alt

সৈয়দপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী) : বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

সৈয়দপুর (নীলফামারী) : কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই -সংবাদ

নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে ঈদ সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম পড়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। শতাধিক কারখানায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করেছে লাচ্ছা সেমাই। শ্রমিকের শরীরের ঘাম আর নিম্নমানের পামওয়েল ও ডালডা মিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে এসব লাচ্ছা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ কারখানা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠিত অনেক কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে লাচ্ছা সেমাই বাজারজাত করছে। মানুষের খাওয়ার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব লাচ্ছা সেমাই স্থানীয় শহরের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে অবাধে বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে।

নিয়ম হচ্ছে সেমাই তৈরির কারখানায় অবাধ আলো-বাতাস প্রবেশের সুবিধাসহ উন্নত ব্যবস্থাপনা, কারিগরদের অ্যাপ্রোন ও বিশেষ ধরনের হাতমোজা পরা বাধ্যতামূলক। লাচ্ছার উপকরণ হিসেবে উন্নত ময়দা, ভেজিটেবল ফ্যাটওয়েল, ডিম, ঘি, ডালডা ব্যবহার করার কথা। অথচ একশ্রেণির অসাধু ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না। তারা ঈদকে সামনে রেখে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভের আশায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করছেন লাচ্ছা সেমাই। এসব ব্যবসায়ীর পাশাপাশি অনুমোদিত ফ্যাক্টরি মালিকরাও সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন। তাদের কারখানায়ও নিম্নমানের উপকরণে লাচ্ছা উৎপাদন করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর শহরতলীর পাটোয়ারীপাড়া, কাজীরহাট, পুরাতন বাবুপাড়া, বাঁশবাড়ী, মিস্ত্রিপাড়া, হাতিখানা, নিয়ামতপুর, মুন্সীপাড়া, গোলাহাট, ঘোড়াঘাট ক্যাম্পসহ শহরের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে এসব মৌসুমি লাচ্ছা কারখানা। অধিকাংশ লাচ্ছা সেমাই তৈরির কারখানার নেই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন। এ ছাড়া কারখানাগুলোতে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মনীতি। নামিদামি অনেক কোম্পানির লেভেল লাগিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি এসব সেমাই বাজারজাত করছেন মালিকরা। মানুষের খাওয়ার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব সেমাই প্রতিদিন বিভিন্ন মোড়কে বাজারজাত করা হচ্ছে গ্রামের হাটবাজারে।

হাতে গোনা কয়েকটি সেমাই তৈরির বৈধ কারখানা থাকলেও তারা বিপাকে পড়েছেন এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দাপটে। তাছাড়া এসব কারখানায় নেই কোনো সাইনবোর্ড। কারখানার বাইরে থেকে প্রবেশ নিষেধ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অথবা গেট বন্ধ করে চলে সেমাই তৈরির কাজ। এসব কারখানা এক স্থানে বেশি দিন থাকে না।

প্রশাসন ও সচেতন মহলের চোখ পড়ার আগেই স্থান পরিবর্তন করা হয়। এসব সেমাইতে নামিদামি কোম্পানির লেবেল ও স্টিকার লাগিয়ে পাইকারি বিক্রি করা হয়। দেখে বোঝার কোনো উপায় থাকে না আসল, না নকল।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা সেমাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকেরা।

অভিযোগ রয়েছে, ঈদ এলেই বাজারে সেমাইয়ের চাহিদা বাড়ে এবং এ সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিম্নমানের ময়দা, ক্ষতিকারক কেমিক্যাল রং, ভেজাল সোয়াবিন, পশুর চর্বি ও টেল্লু ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের লাচ্ছা ও চিকন সেমাই তৈরি করে বাজারজাত করেন।

এসব কারখানায় ব্যাপকহারে ভেজাল সেমাই উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া এমনও অভিযোগ রয়েছে পুরনো বছরের বেঁচে যাওয়া সেমাইও মজুত করে রেখে নতুন হিসাবে ঈদের বাজারে বিক্রি করা হয় এবং হচ্ছে।

সৈয়দপুর উপজেলার স্যানিটারি পরিদর্শক আলতাফ হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষ পচা ডিম, অ্যানিমেল ফ্যাট এবং কৃত্রিম ঘি ও সুগন্ধি মিশ্রিত ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরি যাতে না হয় সেজন্য কারখানাগুলোতে নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি লাচ্ছা কারখানায় জরিমানা করা হযেছে।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নাজমুল হুদা জানান, এসব লাচ্ছা সেমাই খেয়ে পেটে পীড়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন ভোক্তাদের প্রতি।

