নতুন জাতের বাহুবলী টমেটো চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে এ উন্নত জাতের টমেটো আবাদে পাচ্ছেন আশানুরূপ ফলন। এ টমেটো আবাদ করে ব্যয়ের ৩-৪গুণ বেশি লাভের আশা করছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ (৪৩)। গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে ৩০ শতক জমি লিজ নিয়ে উন্নত বাহুবলী জাতের টমেটো আবাদ করেছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতজুড়ে সারি সারি গাছে থোকায় থোকায় ছোট-বড় টমেটোর সমারোহ। সবুজ পাতার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে লাল-কমলা রঙের পাকা টমেটো। কৃষক শাহাবুদ্দিন অন্য একজন শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে ক্ষেত থেকে টমেটো তুলে প্লাস্টিকের ক্যারেটে রাখছেন।
এ সময় কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, বিগত ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে ৩০ শতাংশ জমিতে বাহুবালী টমেটোর চারা রোপণ করেন তিনি। এতে শ্রমিক, সার, কীটনাশক ও চারাসহ খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। চারা লাগানোর আড়াই মাস পর থেকেই ফলন পেতে শুরু করেন।
কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ আরও জানান, গত দুই সপ্তাহে তিনি প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার টমেটো বাজারে বিক্রি করেছেন। ক্ষেত থেকে ৪০-৫০ কেজি টমেটো মিলছে একদিনেই। কেজিপ্রতি টমেটো ৫০-৬০ টাকা দরে প্রতি মণ পাইকারি দরে ২০০০ থেকে ২৪০০ টাকা বিক্রি করছেন।
চলতি জানুয়ারি ও আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কমপক্ষে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।
কৃষক শাহাবুদ্দিনের টমেটো ক্ষেত ও ফলন দেখে সন্তোষ প্রকাশ এবং প্রশংসা করেন গোপালপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। তিনি জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা স্যারের নির্দেশে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।
বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
নতুন জাতের বাহুবলী টমেটো চাষ করে সফলতার স্বপ্ন দেখছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে উপজেলার গোপালপুর গ্রামে এ উন্নত জাতের টমেটো আবাদে পাচ্ছেন আশানুরূপ ফলন। এ টমেটো আবাদ করে ব্যয়ের ৩-৪গুণ বেশি লাভের আশা করছেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ (৪৩)। গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন মাঠে ৩০ শতক জমি লিজ নিয়ে উন্নত বাহুবলী জাতের টমেটো আবাদ করেছেন তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ক্ষেতজুড়ে সারি সারি গাছে থোকায় থোকায় ছোট-বড় টমেটোর সমারোহ। সবুজ পাতার ভেতর থেকে উঁকি দিচ্ছে লাল-কমলা রঙের পাকা টমেটো। কৃষক শাহাবুদ্দিন অন্য একজন শ্রমিককে সঙ্গে নিয়ে ক্ষেত থেকে টমেটো তুলে প্লাস্টিকের ক্যারেটে রাখছেন।
এ সময় কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, বিগত ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে ৩০ শতাংশ জমিতে বাহুবালী টমেটোর চারা রোপণ করেন তিনি। এতে শ্রমিক, সার, কীটনাশক ও চারাসহ খরচ হয় ৪০ হাজার টাকা। চারা লাগানোর আড়াই মাস পর থেকেই ফলন পেতে শুরু করেন।
কৃষক শাহাবুদ্দিন শেখ আরও জানান, গত দুই সপ্তাহে তিনি প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকার টমেটো বাজারে বিক্রি করেছেন। ক্ষেত থেকে ৪০-৫০ কেজি টমেটো মিলছে একদিনেই। কেজিপ্রতি টমেটো ৫০-৬০ টাকা দরে প্রতি মণ পাইকারি দরে ২০০০ থেকে ২৪০০ টাকা বিক্রি করছেন।
চলতি জানুয়ারি ও আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত কমপক্ষে দেড় লাখ টাকার টমেটো বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।
কৃষক শাহাবুদ্দিনের টমেটো ক্ষেত ও ফলন দেখে সন্তোষ প্রকাশ এবং প্রশংসা করেন গোপালপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। তিনি জানান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার সাহা স্যারের নির্দেশে আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।