। তিনি বলেন চরের চাষিদের নিকট হতে আলু কিনে তা ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে এসে ইমামগঞ্জ মাদ্রাসা মাঠে মজুত করা হয়েছে।

হিমাগারের সঙ্গে আলোচনা ঠিকঠাক না হওয়ায় এবং ট্রাক না পাওয়ায় আলু গোডাউনে নেয়া সম্ভাব হচ্ছে না। সে কারণে এখানে মজুত রাখা হয়েছে।

লাঠশালা চরের আরেক আলু চাষি ফরমান আলী বলেন বাড়িতে আলু রাখার জায়গা না থাকায় কম দামে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।

বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ হতে ৫০০ টাকা দরে। সেই আলু খোলা বা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ হতে ২০ টাকা কেজি দরে।

সুন্দরগঞ্জ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানের চরের আলুর ব্যাপক আমদানি হয়েছে। হিমাগারের আলু রাখার খরচ বেশি, সে কারণে অনেক চাষি আলু বিক্রি করে দিচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে আলুর বাজার অনেক কম। তা না হলে আলুর দাম অনেক বেড়ে যেত।

মজুদ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, উপজেলায় একটি মাত্র হিমাগার। যার কারনে উপজেলার বাইরের হিমাগারে আলু রাখতে হচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রতিবস্তা আলু রাখার জন্য হিমাগরে খরচ দিতে হচ্ছে ৪৮০ টাকা এবং প্রতিবস্তা আলুর পরিবহন খরচ দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। খেত হতে হিমাগার পর্যন্ত প্রতিবস্তা আলুতে খরচ হচ্ছে সর্বমোট ১৬০০ হতে ১৭০০ টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির বলেন, গত বছর আলুর দাম বেশি হওয়ায় চলতি মৌসুমে অনেকে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এবারে তিস্তার চরাঞ্চলে ব্যাপক আলুর চাষাবাদ হয়েছে।

সেই সঙ্গে ফলনও ভালো হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আলু চাষিরা ভালো লাভবান হবে।

মানিকছড়ি হাসপাতালে জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

যাদুকাটা নদী খুলে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন

খোকসা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দালালসহ দুজনকে জরিমানা

পাবনার হাট-বাজারে অপরিপক্ব টক লিচু বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে

ছবি

ডিমলার নদ-নদীগুলো অবৈধ দখলে মরা খাল, আবাদি জমি

ঝালকাঠিতে ডাকাতি মামলায় ৯ জনের সশ্রম কারাদণ্ড

ছবি

মোরেলগঞ্জে সন্তানহারা মায়ের কান্না, গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া

রাজশাহীতে মাদক ব্যবসায়ী আটক

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নারী নিহত

চাঁদপুরে পুকুর ভরাটের দায়ে জরিমানা

গৃহবধূকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

ছবি

সিরাজগঞ্জে যমুনার ভাঙন আতঙ্কে তীরবর্তী মানুষ

করিমগঞ্জে বজ্রপাতে ৩ গরুর মৃত্যু

ফরিদগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু

বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

৬ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯

ধর্মপাশায় গাছ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

সেনবাগে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা

দুই জেলায় বৃদ্ধ ও কিশোরীর আত্মহত্যা

রামুর বিভিন্ন এলাকায় বেড়েছে চুরি-ডাকাতি : জনমনে আতঙ্ক

কালিহাতীতে ভেটেরিনারি দোকানে জরিমানা

ছবি

যশোরে আইন উপেক্ষা করে চলছে পুকুর ভরাট

ভুয়া পশু চিকিৎসকের কারাদণ্ড

ছবি

রাস্তা খুঁড়ে লাপাত্তা ঠিকাদার দ্রুত পাকাকরণের দাবি

ছবি

রাস্তা নির্মাণে অনিয়ম, ইউএনওর কাছে অভিযোগ

রায়গঞ্জে একই দিনে দুজনের আত্মহত্যা

প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি, ২০ লাখ টাকা লুট

ডিবি থেকে সরানো মল্লিক ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি

সীমান্তবর্তী ৩৩ জেলায় পুলিশের বাড়তি সতর্কতা

ফরিদপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রামগড় ও লক্ষীছড়িতে বিক্ষোভ

ছবি

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিল শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি

ছবি

রংপুর মেডিকেলে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম অকেজো, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শক হতবাক