নীলফামারী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম জানান, পচা ডিম, পশুর চর্বি এবং কৃত্রিম ঘি ও সুগন্ধি মিশ্রিত সেমাই যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য কারখানাগুলোতে নজরদারি রাখা হয়েছে। দ্রুত এসব ভেজাল কারখানায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং কোনো প্রকার অনিয়ম পেলে তাৎক্ষডুক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

ছবি

কারখানার সীমানা প্রাচীর তৈরিতে হাইকোর্টের রায়, এলাকাবাসীর তোপের মুখে ভ্রাম্যমান আদালত

সোনারগাঁয়ে শিক্ষার্থী হত্যাকারীদের শাস্তির দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল, সড়ক অবরোধ

জামালপুরে সার ডিলার নিয়োগে নতুন নীতিমালা বাতিলের দাবীতে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিজিবির অভিযানে ১২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ

কাদিরদী বাজারে অগ্নিকান্ডে ১৭টি দোকান পুড়ে ছাই

সুনামগঞ্জে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসে নারী সমাবেশ ও পিঠা উৎসব

যাদের হাতে উঠলো এবারের সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ড

পুরস্কারের প্রলোভনে নিঃস্ব সাধারণ মানুষ

চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ করে দেওয়া হবে

দোহার ইলিশ শিকারের অপরাধে ২১ জেলে আটক

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে গলায় ওড়না প্যাঁচানো যুবকের লাশ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪৮ ঘণ্টা পর জেলের মরদেহ উদ্ধার

চাঁদপুরে দেশিয় অস্ত্রসহ কিশোর গ্যাংয়ের ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

কেশবপুরে জমি নিয়ে বিবাদে শিশুসহ আহত ৭

জয়পুরহাটে মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত এক

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

বোয়ালখালীতে পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধন আড়াই লাখ টাকা ক্ষতি

মানিকগঞ্জের রাস্তার ধারে লক্ষ লক্ষ টাকার আঁখ বিক্রি

গারো সম্প্রদায়ের সংসারেক ঐতিহ্যের ওয়ান্না উৎসব

পবিপ্রবিতে ইউসিজি চেয়ারম্যানের মতবিনিময় ও ব্যামাগারের উদ্বোধন

ডিমলায় ভূমি অফিসে দালালের দৌরাত্ম্য হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবাগ্রহীতারা

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ির বাড়তি মাশুল স্থগিত

মহম্মদপুরের অধ্যক্ষ এস এম ইউনুচ আলী পেলেন গোল্ডেন অ্যাওয়ার্ড

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স অনিয়ম দুর্নীতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত

ঈদগাঁও উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে ৬ বালু মহাল জব্দ

ঝালকাঠিতে ঝুঁকির মধ্যে চলছে কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা

ঘোড়াঘাটে বিপন্ন দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় প্রশাসনের অভিযানে জাল জব্দ

সলঙ্গায় ডোবা থেকে কঙ্কাল উদ্ধার

ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষক নিহত

গোবিন্দগঞ্জে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত গুচ্ছগ্রাম এক রাতে উধাও

ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞায় দশমিনায় জেলে পরিবারগুলোতে দুর্দিন

ত্রিশালে খুচরা সার বিক্রেতাদের মানববন্ধন

সিরাজদিখানে গাছে ঝুলছে পল্লী বিদ্যুতের মিটার

পার্বতীপুরে ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎহীন, ভোগান্তিতে ৮০ হাজার গ্রাহক

১২ বছর ধরে শিকলবন্দী ভাইবোন এখন মুক্ত

tab

সৈয়দপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই

প্রতিনিধি, সৈয়দপুর (নীলফামারী)

সৈয়দপুর (নীলফামারী) : কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই -সংবাদ

বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে ঈদ সামনে রেখে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম পড়েছে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে অপরিচ্ছন্ন ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই। শতাধিক কারখানায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করেছে লাচ্ছা সেমাই। শ্রমিকের শরীরের ঘাম আর নিম্নমানের পামওয়েল ও ডালডা মিশ্রণে তৈরি করা হচ্ছে এসব লাচ্ছা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অধিকাংশ কারখানা বিএসটিআইয়ের অনুমোদন ছাড়া প্রতিষ্ঠিত অনেক কোম্পানির লেবেল লাগিয়ে লাচ্ছা সেমাই বাজারজাত করছে। মানুষের খাওয়ার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব লাচ্ছা সেমাই স্থানীয় শহরের চাহিদা মিটিয়ে স্থানীয় হাটবাজার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে অবাধে বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে।

