সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতা -সংবাদ
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শেষ মুহুর্তে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্তই মার্কেটগুলোতে নারী-পূরুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এবার মাস শেষ হওয়ার আগে চলতি মাসের বেতন পান চাকুরিজীবিরা। ফলে ঈদের আগ মুহুর্তে বাজারে তাদের আনাগোনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে অন্য শ্রেনি পেশার মানুষেরা হুমড়ি খেয়ে শেষ করছেন ঈদের কেনাকাটা। বরাবরের মতোই এদিক থেকে এগিয়ে আছেন নারীরা। তাদের পছন্দের শীর্ষে আছে দেশীয়, ভারতীয় ও পাকিস্থানী নানান পোশাক। ফলে বিক্রেতারাও সময়টা ভালোই উপভোগ করছেন।
সরেজমিনে সীতাকুণ্ডর সবচেয়ে বড় বাণিজ্যকেন্দ্র সীতাকুণ্ড পৌরসদরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি মার্কেটই এখন রাত-দিন জমজমাট থাকছে। পরিদর্শনকালে বিগ বাজার, ন্যাশনাল মার্কেট, নাহার প্লাজা, মরিয়ম প্লাজা, বদিউল আলম নিউ মার্কেট, সিকিউর সিটি, ওসমান গনি শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দোকান ছাড়াও পাপন ক্লথ ষ্টোর, ক্লাসিক, বিগ মার্ট, সহ নানান দোকানে গিয়ে ঈদের জমজমাট বেচাকেনার দৃশ্য দেখা যায়।
পরিদর্শনকালে কথা হয় বিভিন্ন ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে। সীতাকুণ্ড বাজারে এসে পরিবারের জন্য শাড়ি ও থ্রিপিস কিনেছেন উপজেলার সয়দপুর ইউনিয়নের উত্তর বগাচতর গ্রামের বাসিন্দা মাস্টার আলাউদ্দিনের স্ত্রী কহিনুর বেগম। তিনি বিগ বাজার নামক একটি দোকান থেকে ১২ হাজার টাকার পোশাক কিনেছেন। কোন ধরণের পোশাক তার পছন্দ জানতে চাইলে তিনি বলেন পোশাকের বাজারে বাংলাদেশীগুলো তালিকায় প্রথমে থাকে। এরপর পাকিস্থানী এবং ভারতীয় থ্রিপিসগুলো দেখা হয়। শাশুড়ির জন্য নিয়েছেন দেশীয় শাড়ি এবং ছোট মেয়ের জন্য কিনেছেন থ্রিপিস। বড় মেয়ের জন্য পাকিস্থানী থ্রিপিস আর ভারতীয় কাতান শাড়ি তার জন্য নিয়েছেন।
এদিকে কেনাকাটায় পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। বদিউল আলম নিউমার্কেটের স্টাইল পার্কের সত্বাধিকারী লিটন চৌধুরী বলেন, এবার বেচাকেনা বেশ ভালো আছে। ছেলেরা তাদের পছন্দ সই শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি ন্যায্য দামে আমাদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে। অল্প দামে মন মতো পোশাক পেয়ে তারা খুশি। একথা যে সত্য তা জানান এক ক্রেতা মো. সাখাওয়াত চৌধুরী। তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডর দোকানগুলোতে অল্প দামে ভালো মানের শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবী ইত্যাদি পাওয়া যায়। একই পোশাক শহর থেকে কিনলে দাম পড়ে দুই থেকে তিনগুন বেশি। তারউপর আছে গাড়ি ভাড়া ও জার্নি। তাই আমি প্রতিবছর সীতাকুণ্ড বাজার থেকে কিনে নিই। ঈদ উপলক্ষে দুটি জিন্স প্যান্ট কিনতে আমার খরচ হয়েছে ৩৬০০ টাকা। পছন্দ মতো কিনতে পেরে ভালো লাগছে। দাম অতিরিক্ত বলে মনে হয়নি।
