কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় পারুল আক্তার নামে এক রোগী মৃত্যুর খবর সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের দুই সাংবাদিকসহ তাদের ক্যামেরাম্যানদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাংচুর ও ছিনিয়ে নেয়। শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ধর্মপুর এলাকার আহমেদ আলীর স্ত্রী পারুল আক্তার শুক্রবার রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার ছেলে মামুন মিয়া জানান, পাশের বেডের এক রোগীর ইনজেকশন ভুলবশত তার মায়ের শরীরে পুশ করা হলে তিনি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। খবর পেয়ে যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন এবং দৈনিক সংবাদ ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোর টিভির স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুর রহমান এবং তাদের ক্যামেরাম্যান ওই হাসপাতালে যান। তারা অভিযোগ করে জানান, হাসপাতালের পরিচালকের ইঙ্গিতে ইন্টার্ন ও মেডিকেল ছাত্ররা লাঠিসোটা হাতে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় এবং ক্যামেরা-মোবাইল ভাংচুর করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ওই হাসপাতালে যায় এবং ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। তারা আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়। এদের মধ্যে যমুনা টিভির সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান গুরুতর আহত হওয়ায় তাদেরকে ভর্তি করা হয়। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে শনিবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ইপেপার
জাতীয়
সারাদেশ
আন্তর্জাতিক
নগর-মহানগর
খেলা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
শিক্ষা
অর্থ-বাণিজ্য
সংস্কৃতি
ক্যাম্পাস
মিডিয়া
অপরাধ ও দুর্নীতি
রাজনীতি
শোক ও স্মরন
প্রবাস
নারীর প্রতি সহিংসতা
বিনোদন
সম্পাদকীয়
উপ-সম্পাদকীয়
মুক্ত আলোচনা
চিঠিপত্র
পাঠকের চিঠি
রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় পারুল আক্তার নামে এক রোগী মৃত্যুর খবর সংগ্রহে গেলে সাংবাদিকদের দুই সাংবাদিকসহ তাদের ক্যামেরাম্যানদের ওপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাদের ক্যামেরা ও মোবাইল ভাংচুর ও ছিনিয়ে নেয়। শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ধর্মপুর এলাকার আহমেদ আলীর স্ত্রী পারুল আক্তার শুক্রবার রাতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার ছেলে মামুন মিয়া জানান, পাশের বেডের এক রোগীর ইনজেকশন ভুলবশত তার মায়ের শরীরে পুশ করা হলে তিনি রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান। খবর পেয়ে যমুনা টিভির কুমিল্লা ব্যুরো প্রধান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী খোকন এবং দৈনিক সংবাদ ও চ্যানেল টুয়েন্টিফোর টিভির স্টাফ রিপোর্টার জাহিদুর রহমান এবং তাদের ক্যামেরাম্যান ওই হাসপাতালে যান। তারা অভিযোগ করে জানান, হাসপাতালের পরিচালকের ইঙ্গিতে ইন্টার্ন ও মেডিকেল ছাত্ররা লাঠিসোটা হাতে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় এবং ক্যামেরা-মোবাইল ভাংচুর করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ওই হাসপাতালে যায় এবং ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। তারা আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেয়। এদের মধ্যে যমুনা টিভির সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যান গুরুতর আহত হওয়ায় তাদেরকে ভর্তি করা হয়। এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে শনিবার দুপুরে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।