দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) : নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলিজমি ও ঘরবাড়ি -সংবাদ
দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন প্রতিনিয়ত নিঃস্ব করছে শত শত মানুষকে । ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী বর্ষার আগেই কয়েকটি গ্রাম সম্পূর্ণরূপে নদী গর্ভে চলে যাবে ভেবে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন যমুনা পাড়ের বাসিন্দারা ।
নদীর পূর্ব পাড়ে বাহাদুরাবাদ নৌ থানা সংলগ্ন খোলাবাড়ি থেকে বড়খাল এলাকা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের অধিক জুড়ে তীব্র ভাঙন চলছে । ভাঙনের শিকার হচ্ছে চর মাগুরি হাট, কিশোর মোড়, হুদার মোড়, হাজারী গ্রাম, চর ডাকাতিয়া পাড়া, খাঁন পাড়া, মাঝি পাড়া এলাগুলো । যে কোন সময় নদী গর্ভে চলে যাবে চর ডাকাতিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, কয়েকটি মসজিদ, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক, ব্রিজসহ কোটি কোটি টাকার গ্রামীণ অবকাঠামো ।
যমুনার ভাঙনে নিঃস্ব হওয়া আলাল মিয়া, আব্দুল আওয়াল, আলম মিয়া, মনি খাতুন, রেহানা, ইয়াসমিন বেগমের ভাষ্য, প্রতিবছর এই অঞ্চলের মানুষ নদীতে ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃশ^ হয় । মাথা গুজার ঠাঁই জুটে অন্যের বাড়ির উঠানে । এরপর ক্ষেত-খামারে দিনমজুরি করে, ঢাকায় রিক্সা চালিয়ে, গার্মেন্টেস এ চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে । কয়েক বছর টাকা জমিয়ে নতুন করে ভিটে করে। সেই নতুন ভিটেগুলোও দুই-তিন বছর পর আবারো ভাঙনের শিকার হয় । এভাবে একটি পরিবার দুই-তিন বার ভাঙনের শিকার হয় । যার অন্যতম কারণ যমুনার তীব্র ভাঙন । স্থানীয়রা আরো বলেন, নদী পাড়ের মানুষের দুঃখের কথা চিন্তা করে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী । নয়তো দেওয়ানগঞ্জ শহরটিই হুমকির মুখে পড়বে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, যমুনার ভাঙনের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।
জামালপুর জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খাঁন দৈনিক সংবাদ’কে বলেন, কয়েক বছর ধরে ঐ এলাকায় নদী ভাঙছে । ভাঙন রোধে সাড়ে ৫ কি.মি এলাকার ভাঙন রোধ প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে । খুব শীঘ্রই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে ।
উল্লেখ্য তীব্র ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে স্থানীয়রা নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাঙনের ছবি শেয়ার করে যাচ্ছেন ।
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) : নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলিজমি ও ঘরবাড়ি -সংবাদ
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
দেওয়ানগঞ্জের চিকাজানি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর তীব্র ভাঙন প্রতিনিয়ত নিঃস্ব করছে শত শত মানুষকে । ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে আগামী বর্ষার আগেই কয়েকটি গ্রাম সম্পূর্ণরূপে নদী গর্ভে চলে যাবে ভেবে দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন যমুনা পাড়ের বাসিন্দারা ।
নদীর পূর্ব পাড়ে বাহাদুরাবাদ নৌ থানা সংলগ্ন খোলাবাড়ি থেকে বড়খাল এলাকা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটারের অধিক জুড়ে তীব্র ভাঙন চলছে । ভাঙনের শিকার হচ্ছে চর মাগুরি হাট, কিশোর মোড়, হুদার মোড়, হাজারী গ্রাম, চর ডাকাতিয়া পাড়া, খাঁন পাড়া, মাঝি পাড়া এলাগুলো । যে কোন সময় নদী গর্ভে চলে যাবে চর ডাকাতিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়, কয়েকটি মসজিদ, মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক, ব্রিজসহ কোটি কোটি টাকার গ্রামীণ অবকাঠামো ।
যমুনার ভাঙনে নিঃস্ব হওয়া আলাল মিয়া, আব্দুল আওয়াল, আলম মিয়া, মনি খাতুন, রেহানা, ইয়াসমিন বেগমের ভাষ্য, প্রতিবছর এই অঞ্চলের মানুষ নদীতে ভিটে-মাটি হারিয়ে নিঃশ^ হয় । মাথা গুজার ঠাঁই জুটে অন্যের বাড়ির উঠানে । এরপর ক্ষেত-খামারে দিনমজুরি করে, ঢাকায় রিক্সা চালিয়ে, গার্মেন্টেস এ চাকরি করে জীবিকা নির্বাহ করে । কয়েক বছর টাকা জমিয়ে নতুন করে ভিটে করে। সেই নতুন ভিটেগুলোও দুই-তিন বছর পর আবারো ভাঙনের শিকার হয় । এভাবে একটি পরিবার দুই-তিন বার ভাঙনের শিকার হয় । যার অন্যতম কারণ যমুনার তীব্র ভাঙন । স্থানীয়রা আরো বলেন, নদী পাড়ের মানুষের দুঃখের কথা চিন্তা করে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী । নয়তো দেওয়ানগঞ্জ শহরটিই হুমকির মুখে পড়বে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, যমুনার ভাঙনের বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হবে।
জামালপুর জেলা পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খাঁন দৈনিক সংবাদ’কে বলেন, কয়েক বছর ধরে ঐ এলাকায় নদী ভাঙছে । ভাঙন রোধে সাড়ে ৫ কি.মি এলাকার ভাঙন রোধ প্রকল্প দাখিল করা হয়েছে । খুব শীঘ্রই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে ।
উল্লেখ্য তীব্র ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে স্থানীয়রা নিয়মিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাঙনের ছবি শেয়ার করে যাচ্ছেন ।