বঙ্গোপসাগর ছোঁয়ার লক্ষ্য নিয়ে কুড়িগ্রামের যমুনা থেকে সাঁতরে চাঁদপুর মেঘনায় এসেছেন রফিকুল ইসলাম নামের এক সাঁতারু। দেশের উত্তরের জেলা কুড়িগ্রাম থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি।

যমুনা নদী হয়ে ৪০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ২৯ দিনের মাথায় চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়ার মিলনস্থল মোলহেডে পৌঁছান সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশে প্রথম নারী এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদারের স্বামী। তার লক্ষ্য সাগর তথা বঙ্গোপসাগরকে ছোঁয়া।

গত ২২ মার্চ বিকালে সাঁতরে চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে পৌঁছানোর পর রফিকুলকে স্বাগত জানান তার স্ত্রী বাংলাদেশে প্রথম নারী এভারেস্টজয়ী নিশাত মজুমদার, চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুনতাসির আহমেদ ও বিশ্ব ভ্রমণকারী তানভীর অপুসহ অন্যরা।

রফিকুল ইসলাম জানান, দেশের ভেতরে ৫৫০ কিলোমিটার নদীপথ সাঁতরে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছানোর লক্ষ্য নিয়ে গত মাসের ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরে কুড়িগ্রামের সীমান্তবর্তী ঝুনকারচর থেকে সাঁতার শুরু করেন তিনি। শনিবার শরীয়তপুরের সুরেশ্বর চরআত্রা এলাকা থেকে সকাল ৭টায় সাঁতার শুরু করে বিকেল সাড়ে ৪টায় ২২ কিলোমিটার পদ্মা-মেঘনা নদীপথ পাড়ি দিয়ে চাঁদপুর পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়ার মোলহেডে এসে পৌঁছান। টানা ২৯ দিনে ৪০০ কিলোমিটার নদীপথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

মেঘনায় ১৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে চেয়েছিলেন ২৬ মার্চের মধ্যেই। কিন্তু নিজের কাজে ঢাকা অফিস থাকায় তিনি বাকি ১৫০ কিলোমিটার শুরু করবেন ঈদের ছুটির মধ্যেই।

তিনি জানান, অভিযাত্রী সংগঠনের পক্ষ থেকে কাজ করা হয় এডভেঞ্চার ও রোমাঞ্চকর বিষয়ে। শোক থেকে শক্তি স্বাধীনতা দিবসের এ অর্জনের শক্তি হিসেবে ২১ ফেব্রুয়ারি ভোরবেলা বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত ৫৫০ কিলোমিটার পথ সাঁতরিয়ে অতিক্রম করবেন বলে সাঁতার শুরু করেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সাঁতার কেটে নদী এবং নদীপাড়ের মানুষের সঙ্গে পরিচিত হওয়াই ছিল আমার লক্ষ্য। আমাকে দীর্ঘ এই নদীপথ সাঁতরে পাড়ি দিতে সার্বক্ষণিক সাহস জুগিয়েছেন আমার স্ত্রী নিশাত মজুমদার।’