বাগেরহাটে মসজিদের টাকা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় ইমামকে মারপিট করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এ ঘটনায় প্রতিবাদে আসলে আরও ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হামলাকারী বিএনপি নেতা হাফিজুরের বসতবাড়িতে ও স্থানীয় বিএনপি অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া মির্জাপুর আদর্শ গ্রামে। রাতেই জখমীদের বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন মির্জাপুর এলাকার আমিনুল (২৫), জহিরুল (২৮), রুবেল (৩১), তানজিম (৩৪), আবু তালেব (১৮) ও বাবু (৩৮)। এদের মধ্যে রুবেল ও তানজিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা বলেন, সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ডেমা ব্রিজসংলগ্ন গুজিহাটি জামে মসজিদের টাকা নিয়ে মসজিদের ইমাম আবু বক্করের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমানের বিরোধ হয়। আর এ বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাফিজুর রহমান ইমাম আবু বক্করকে মারধর করেন। স্থানীয়রা ইমামকে মারধরের কারণ জানতে ওই রাতেই হাফিজুর রহমান এর বাড়িতে গেলে হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করে। বিষয়টি জানা জানি হলে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাফিজুর রহমানের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে এলাকার বিএনপি অফিসেও আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বাগেরহাট শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
সংঘর্ষের বিষয়ে বাগেহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন জানান, সদরের কাড়াপাড়া মির্জাপুর এলাকার একটি মসজিদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মসজিদের ইমাম কে মারপিট করে স্থানীয় হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগিরা ৬-৭ জনকে কুপিয়ে জখম করে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আহতদের পক্ষে স্থানীয় হাফিজুরের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাতে ওই এলাকায় যাই এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। হাফিজুর ও তার সহযোগীরা এলাকায় নেই। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
বাগেরহাটে মসজিদের টাকা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় ইমামকে মারপিট করেছেন স্থানীয় বিএনপি নেতা। এ ঘটনায় প্রতিবাদে আসলে আরও ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। পরে স্থানীয়রা ঐক্যবদ্ধ হয়ে হামলাকারী বিএনপি নেতা হাফিজুরের বসতবাড়িতে ও স্থানীয় বিএনপি অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আর এ ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বাগেরহাট সদর উপজেলার কাড়াপাড়া মির্জাপুর আদর্শ গ্রামে। রাতেই জখমীদের বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। আহতরা হলেন মির্জাপুর এলাকার আমিনুল (২৫), জহিরুল (২৮), রুবেল (৩১), তানজিম (৩৪), আবু তালেব (১৮) ও বাবু (৩৮)। এদের মধ্যে রুবেল ও তানজিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতরা বলেন, সদর উপজেলার কাড়াপাড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের ডেমা ব্রিজসংলগ্ন গুজিহাটি জামে মসজিদের টাকা নিয়ে মসজিদের ইমাম আবু বক্করের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমানের বিরোধ হয়। আর এ বিরোধের জেরে গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাফিজুর রহমান ইমাম আবু বক্করকে মারধর করেন। স্থানীয়রা ইমামকে মারধরের কারণ জানতে ওই রাতেই হাফিজুর রহমান এর বাড়িতে গেলে হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগিরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ৬ জনকে কুপিয়ে জখম করে। বিষয়টি জানা জানি হলে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাফিজুর রহমানের বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে এলাকার বিএনপি অফিসেও আগুন ধরিয়ে দেয়। খবর পেয়ে বাগেরহাট শহর থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। তবে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশের পাশাপাশি সেনা বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেয় বলে এলাকাবাসী জানায়।
সংঘর্ষের বিষয়ে বাগেহাট সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শামীম হোসেন জানান, সদরের কাড়াপাড়া মির্জাপুর এলাকার একটি মসজিদের টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মসজিদের ইমাম কে মারপিট করে স্থানীয় হাফিজুর রহমান। এ ঘটনায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান ও তার সহযোগিরা ৬-৭ জনকে কুপিয়ে জখম করে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে আহতদের পক্ষে স্থানীয় হাফিজুরের বসতবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে আমি নিজেই সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রাতে ওই এলাকায় যাই এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে। হাফিজুর ও তার সহযোগীরা এলাকায় নেই। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।