মাদারগঞ্জে অসময়ে যমুনার পানি বৃদ্ধি, নদীতে ১০ বসতভিটা বিলীন

ছবি

বিলুপ্তির পথে বুনোফল ‘আনাই’

বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা

tab

সারাদেশ

আলু রাখার জায়গা নেই বিপাকে চাষিরা

প্রতিনিধি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা)

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) : বস্তাভর্তি আলু জায়গার অভাবে এভাবেই মাদ্রাসার মাঠে স্তূপ করে রাখা হয়েছে -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

গত দুই বছরের চেয়ে চলতি মৌসুমে চরের জমিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। মৌসুমের শুরুতেই ভালো দাম পেয়েছি। কিন্তু বর্তমানে আলু রাখার জায়গা নেই। পাশাপাশি আলুর দামও কম।

প্রতিবিঘা জমিতে ফলন ভালো হলে ২০ হতে ৫০ হাজার টাকা খরচবাদে লাভ হয়। কথাগুলো বলেন উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের তিস্তার খোদ্দার চরের আলু চাষি মোফাজ্জল হক। তার ভাষ্য, হালচাষ থেকে শুরু করে আলু তোলা পর্যন্ত বিঘা প্রতি খরচ ৪০ হতে ৪৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে বিঘাতে ৮৫ কেজির বস্তা দিয়ে ৬০ হতে ৬৫ বস্তা আলু হয়।

বর্তমানে প্রতি বস্তা আলু বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়। এতে করে বিঘা প্রতি লাভ হচ্ছে ২০ হতে ২৫ হাজার টাকা। চলতি মৌসুমে তিনি ১০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১ হাজার ৭৯ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। যার বেশির ভাগ চাষ হয়েছে তিস্তার চরে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। চলতি মৌসুমে তিস্তার চরে আলুর ভালো ফলন হয়েছে।

চাষিদের নিকট হতে বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি আলু ১৩ টাকা দরে কেনা হচ্ছে বলেন আলু ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান। তিনি বলেন চরের চাষিদের নিকট হতে আলু কিনে তা ঘোড়ার গাড়িতে করে নিয়ে এসে ইমামগঞ্জ মাদ্রাসা মাঠে মজুত করা হয়েছে।

হিমাগারের সঙ্গে আলোচনা ঠিকঠাক না হওয়ায় এবং ট্রাক না পাওয়ায় আলু গোডাউনে নেয়া সম্ভাব হচ্ছে না। সে কারণে এখানে মজুত রাখা হয়েছে।

লাঠশালা চরের আরেক আলু চাষি ফরমান আলী বলেন বাড়িতে আলু রাখার জায়গা না থাকায় কম দামে আলু বিক্রি করতে হচ্ছে।

বর্তমানে পাইকারি বাজারে ৪০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ হতে ৫০০ টাকা দরে। সেই আলু খোলা বা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ হতে ২০ টাকা কেজি দরে।

সুন্দরগঞ্জ বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানের চরের আলুর ব্যাপক আমদানি হয়েছে। হিমাগারের আলু রাখার খরচ বেশি, সে কারণে অনেক চাষি আলু বিক্রি করে দিচ্ছে। যার কারণে বর্তমানে আলুর বাজার অনেক কম। তা না হলে আলুর দাম অনেক বেড়ে যেত।

মজুদ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, উপজেলায় একটি মাত্র হিমাগার। যার কারনে উপজেলার বাইরের হিমাগারে আলু রাখতে হচ্ছে। চলতি মৌসুমে প্রতিবস্তা আলু রাখার জন্য হিমাগরে খরচ দিতে হচ্ছে ৪৮০ টাকা এবং প্রতিবস্তা আলুর পরিবহন খরচ দিতে হচ্ছে ৫০ টাকা। খেত হতে হিমাগার পর্যন্ত প্রতিবস্তা আলুতে খরচ হচ্ছে সর্বমোট ১৬০০ হতে ১৭০০ টাকা।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. রাশিদুল কবির বলেন, গত বছর আলুর দাম বেশি হওয়ায় চলতি মৌসুমে অনেকে আলু চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এবারে তিস্তার চরাঞ্চলে ব্যাপক আলুর চাষাবাদ হয়েছে।

সেই সঙ্গে ফলনও ভালো হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আলু চাষিরা ভালো লাভবান হবে।

back to top