এদিকে ঈদের বাজারের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করছেন পৌরসদর ব্যবসায়ী সমিতি এবং সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, ঈদ বাজারে নানারকম চুরি, ছিনতাই হতে পারে মাথায় রেখে আমরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত ক্রেতা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড শেষ মুহুর্তে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্তই মার্কেটগুলোতে নারী-পূরুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এবার মাস শেষ হওয়ার আগে চলতি মাসের বেতন পান চাকুরিজীবিরা। ফলে ঈদের আগ মুহুর্তে বাজারে তাদের আনাগোনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে অন্য শ্রেনি পেশার মানুষেরা হুমড়ি খেয়ে শেষ করছেন ঈদের কেনাকাটা। বরাবরের মতোই এদিক থেকে এগিয়ে আছেন নারীরা। তাদের পছন্দের শীর্ষে আছে দেশীয়, ভারতীয় ও পাকিস্থানী নানান পোশাক। ফলে বিক্রেতারাও সময়টা ভালোই উপভোগ করছেন।
সরেজমিনে সীতাকুণ্ডর সবচেয়ে বড় বাণিজ্যকেন্দ্র সীতাকুণ্ড পৌরসদরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি মার্কেটই এখন রাত-দিন জমজমাট থাকছে। পরিদর্শনকালে বিগ বাজার, ন্যাশনাল মার্কেট, নাহার প্লাজা, মরিয়ম প্লাজা, বদিউল আলম নিউ মার্কেট, সিকিউর সিটি, ওসমান গনি শপিং কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দোকান ছাড়াও পাপন ক্লথ ষ্টোর, ক্লাসিক, বিগ মার্ট, সহ নানান দোকানে গিয়ে ঈদের জমজমাট বেচাকেনার দৃশ্য দেখা যায়।
পরিদর্শনকালে কথা হয় বিভিন্ন ক্রেতা-বিক্রেতার সাথে। সীতাকুণ্ড বাজারে এসে পরিবারের জন্য শাড়ি ও থ্রিপিস কিনেছেন উপজেলার সয়দপুর ইউনিয়নের উত্তর বগাচতর গ্রামের বাসিন্দা মাস্টার আলাউদ্দিনের স্ত্রী কহিনুর বেগম। তিনি বিগ বাজার নামক একটি দোকান থেকে ১২ হাজার টাকার পোশাক কিনেছেন। কোন ধরণের পোশাক তার পছন্দ জানতে চাইলে তিনি বলেন পোশাকের বাজারে বাংলাদেশীগুলো তালিকায় প্রথমে থাকে। এরপর পাকিস্থানী এবং ভারতীয় থ্রিপিসগুলো দেখা হয়। শাশুড়ির জন্য নিয়েছেন দেশীয় শাড়ি এবং ছোট মেয়ের জন্য কিনেছেন থ্রিপিস। বড় মেয়ের জন্য পাকিস্থানী থ্রিপিস আর ভারতীয় কাতান শাড়ি তার জন্য নিয়েছেন।
এদিকে কেনাকাটায় পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। বদিউল আলম নিউমার্কেটের স্টাইল পার্কের সত্বাধিকারী লিটন চৌধুরী বলেন, এবার বেচাকেনা বেশ ভালো আছে। ছেলেরা তাদের পছন্দ সই শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি ন্যায্য দামে আমাদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে। অল্প দামে মন মতো পোশাক পেয়ে তারা খুশি। একথা যে সত্য তা জানান এক ক্রেতা মো. সাখাওয়াত চৌধুরী। তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডর দোকানগুলোতে অল্প দামে ভালো মানের শার্ট, প্যান্ট, গেঞ্জি, পাঞ্জাবী ইত্যাদি পাওয়া যায়। একই পোশাক শহর থেকে কিনলে দাম পড়ে দুই থেকে তিনগুন বেশি। তারউপর আছে গাড়ি ভাড়া ও জার্নি। তাই আমি প্রতিবছর সীতাকুণ্ড বাজার থেকে কিনে নিই। ঈদ উপলক্ষে দুটি জিন্স প্যান্ট কিনতে আমার খরচ হয়েছে ৩৬০০ টাকা। পছন্দ মতো কিনতে পেরে ভালো লাগছে। দাম অতিরিক্ত বলে মনে হয়নি।
এদিকে ঈদের বাজারের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতিদিন বাজার মনিটরিং করছেন পৌরসদর ব্যবসায়ী সমিতি এবং সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ। সীতাকুণ্ড থানার ওসি মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, ঈদ বাজারে নানারকম চুরি, ছিনতাই হতে পারে মাথায় রেখে আমরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।