নিয়ম হচ্ছে সেমাই তৈরির কারখানায় অবাধ আলো-বাতাস প্রবেশের সুবিধাসহ উন্নত ব্যবস্থাপনা, কারিগরদের অ্যাপ্রোন ও বিশেষ ধরনের হাতমোজা পরা বাধ্যতামূলক। লাচ্ছার উপকরণ হিসেবে উন্নত ময়দা, ভেজিটেবল ফ্যাটওয়েল, ডিম, ঘি, ডালডা ব্যবহার করার কথা। অথচ একশ্রেণির অসাধু ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করছেন না। তারা ঈদকে সামনে রেখে অল্প পুঁজিতে বেশি লাভের আশায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করছেন লাচ্ছা সেমাই। এসব ব্যবসায়ীর পাশাপাশি অনুমোদিত ফ্যাক্টরি মালিকরাও সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন। তাদের কারখানায়ও নিম্নমানের উপকরণে লাচ্ছা উৎপাদন করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর শহরতলীর পাটোয়ারীপাড়া, কাজীরহাট, পুরাতন বাবুপাড়া, বাঁশবাড়ী, মিস্ত্রিপাড়া, হাতিখানা, নিয়ামতপুর, মুন্সীপাড়া, গোলাহাট, ঘোড়াঘাট ক্যাম্পসহ শহরের আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে এসব মৌসুমি লাচ্ছা কারখানা। অধিকাংশ লাচ্ছা সেমাই তৈরির কারখানার নেই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন। এ ছাড়া কারখানাগুলোতে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মনীতি। নামিদামি অনেক কোম্পানির লেভেল লাগিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি এসব সেমাই বাজারজাত করছেন মালিকরা। মানুষের খাওয়ার জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এসব সেমাই প্রতিদিন বিভিন্ন মোড়কে বাজারজাত করা হচ্ছে গ্রামের হাটবাজারে।

হাতে গোনা কয়েকটি সেমাই তৈরির বৈধ কারখানা থাকলেও তারা বিপাকে পড়েছেন এসব মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দাপটে। তাছাড়া এসব কারখানায় নেই কোনো সাইনবোর্ড। কারখানার বাইরে থেকে প্রবেশ নিষেধ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে অথবা গেট বন্ধ করে চলে সেমাই তৈরির কাজ। এসব কারখানা এক স্থানে বেশি দিন থাকে না।

প্রশাসন ও সচেতন মহলের চোখ পড়ার আগেই স্থান পরিবর্তন করা হয়। এসব সেমাইতে নামিদামি কোম্পানির লেবেল ও স্টিকার লাগিয়ে পাইকারি বিক্রি করা হয়। দেখে বোঝার কোনো উপায় থাকে না আসল, না নকল।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে তৈরি করা সেমাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেছেন চিকিৎসকেরা।

অভিযোগ রয়েছে, ঈদ এলেই বাজারে সেমাইয়ের চাহিদা বাড়ে এবং এ সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিম্নমানের ময়দা, ক্ষতিকারক কেমিক্যাল রং, ভেজাল সোয়াবিন, পশুর চর্বি ও টেল্লু ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরণের লাচ্ছা ও চিকন সেমাই তৈরি করে বাজারজাত করেন।

এসব কারখানায় ব্যাপকহারে ভেজাল সেমাই উৎপাদিত হচ্ছে। এ ছাড়া এমনও অভিযোগ রয়েছে পুরনো বছরের বেঁচে যাওয়া সেমাইও মজুত করে রেখে নতুন হিসাবে ঈদের বাজারে বিক্রি করা হয় এবং হচ্ছে।

সৈয়দপুর উপজেলার স্যানিটারি পরিদর্শক আলতাফ হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষ পচা ডিম, অ্যানিমেল ফ্যাট এবং কৃত্রিম ঘি ও সুগন্ধি মিশ্রিত ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরি যাতে না হয় সেজন্য কারখানাগুলোতে নজরদারি মধ্যে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি লাচ্ছা কারখানায় জরিমানা করা হযেছে।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) নাজমুল হুদা জানান, এসব লাচ্ছা সেমাই খেয়ে পেটে পীড়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করেছেন ভোক্তাদের প্রতি।

নীলফামারী জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম জানান, পচা ডিম, পশুর চর্বি এবং কৃত্রিম ঘি ও সুগন্ধি মিশ্রিত সেমাই যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য কারখানাগুলোতে নজরদারি রাখা হয়েছে। দ্রুত এসব ভেজাল কারখানায় নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে এবং কোনো প্রকার অনিয়ম পেলে তাৎক্ষডুক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

back to top