কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক
কুমিল্লা-নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই ও লাকসামের বাগমারা সড়কে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বাগমারা এলাকায় যানজটের কারণে বাসযাত্রীর চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ১০ মিনিটের রাস্তায় যানজটের কারণে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। ঈদের ছুটিতে আরও ভয়াবহ যানজটের শঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দাদের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক। যানজটের ভোগান্তি কমানোর জন্য কুমিল্লার নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার মধ্যে বাগমারা সড়কটি ভোগান্তির সড়ক হিসেবে পরিচিত।
এই মহাসড়কের লাকসাম বাজার-বাগমারা এলাকায় প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে। ঈদের সময় যানবাহনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় যানজটের ভোগান্তি বাড়ে কয়েকগুণ। লাকসাম-বাগমারা সড়কে যানজট সহ্য করতে হবে। এই কষ্ট জেনে অনেকেই নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-কুমিল্লা-নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর মহাসড়কে যানবাহন বাড়ছে। আর বাগমারা এলাকাতে সরু রাস্তার কারণে যানজট তীব্র হচ্ছে। প্রতি বছর ঈদের আগে লালমাই বাগমারা বাজারে যে যানজট হয়। কারণ আশপাশে যাওয়ার মতো কোনো জায়গাও নেই। তাছাড়াও সেখানে রাস্তার ওপরই অনেক দোকানপাট বসে, ফুটপাটও নেই যে মানুষ হাঁটবে। যদি সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একটু কঠোর থাকে তাহলে যানজট আপাতত কিছুটা হলেও কমবে। আর এর সুফল পাবে বাস যাত্রীরা।
লাকসাম বাইপাস ও লাকসাম বাজার এলাকাটি খুবই জনবহুল এলাকা। এখান থেকে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর ছাড়াও কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ ও চৌদ্দগ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। দুরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি মাইক্রোবাস, লেগুনা ও অটোরিকশা স্ট্যান্ডও রয়েছে। ছোট যানবাহনে যাত্রী উঠানামার কারণে স্বাভাবিক যানচলাচল ব্যহত হয় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের সময় এই যানজট আরও দীর্ঘ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরের বাস যাত্রী মুন্নি বেগম ও ফজলে আজম সংবাদকে জানান, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে একটি বাসযোগে লক্ষ্মীপুরে রওনা হয়। দুপুরের দিকে বাসটি বাগমারা সড়কে যানজটের কবলে পড়েন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি যানজটে ছিল। সেখনে যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচাতে পুলিশও দেখা যায়নি। যানজট আর গরমে অপারেশনের শিশু রোগীও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সেখানে ট্রাফিকও থাকে না। থাকে না টহল পুলিশও। বাসের হেলপারও নিচে নেমে রাস্তা যানজট মুক্ত করার চেষ্টা করেছে। এরপরও এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে বলে অনেক যাত্রী মন্তব্য করেন। বিষয়টি সংবাদের পক্ষ থেকে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজ অপারেশন শফিকুল ইসলামকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে। ঈদের সময় যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, লাকসাম উপজেলার জংশন এলাকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ বাইপাস পর্যন্ত মহাসড়কটি অতিক্রম করা চালক ও যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা দায়ক। মহাসড়কটি দুই লাইন হওয়ায় এই অংশে প্রতিদিনই যানজট লেগেই থাকে। ৫ থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।
স্থানীয়রা জানান, লালমাই ও বাগমারা বাজারটিও উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা। মহাসড়কের এই অংশে চারলেনের না হওয়ায় যানজটে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। আর মহাসড়কের শানিচো এলাকা দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিণত হয়েছে। চারলেনে চলাচলকারী দ্রুতগামী যানবাহন হঠাৎ দুই লেনের সরু সড়কে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে।
নোয়াখালীর একজান চাকরিজীবী জানান, বাগমারা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর বাসীর দুঃখ। সেখানে যানজটের কারণে রাস্তায় শিশু, বৃদ্ধ , রোগীদের চরম ভোগান্তি। নেই কোনো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ। নেই বিকল্প কোনো পথ। খোদ কুমিল্লা ও লাসসামের কর্মজীবীরা ভোগান্তির কবলে পড়ে কর্মঘণ্টা রাস্তাই কাটায়। আবার কেউ কেউ ট্রেনে সময় সুযোগ বুঝে দাঁড়ানোর টিকেট নিয়ে কুমিল্লা থেকে লাকসাম যায়।
লাকসাম হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি মোবারক হোসেন ভূঁইয়া সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, বাগমারা যানজটের মূল কারণ হলো- রাস্তাটি চার লেন প্রকল্পের রাস্তা। বাগমারা বাজারের চারপাশে সরু রাস্তা। একটা গাড়ি পাশাপাশি আরেকটা গাড়ি যেতে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুইটা গাড়ি যাওয়া কষ্টকর। এই ভাবে বাগমারা ৩০০ থেকে ৪০০ গজের রাস্তায় যানজট হয়।
কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুর মহাসড়ক
বৃহস্পতিবার, ২৭ মার্চ ২০২৫
কুমিল্লা-নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই ও লাকসামের বাগমারা সড়কে প্রতিদিন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বাগমারা এলাকায় যানজটের কারণে বাসযাত্রীর চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ১০ মিনিটের রাস্তায় যানজটের কারণে এক ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে। ঈদের ছুটিতে আরও ভয়াবহ যানজটের শঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
কুমিল্লার দক্ষিণাঞ্চল, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দাদের সড়ক যোগাযোগের একমাত্র পথ কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক। যানজটের ভোগান্তি কমানোর জন্য কুমিল্লার নগরীর টমছম ব্রিজ থেকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ পর্যন্ত রাস্তার মধ্যে বাগমারা সড়কটি ভোগান্তির সড়ক হিসেবে পরিচিত।
এই মহাসড়কের লাকসাম বাজার-বাগমারা এলাকায় প্রতিদিন যানজট লেগে থাকে। ঈদের সময় যানবাহনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় যানজটের ভোগান্তি বাড়ে কয়েকগুণ। লাকসাম-বাগমারা সড়কে যানজট সহ্য করতে হবে। এই কষ্ট জেনে অনেকেই নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-কুমিল্লা-নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর মহাসড়কে যানবাহন বাড়ছে। আর বাগমারা এলাকাতে সরু রাস্তার কারণে যানজট তীব্র হচ্ছে। প্রতি বছর ঈদের আগে লালমাই বাগমারা বাজারে যে যানজট হয়। কারণ আশপাশে যাওয়ার মতো কোনো জায়গাও নেই। তাছাড়াও সেখানে রাস্তার ওপরই অনেক দোকানপাট বসে, ফুটপাটও নেই যে মানুষ হাঁটবে। যদি সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একটু কঠোর থাকে তাহলে যানজট আপাতত কিছুটা হলেও কমবে। আর এর সুফল পাবে বাস যাত্রীরা।
লাকসাম বাইপাস ও লাকসাম বাজার এলাকাটি খুবই জনবহুল এলাকা। এখান থেকে নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর ছাড়াও কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ ও চৌদ্দগ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। দুরপাল্লার যানবাহনের পাশাপাশি মাইক্রোবাস, লেগুনা ও অটোরিকশা স্ট্যান্ডও রয়েছে। ছোট যানবাহনে যাত্রী উঠানামার কারণে স্বাভাবিক যানচলাচল ব্যহত হয় এবং তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঈদের সময় এই যানজট আরও দীর্ঘ হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরের বাস যাত্রী মুন্নি বেগম ও ফজলে আজম সংবাদকে জানান, গত শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা থেকে একটি বাসযোগে লক্ষ্মীপুরে রওনা হয়। দুপুরের দিকে বাসটি বাগমারা সড়কে যানজটের কবলে পড়েন। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি যানজটে ছিল। সেখনে যানজটের ভোগান্তি থেকে বাঁচাতে পুলিশও দেখা যায়নি। যানজট আর গরমে অপারেশনের শিশু রোগীও অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
সেখানে ট্রাফিকও থাকে না। থাকে না টহল পুলিশও। বাসের হেলপারও নিচে নেমে রাস্তা যানজট মুক্ত করার চেষ্টা করেছে। এরপরও এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে বলে অনেক যাত্রী মন্তব্য করেন। বিষয়টি সংবাদের পক্ষ থেকে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজ অপারেশন শফিকুল ইসলামকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে। ঈদের সময় যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য তিনি চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, লাকসাম উপজেলার জংশন এলাকা থেকে শুরু করে দক্ষিণ বাইপাস পর্যন্ত মহাসড়কটি অতিক্রম করা চালক ও যাত্রীদের জন্য সবচেয়ে বেশি যন্ত্রণা দায়ক। মহাসড়কটি দুই লাইন হওয়ায় এই অংশে প্রতিদিনই যানজট লেগেই থাকে। ৫ থেকে ১০ মিনিটের রাস্তা পার হতে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় লাগে।
স্থানীয়রা জানান, লালমাই ও বাগমারা বাজারটিও উপজেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক এলাকা। মহাসড়কের এই অংশে চারলেনের না হওয়ায় যানজটে অতিষ্ঠ যাত্রীরা। আর মহাসড়কের শানিচো এলাকা দূর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিণত হয়েছে। চারলেনে চলাচলকারী দ্রুতগামী যানবাহন হঠাৎ দুই লেনের সরু সড়কে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে।
নোয়াখালীর একজান চাকরিজীবী জানান, বাগমারা নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর বাসীর দুঃখ। সেখানে যানজটের কারণে রাস্তায় শিশু, বৃদ্ধ , রোগীদের চরম ভোগান্তি। নেই কোনো ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ। নেই বিকল্প কোনো পথ। খোদ কুমিল্লা ও লাসসামের কর্মজীবীরা ভোগান্তির কবলে পড়ে কর্মঘণ্টা রাস্তাই কাটায়। আবার কেউ কেউ ট্রেনে সময় সুযোগ বুঝে দাঁড়ানোর টিকেট নিয়ে কুমিল্লা থেকে লাকসাম যায়।
লাকসাম হাইওয়ে ক্রসিং থানার ওসি মোবারক হোসেন ভূঁইয়া সংবাদকে মুঠোফোনে জানান, বাগমারা যানজটের মূল কারণ হলো- রাস্তাটি চার লেন প্রকল্পের রাস্তা। বাগমারা বাজারের চারপাশে সরু রাস্তা। একটা গাড়ি পাশাপাশি আরেকটা গাড়ি যেতে যানজটের সৃষ্টি হয়। দুইটা গাড়ি যাওয়া কষ্টকর। এই ভাবে বাগমারা ৩০০ থেকে ৪০০ গজের রাস্তায় যানজট হয়।